রোববার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার দপ্তরে সাবেক এই সামরিক শাসককে এমপি হিসেবে শপথ পড়ান। শপথ পরিচালনা করেন সংসদ সচিব জাফর আহমেদ খান।
৮৭ বছর বয়সী এরশাদ অসুস্থতার কারণে হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। পরে ছোট ভাই জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সাহায্য নিয়ে তাকে উঠে দাঁড়াতে দেখা যায়। শপথ শেষে স্পিকার এরশাদের সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন তাদের নেতার শপথ অনুষ্ঠানে। পরে এরশাদ হুইল চেয়ারে করে সংসদ সচিবের কক্ষে গিয়ে সংসদ সদস্য বইতে সই করেন।
নির্বাচনের আগে পড়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দেওয়া এরশাদ ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তার দল জাতীয় পার্টি একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে। তিনি হবেন বিরোধী দলীয় নেতা, জি এম কাদের হবেন উপনেতা। আর দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে বিরোধী দলের চিফ হুইপ করার কথা বলেছেন এরশাদ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবার নির্বাচনে রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুরে চলে যান। তবে ভোটের আগে ফিরে এসে ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হলেও অসুস্থতার কারণে প্রচারে অংশ নিতে পারেননি তিনি।