খালেদার খনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে

শুনানির নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে ২০ মার্চ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2023, 01:07 PM
Updated : 25 Jan 2023, 01:07 PM

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আরও পিছিয়েছে, শুনানির নতুন তারিখ ঠিক হয়েছে ২০ মার্চ।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ঠিক ছিল। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এদিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাজিরা দেন।

এরপর অন্য আসামিদের পক্ষে শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ দেন ২০ মার্চ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন হাই কোর্টে স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ খারিজ হওয়ার পর এ আদালতে মামলাটি আসে, সেটাও তিন বছরের বেশি সময় আগে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এই মামলায় অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী আমিনুল হকের করা মামলা বাতিলের আবেদনের রুল খারিজ করে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির রায় দেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরেক আসামি আমিনুল হকও মারা গেছেন।

ফলে এখন মামলার আসামি ১০ জন। তারা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে বাসায় রয়েছেন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনি নিয়ে দুর্নীতির এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।

Also Read: খালেদার ১১ মামলায় পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই