পুলিশের গাড়িতে হামলার মামলায় সোহেল রিমান্ডে

পুলিশের গাড়িতে হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 11:17 AM
Updated : 19 Sept 2018, 11:18 AM

গত জানুয়ারি মাসে শাহবাগ থানার দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এই অনুমতি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা ‍পুলিশের এসআই আবদুল করিম বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

গত ৩০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার দিনে প্রেস ক্লাবের কাছে বিক্ষোভরত বিএনপিকর্মীদের কয়েকজনকে পুলিশ আটক করলে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি সোহেল ওই হামলার মদদদাতা ছিলেন বলে আদালতে দেওয়া পুলিশ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ের আগের এই সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় সোহেলের রিমান্ড শুনানি হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলার আসামি সোহেলকে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। শান্তিনগরে তার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশিও চালানো হয়েছিল।

গত ১ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনের জনসভায় হাবিব-উন নবী খান সোহেল

তবে এর মধ্যেও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিলেন সোহেল। গত ১ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভাতেও তাকে দেখা গিয়েছিল।

আদালতে সোহেলের আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত বিএনপি নেতাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকারের একটি মহল এই কাজ করেছে।

“মামলা হয়েছে ১২৯ দিন আগে। এতদিনেও তাকে কেন ধরা হল না? তিনি তো প্রকাশ্যেই ছিলেন। এখন ধরার পেছনে উদ্দেশ্য আছে। অন্য কারণ আছে।”

এতদিনেও মামলার তদন্ত শেষ না হওয়াকে ‘পুলিশের ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখান সোহেলের আইনজীবী।