যতরকম উচ্চ শাস্তি আছে, এদের হবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 09 Oct 2019 05:30 PM BdST Updated: 09 Oct 2019 06:49 PM BdST
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে যারা ‘পিটিয়ে পিটিয়ে অমানবিকভাবে’ হত্যা করেছে, তাদের কঠিনতম শাস্তি হবে।
বুধবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, সে কোন দল, কী করে না করে, আমি কিন্তু সেটা দেখি না। আমার কাছে অপরাধী অপরাধীই। আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি।”
রোববার সন্ধ্যায় বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ডেকে নিয়ে যায় হলের কিছু ছাত্রলীগ নেতা। শিবির সন্দেহে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতনের এক পর্যায়ে গভীর রাতে হলেই তার মৃত্যু হয়।
দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা আবরারের ওপর কীভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে, ছাত্রলীগ কর্মীরা মাতাল অবস্থায়ী কীভাবে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পিটিয়েছে, সেই বিবরণ ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ নৃসংসতা কেন? এই জঘন্য কাজ কেন? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যতরকমের উচ্চ শাস্তি আছে সেটা দেওয়া হবে। কোন সন্দেহ নেই। দল-টল বুঝি না। অপরাধের বিচার হবেই।”
আওয়ামী লীগের কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে, তা কখনোই মেনে নেবেন না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ঘটনা জানার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকে বলেছেন, জড়িতদের যেন বহিষ্কার করা হয়।
“…এখানে আমি বিবেচনা করব না কিসের ছাত্রলীগ। অপরাধী অপরাধীই। অন্যায় করেছে, সে অন্যায়কারী। তার বিচার হবে। কারও দাবি-টাবির অপেক্ষায় থাকি না। আগেই আমি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। গ্রেপ্তার হয়েছে।”
ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ১৩ জনসহ মোট ১৯ জনের নামে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন আবরারের বাবা।
ঘটনার পর থেকেই খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ দশ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জাফর ইকবাল খান ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
‘ফুটেজ সংগ্রহে বাধা দিল কারা?’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা খুব সকাল বেলা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম আলামত সংগ্রহ করার জন্য। সাথে সাথে এটাও বলেছিলাম যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। তারা সেখানে পৌঁছে যায়। আলামত সংগ্রহ করে এবং সিসিটিভি ফুটেজগুলো দীর্ঘসময় ধরে সংগ্রহ করে।
“যখন পুলিশ সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ হার্ডডিস্কে নিয়ে আসছে তখন তাদেরকে ঘেরাও করা হল। তাদেরকে ফুটেজ নিয়ে আসতে দেওয়া হবে না। আইজিপি যোগাযোগ করল, বলল, ‘আমাদের লোকদের আটকে রেখে দিয়েছে। আলামত নিয়ে আসতে দিচ্ছে না’।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ফুটেজগুলো আনতে দেবে না কেন? তারা বলছে, ফুটেজগুলো পুলিশ নষ্ট করবে। পুলিশ গেছে আলামত সংগ্রহ করতে। ডেডবডির যাতে পোস্টমর্টেম হয়, সে ব্যবস্থা করা হল। ছাত্ররা নামার আগেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া… কোন রুম, কোথায়, কারা ছিলো যেটাকে পারো সবকটাকে ধরে অ্যারেস্ট করো। যে কটাকে হাতে পেয়েছি সবগুলোকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।“
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে প্রশ্নটা আমার। পুলিশকে আসতে দেবে না, আলামত নিতে দেবে না। আমি আইজিকে বললাম, বলা যায় না এর মধ্যে কী যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আছে? ফুটেজ পেলে পরে তারা ধরা পড়ে যাবে এজন্য তারা… পরবর্তীতে এই ফুটেজগুলো সংগ্রহ করে এবং একটা কপি কর্তৃপক্ষকে দিয়ে আসে। সেগুলো দেখে আইডেন্টিফাই করা দরকার ছিল, যেটা করা হচ্ছে এখন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কে ছাত্রলীগ, কে ছাত্রদল কে, কী করে আমি সেটা বিবেচনা করিনি। আমি বিবেচনা করেছি… অন্যায়ভাবে একটা বাচ্চা ছেলে ২১ বছরের ছেলে পিটিয়ে পিটিয়ে… কি অমানবিক!
“পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছেন। বাইরে অত ইনজুরি নেই, সমস্ত ইনজুরি ভিতরে। যে জিনিসটা আমার মনে পড়ল… ২০০১ সালে বহু নেতা-কর্মীকে এমনভাবে পিটানো হত, বাইরে থেকে ইনজুরি নেই, তারা মারা যেত।”
শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাভাবিকভাবে এটা সন্দেহের বিষয়। এরা কারা? হ্যাঁ, ক্ষমতায় থাকলে অনেকে দল করতে আসে। কিছু লোকতো আছে পার্মানেন্ট গভর্মেন্ট পার্টি।… এরকম কিছু থাকে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তারা আমার পার্টির এটাতো আমি কখনোই মেনে নেব না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকেছি। সবগুলোকে বহিষ্কার করতে বলেছি। পুলিশকে বলেছি অ্যারেস্ট করতে। ”
কারা পুলিশকে ফুটেজ নিতে বাধা দিয়েছে, তা খুঁজে দেখতে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর বেছে বেছে বের করতে পুলিশের জন্য সুবিধা হয়েছে। এটা একটু খোঁজ করেন, কেন বাধা দেওয়া হল। তিনটে ঘণ্টা সময় কেন নষ্ট করল? আমি জানি না এর উত্তর আছে কিনা। আন্দোলনই বা কিসের জন্য? বিচার হবেই।”
-
মোদীর সফর চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন জয়শঙ্কর
-
অরিত্রীর আত্মহত্যা: সাক্ষ্য দিলেন এক প্রতিবেশী
-
পাঁচ বছরে সাড়ে ২৬ হাজার ধর্ষণ মামলা
-
বরিশালে হেফাজতে মৃত্যু: মামলার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
-
স্বর্ণ আত্মসাৎ: সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের জামিন
-
শাহবাগে গ্রেপ্তার ৭ শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ
-
মামলার নথি গায়েব: আদালতের দুই কর্মী রিমান্ডে
-
তিতাসের এমডি, পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অমাননার রুল
-
সদ্য স্বাধীন দেশে অগ্রণী ভূমিকা ছিল এইচ টি ইমামের: রাষ্ট্রপতি
-
বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র
-
মোদীর সফর চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন জয়শঙ্কর
-
খালের দুই পাশও দখলমুক্ত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
-
অরিত্রীর আত্মহত্যা: সাক্ষ্য দিলেন এক প্রতিবেশী
-
পাঁচ বছরে সাড়ে ২৬ হাজার ধর্ষণ মামলা কেবল থানাতেই
সর্বাধিক পঠিত
- ভারতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু
- ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচই একটি প্রতিযোগিতা’
- সাবেক সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান
- টিভি সূচি (বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১)
- নিজের ভুল বুঝতে পারছেন ওয়ার্নার
- এইচ টি ইমাম আর নেই
- শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সেভিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে বার্সা
- ম্যাক্সওয়েল ঝড়ের পর অ্যাগারের ৬ উইকেট
- শিরোপার পথে সিটির আরেক ধাপ
- বার্সাকে খরচ কমানোর নির্দেশ, বাড়াতে পারবে রিয়াল