শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রকারান্তরে জামায়াতে ইসলামীকে পুনর্বাসিত করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
Published : 19 Nov 2016, 06:35 PM
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড়ের মধ্যে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন খালেদা।
নাম উল্লেখ না করলেও তিনি সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন, যা নিবন্ধন বাতিল হওয়া দল জামায়াতকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন।
শনিবার এক আলোচনা সভায় রাজ্জাক বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন তার প্রস্তাবে বলেছেন সকল দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এ সকল দলের মধ্যে ২০ দল এবং ১৪ দল রয়েছে।
“২০ দলের জামায়াতের তো এখন নিবন্ধন নেই। তাই তিনি প্রস্তাব দিয়েছে স্বাধীনতার পরে যারা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে, যার মধ্যে জামায়াত এবং ফ্রিডম পার্টি রয়েছে।”
“জামায়াতের জন্য তাদের কী রকম মায়া, তাদের মায়া এখনও ছাড়তে পারছে না বিএনপি,” বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।
“তার এই ফর্মুলায় নতুন কিছু নেই। ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) বুঝতে পেরেছেন যে, চরম ভুল করেছিলেন তিনি।”
নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবের সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, “বেসামরিক সরকারে সেনাবাহিনীকে কেন বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে? কারণ বিএনপির জন্ম সেনাছাউনিতে, তারা সবসময় অসংবিধানিক কিছুর আশা করে।”
২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাজ্জাক। ওই অনুষ্ঠানে তার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নতুন দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।