ফের সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন এরশাদ: জাপা নেতা

রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা নিয়ে ভুগতে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার যকৃতের জটিলতার চিকিৎসার জন্য আবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 12:14 PM
Updated : 14 Jan 2019, 03:23 PM

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “স্যার এখনও অসুস্থ। তার লিভারের সমস্যার কিছুটা ইমপ্রুভ হলেও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছি না আমরা। খুব শিগগিরই স্যার আবারও সিঙ্গাপুরে যাবেন।”

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার মধ্যে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন এরশাদ।

ভোটের আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরেন তিনি। নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে বিজয়ী হওয়ার পর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথও নেন তিনি। শপথ নিতে তিনি সংসদ ভবনে গিয়েছিলেন হুইল চেয়ারে।

এরপর এরশাদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি নেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ হারান।

নিজের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এরশাদ ঘোষণা দিয়েছেন, তার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান হবেন তার ভাই ও দলের কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

স্ত্রী ও বিদায়ী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে বাদ রেখে ভাই জি এম কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতাও বানিয়েছেন এরশাদ।

তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জি এম কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসকের ‘অ্যাপয়নমেন্ট পেলে’ ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যেই সিঙ্গাপুরে যাবেন এরশাদ।

“উনিতো শারীরিকভাবে অসুস্থ, কিছুদিন আগেও সিঙ্গাপুরে ছিলেন, আবার এসেছিলেন। তখনই কথা উঠেছিল, উনাকে আবার যেতে হবে। তার ট্রিটমেন্ট সম্পন্ন হয়নি।“

সেক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দলের নেতা এরশাদ উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তার ভাইয়ের।

“তিনি সিঙ্গাপুরে গেলে বোঝা যাবে, কত দিন লাগবে, কত দিন থাকতে হবে। এখান থেকে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। ডাক্তারও বলছেন, সমস্যা কিছু আছে। ট্রিটমেন্ট হলে কতটুকু ঠিক হবে, তা বলা মুশকিল।“

এরশাদের ভাই বলেন, “উনি অধিবেশনে থাকবেন কি না, তা এখনই আমি বলতে পারছি না। ইন দ্য মিন টাইম উনি যদি ভালো থাকেন, তবে আসবেন। এ মুহূর্তে বলা বড় মুশকিল।”

‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ তকমা মুছতে এরশাদ এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করলেও এবার মন্ত্রিসভায় তারা যোগ দেবেন না।

২২ আসনে জয় পাওয়া জাতীয় পার্টি সংসদে ‘কার্যকর বিরোধী দলের’ ভূমিকা রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জি এম কাদের।

সোমবার ঢাকার বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যন জি এম কাদের বলেন, “জাতীয় পার্টি কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ বিরোধী দল হবে না। সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা রেখেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করবে জাতীয় পার্টি। যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।”

রাজনৈতিক সমীকরণে ‘অনেক জনপ্রিয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত’ নেতা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেবেন বলেও আশা করছেন কাদের।