শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মাস্তানি’ চলবে না: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মাস্তানিতে’ জড়িতদের ধরতে সারা দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2019, 02:12 PM
Updated : 9 Oct 2019, 06:44 PM

এই অভিযানে কারও দলীয় পরিচয় দেখা হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের মধ্যে একথা বলেছেন তিনি।  

জাতিসংঘ ও ভারত সফর নিয়ে বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল; শুধু ঢাকা না, সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটা জায়গায় সার্চ করা হবে। সেই নির্দেশটাও আমি দিয়ে দেব।”

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখানে আমি আপনাদের মাঝেই বলে দিচ্ছি, সেটা করব করব। আপনাদের সহযোগিতা চাই।

“আপনারা বের করে দেন যে, কোথায়, কারা এই ধরনের অনিয়ম, উছৃঙ্খলতা করছে। কোনও দল টল আমি বুঝি না। পরিষ্কার কথা, কোনও দল আমি বুঝি না।”

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে সাম্প্রতিক সফরের বিষয় জানাতে বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিটি ছাত্রের পেছনে সরকারি অর্থ খরচের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামান্য টাকা… ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকায় সিট ভাড়ায় একেকজন রুমে থাকবে।

“আর তারপর সেখানে বসে এই ধরনের মাস্তানি করবে। আর সমস্ত খরচ বহন করতে হবে জনগনের পয়সা দিয়ে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য না।”

গত রোববার গভীর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফেইসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে হলের একটি কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে সংগঠনটির তদন্তেই উঠে এসেছে।

ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংগঠন থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে শোভন-রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এ ঘটনা ঘটানোকে কীভাবে দেখছেন সেই প্রশ্ন করেছিলেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে বলব। যখন এই ঘটনা একটা জায়গায় ঘটেছে এবং যখন দেখা গেছে এক রুম নিয়ে বসে…  জমিদারি চাল চালানো।

“তাহলে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি হল সব জায়গায় সার্চ করা দরকার। কোথায় কী আছে না আছে খুঁজে বের করা এবং এই ধরনের মাস্তানি কারা করে বেড়ায়, কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায় সেটা দেখা।”

আরও খবর