দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিতরা আপিল চলাকালেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে যে আদেশ হাই কোর্ট দিয়েছে, তার পেছনে ‘সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন’ দেখছে বিএনপি।
Published : 27 Nov 2018, 04:23 PM
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য, বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করবার জন্য, দেশের মানুষের অধিকারকে খর্ব করার জন্য এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।”
নিম্ন আদালতে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত পাঁচ বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আপিল চলমান থাকা অবস্থায় তাদের দণ্ড বা সাজা স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার যে আদেশ দিয়েছে, তাতেই খালেদার ভোটের পথ আটকে গেছে।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে আছেন কারাগারে। ওই দুই মামলায় তিনি আপিল ও সাজা স্থগিতের আবেদন করলেও হাই কোর্টের আদেশের ফলে তার ভোটের অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল।
ওই আদেশের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মনে করি, এই রায়, এই আদেশে সরকারের আশা-ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।”
নির্বাচন সামনে রেখে গঠিত সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ফখরুল বলেন, হাই কোর্টের ওই আদেশ জনগণের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
“ঠিক নির্বাচনের পূর্বে দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে আবারও এক রায় দেয়া হল যে, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।… এটা কোনো মতেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই রায় জনগণ মেনে নিতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”