গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে রাজপথে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
Published : 27 Mar 2019, 10:06 PM
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জোটের এক সমাবেশে বক্তারা এই হুমকি দেন।
সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “এই সরকারের অনেক কিছু হচ্ছে, গণশুনানি হয় না কিন্তু দাম বাড়ানো হচ্ছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসা, তারা গত বছর কোনো ধরনের গণশুনানি ছাড়াই একসাথে পানির দাম ২৭ গুণ বাড়িয়েছে।
“গত ১০ বছরে ছয় বার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই ১০ বছরে কি মানুষের আয় ছয় বার বেড়েছে? না বাড়েনি। এবার গ্যাসের দাম ১০৩ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে, এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি।”
এলএনজি আমদানির ব্যয় সমন্বয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করেন সিপিবি নেতা।
তিনি বলেন, ভবিষতে সরকার এলএনজি বেসরকারি খাতে আমদানির সুযোগ করে দিয়ে কিছু ব্যক্তি, গোষ্ঠীকে এ খাতে ‘লুটপাটের’ সুযোগ করে দেবে।
বর্তমানে গ্যাসের প্রতিটি সিলিন্ডারে দ্বিগুণ দাম নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রিন্স।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “গ্যাস খাতে অব্যবস্থা ও দুর্নীতি চলছে। যে কারণে বার বার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
“সরকারের এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষ মানছে না। সরকার মনে করছে, তাদের আর জনগণের ভোটের দরকার নেই। সে কারণে সরকার তাদের যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছে।”
বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, “গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনে বাম জোট রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।”
বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী বলেন, “সরকার সমস্ত আইন-কানুনকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখছে। তারা মালিক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে প্রতিবছর গ্যাসের দাম বাড়ায়।”