রাজনীতিবিদদের কথা বলার চেয়ে কাজে মনযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষ এখন আর বেশি কথা শুনতে চায় না।
Published : 13 Nov 2015, 05:02 PM
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
কাদের বলেন, “আমাদের ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে। আমরা যত ভালো কথা বলেছি সে তুলনায় ভালো কাজ করছি না। এদেশের মানুষ ভালো কথা শুনতে শুনতে টায়ার্ড হয়ে গেছে। তাই বেশি বেশি ভালো কথা না বলে, আমাদের বেশি বেশি ভালো কাজ করতে হবে। এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশান বেশি।”
রাজনীতিবিদদের লাগামহীন জিহ্বাকে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “তারা কথাবার্তা বলার সময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি, সেন্সলেস পলিটিক্স।
এই দুটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ বড় ধরনের দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
রাজনৈতিক বিভক্তির কথা উল্লেথ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুর মতো আমরা নিজস্ব অর্থায়নে একটি সেতু তৈরি করছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যকার যে সেতু দরকার তা আমরা তৈরি করতে পারিনি। আজকের রাজনীতি এতটাই বিভাজিত।”
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দিয়ে রাজনীতিকে বিষাক্ত করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“দারিদ্র্য আর ধর্মীয় উগ্রবাদ বর্তমানে আমাদের জাতীয় বিপদ। আমাদের এক অভিন্ন গৌরব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। আর অভিন্ন বিপদ হচ্ছে ধর্মীয় গোঁড়ামি। অভিন্ন গৌরবকে রক্ষার্থে অভিন্ন শত্রুকে প্রতিহত করতে সকলকে একতাবদ্ধ হবে হবে।”
নিজেকে ‘সার্বজনীন মন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যদিও আমি দলের মনোনীত মন্ত্রী তারপরও আমি মনে করি আমি কোন দলের মন্ত্রী নই, আামি দেশের মন্ত্রী।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চার জন সাবেক শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন কবির, সোহেল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. মোহাব্বত খান এবং সৈয়দ মমতাজ শিরীন গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়।