সুন্দরগঞ্জে জাপা; নাসিরনগরে আ. লীগ

উপ-নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে পারলেও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি হারাতে হয়েছে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাছে।

গাইবান্ধা ও ব্রাহ্মণাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2018, 05:01 PM
Updated : 13 March 2018, 05:01 PM

মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে নাসিরনগর এবং  গোলাম মোস্তফা আহমেদের মৃত্যুতে মঙ্গলবার এই দুই সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি অংশগ্রহণ করার মধ্যে গোলযোগ ছাড়াই এই দুটি আসনে দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফল ঘোষণা করা হয়।   

গাইবান্ধা-১ আসনে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী

রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, লাঙ্গল প্রতীকে শামীম হায়দার ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফরুজা বারী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯১৩ ভোট।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৭১১ ভোট। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান আম প্রতীকে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট।

নির্বাচনটিতে ৪৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা সাহাতাব। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৭ ভোট দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন গুলিতে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়েছিল। পরের বছর উপ-নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গত ১৯ ডিসেম্বর মোস্তফা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে আবার এ আসনটি শূন্য হয়।

লিটনের আগে এ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে ছিল।

নাসিরনগরে দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য ছায়েদুল হকের আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। 

বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, নৌকা প্রতীকে সংগ্রাম ৮৩ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির রেজোয়ান আহমেদ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৮৪ ভোট।

অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ২২৮৭ ভোট।

ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সংগ্রাম বীরউত্তম খালেদ মোশাররফের ভাগ্নে। তার বাবা-মা দুজনই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা ফকরুল হোসেন স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় রেডক্রস সোসাইটির প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ার সময়ই ছাত্রলীগে যোগ দেন সংগ্রাম। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে সংগঠনে দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ ২০০৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক।