সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে ঢাকায় না থেকে প্রকল্পস্থল রামপালে গিয়ে জনসভা করতে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
Published : 03 Oct 2016, 07:11 PM
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপালে নির্মিতব্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সোমবার বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ বলেন, “খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই- আমাদের সবার স্বার্থে, দেশবাসীর স্বার্থে আপনি আপনার প্রথম জনসভাটা রামপালেই করুন। সেখান থেকেই শুরু হোক আপনার যাত্রা।”
সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতায় পরিবেশবাদী ও বামপন্থি দলগুলোর পর বিএনপিও নেমেছে।
খালেদা জিয়া সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জাফরুল্লাহ শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি গোয়ার্তুমি ছেড়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবে, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়টা খোলামনে বিবেচনা করে দেখুন। তাতে আপনারই লাভ বেশি হবে।”
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ্যাব আয়োজিত এই সভায় জাফরুল্লাহ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাবিত সিরাজগঞ্জের ১৩০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে না দেওয়ার সমালোচনাও করেন।
“বিদ্যুতের প্রয়োজন দেশে। এই সত্যতা যদি বিএনপি আসলে বুঝত তাহলে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে (বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী) ওই সময় যদি বিদ্যুৎ প্রকল্পটা করার সুযোগ করে দিত, তাহলে বিএনপি আজ উপকৃত হত।”
‘বৈঠক দিনে করুন, বিদ্যুৎ বাঁচান’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাতের পরিবর্তে তিনে অফিস করা এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক করার পরামর্শও দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার প্রতি আমার আবেদন, উনার রাতে মিটিং করে এত বিদ্যুৎ অপচয় করা ঠিক নয়। এই মিটিংটা বিদ্যুৎ অপচয় রোধের স্বার্থে উনাকে দিনের বেলা, বিকাল বেলা করতে হবে।
“হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উনার আলো দরকার। উনি সাহসী। উনি অতীতে কম সাহসের পরিচয় দেননি। নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কিন্তু তিনি সময়মতো বেরিয়ে আসেননি।”
দেশের ৬ কোটি মানুষ খালেদার দিকে তাকিয়ে আছে দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, “উনি তাদেরকে তো আশার কথা বলতে পারেন। উনি প্রতি সাপ্তাহে একদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিং করলে, সারাদেশের তথ্য নিয়ে আলাপ করলে উনার জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।”