বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুসরণের মাধ্যমে সবার জন্য সামাজিক অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
Published : 23 Aug 2020, 01:21 AM
শনিবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তারা এই অভিমত দেন।
সভায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধ অনুসারে সবার জন্য স্বাধীনতা, কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়া এবং সমতার দিকগুলো টেকসই উন্নয়নের ভিত্তির সঙ্গে খাপ খেয়ে যায়। যেগুলো জাতিসংঘের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসাবে রয়েছে জাতিসংঘ এবং সংস্থাটি সর্বদা এভাবে পাশে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টজ।
তিনি বলেন, “তার মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশকে সবার সহায়তা করা উচিত।”
ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার ডিপিএসএন দায়াসেকারা বলেন, “সকলের সমঅধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধকে অনুসরণ করা উচিত।”
বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন পূরণে কূটনীতিকদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
“কিন্তু এই নেতার হঠাৎ বিদায়ের কারণে রুখে যায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেখিয়ে যাওয়া পথেই পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতিতে চলছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
ঢাকায় নিযুক্ত ৪০টি দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে এ সময় ১৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চলা নারকীয় অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি শিয়ার, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির এবং আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।