কর্মীদের ‘দুর্দশার’ কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পঁচাত্তর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত হত্যা ও নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Published : 24 Aug 2016, 10:18 PM
বুধবার বিকালে রাজধানীতে একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এবিষয়ে কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাদের বলেন, “নেতাকর্মীদের নির্যাতন দেখে আপনার চোখে জল আসে। ৪১ বছর ধরে আমরা শুধু কাঁদছি। আমাদের চোখের জল শুকিয়ে গেছে। আমরা কাঁদতে ভুলে গেছি।
“পঁচাত্তর থেকে ৪১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্তে রঞ্জিত আপনাদের হাত। এখন কার জন্য মায়া কান্না করছেন।”
এর আগে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল তার দলের ‘দমন-পীড়নের শিকার’ কর্মীদের কথা বরতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
এর পরদিন মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে একুশে অগাস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত সভায় বিএনপির রাজনীতি নিয়েও সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
তার মতে, আন্দোলনের কোনো যৌক্তিক পথ খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করাই বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাদের বলেন, “বিএনপি নামক দলের মুড হচ্ছে নন ইস্যুকে ইস্যু করে বিতর্ক সৃষ্টি করা। বিতর্কই এখন তাদের রাজনীতির প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আর আসে না। বিএনপির আন্দোলনের ডাক এখন হাসি-মশলার বিষয় হয়ে গেছে।
“বিএনপির কথা… রোজার পর, পরীক্ষার পর, ঈদের পর সর্বাত্মক আন্দোলন হবে। আন্দোলন আর আসে না। এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে… কোন বছর?
বিএনপি মিথ্যাচারকে পুঁজি করে রাজনীতি করে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
“মিথ্যাচারকে পুঁজি করে বিএনপির রাজনীতি। কখনও ভারত প্রীতি, কখনও ভারত ভীতি। পুরোহিত হত্যা করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়নি বলে এখন রামপাল নিয়ে আওয়ামী লীগ আর ভারতকে এক জায়গায় এনেছে তারা (বিএনপি)।”
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সভাপতিত্বতে সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব) ফারুক খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর বক্তব্য রাখেন।