সংকট থেকে উত্তরণে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে অনুসরণের কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Published : 18 Nov 2020, 05:42 PM
আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকে আমার যে গভীর গভীর সংকটে, সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের অবশ্যই মাওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে, তার দর্শন নিয়ে এগোতে হবে।”
আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “যারা আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলি, কাজ করি, যারা আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, তাদের কাছে মাওলানা ভাসানী সত্যিকার অর্থে একজন দেবতার মতো মনে হয়। তিনিই আমাদেরকে দেখিয়েছেন, মানুষের কি জন্য মুক্তি দরকার, স্বাধীনতার দরকার, সার্বভৌমত্ব দরকার।
“তিনি সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন, তিনি একেবারে শোষিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। সেজন্য যারা সমাজের বিত্তশালী, যারা সমাজে প্রভাবশালী, যারা বিত্তের পাহাড় গড়ে তোলে তারা কখনই মাওলানাকে ভালো চোখে দেখেননি। সেকারণে সাম্রাজ্যবাদের যারা পূজারি তারা তাকে বলতেন ভায়োলেন্স। আর যারা আধিপত্যবাদের পক্ষে কথা বলেন, তারা তাকে বলেছেন তিনি একেবারেই একজন মৌলবাদী মানুষ।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “মাওলানা ভাসানী ধার্মিক ছিলেন কিন্তু একেবারে অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। মওলানা ভাসানী আমাদের সামনে একজন নক্ষত্র।”
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মাওলানা ভাসানীর পালন কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অঙ্গসংগঠনের আনোয়ার হোসেইন, আবদুল কালাম আজাদ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, হাসান জাফির তুহিন ও মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক শানু বক্তব্য রাখেন।