কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী

গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কারাগারে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি বলেন, “নৈরাজ্যের হুকুমদাতা, অর্থদাতা ও হোতা হিসেবে তারা (বিএনপি নেতা) গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।”

অবরোধের নামে বিএনপি জনগণের জানমালের ওপর হামলা চালাচ্ছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, “যে কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। কিন্তু বিএনপি সেটা করছে না। ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে যেমন হাসপাতাল, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স রেহাই পাচ্ছে না, বিএনপির হাত থেকেও তেমনি কোনো কিছু রেহাই পাচ্ছে না।

“বিএনপি চায় দেশের সব কার্যক্রম ব্যাহত হোক। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা অবরোধ দিচ্ছে। ...। দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্য এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “অবরোধ ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করা হলে জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, সরকারের কিছু করতে হবে না। আমরা জনগণের সঙ্গে থাকব।”

গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “কেউ কেউ ভেবেছে বিদেশে বসে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। যেখান থেকে বসে গুজব রটানো হচ্ছে, আমরা সেই দেশে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

বিএনপির কর্মসূচি ‘তালেবানি কায়দায়’

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী অনলাইনে ব্রিফিং করে অবরোধের যে ডাক দিচ্ছেন, তাকে ‘তালেবানি কায়দা’ আখ্যা দিয়েছেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, “আগে তারা (বিএনপি) কর্মসূচি ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলন করত। এখন দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণার সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির ঘোষণার কোনো তফাত নেই।

“আফগানিস্তানে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন তারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করত কিংবা ইসলামিক স্টেট যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঠিক একই কায়দায় অনলাইনে তারা এখন কর্মসূচি ঘোষণা শুরু করেছ।”

‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১২টি দেশের বাজার থেকে বাংলাদেশের কারখানায় তৈরি হওয়া নানা ব্র্যান্ডের পোশাক তুলে নেওয়া হচ্ছে’ বলে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যে পত্রিকাটি সংবাদটি ছেপেছে, তাদের কাছে আমরা কৈফিয়ত তলব করব।”