বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে এরশাদকে স্পিকারের ‘স্বীকৃতি’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এবং গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2019, 08:02 AM
Updated : 14 Jan 2019, 12:13 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, কার্যপ্রণালি বিধি ও এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী স্পিকার এ অনুমোদন দিয়েছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

সেদিন ভোট হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭টি আসন পায়। আর তাদের জোটসঙ্গীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ২২টি এবং শরিক অন্য দলগুলো আটটি আসন পায়।

অন্যদিকে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সব মিলিয়ে সাতটি আসন পাওয়ায় তাদের সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নির্বাচিতরা গত ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও তাদের শরিকরা শপথ না নেওয়ার কথা বলে আসছে।

গতবার বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিসভাতেও ছিল জাতীয় পার্টি। এ কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ আখ্যা পেতে হয়েছিল এরশাদের দলকে। এবার জাতীয় পার্টি বা মহাজোটের শরিক অন্য কোনো দলের কেউ আওয়ামী লীগের সরকারে জায়গা পায়নি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ গত ৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, তার দল নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে। ‘পদাধিকার বলে’ তিনিই হবেন জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি দলের সভাপতি এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা। আর দলের কো চেয়াম্যান জি এম কাদের হবেন উপনেতা।

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা মন্ত্রী এবং উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। ‘বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশে তাদের সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করা রয়েছে। সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার পৃথক কার্যালয়ও রয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে ‘সরকারি দলের বিরোধীতাকারী’ সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত সংসদীয় দলের নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা এবং গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে রিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘স্বীকৃতি’ প্রদান করেছেন।