সঙ্গীদের অনেকের হারের মধ্যে ভোটে জিতে গিয়ে মেননের উপলব্ধি, সংগ্রাম করে টিকে থাকাটাই ‘বড় ব্যাপার’।
Published : 10 Jan 2024, 03:19 PM
একাদশ জাতীয় সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য ছিলেন তিনজন, দ্বাদশে তা কমে হয়েছে এক; দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের তাই নিজেকে ‘হারাধনের শেষ ছেলেটি’ মনে হচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মেনন।
জোটের সাতজন গতবার এমপি ছিলেন, এবার মাত্র দুজন। অনুভূতি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, "হারাধনের একটি ছেলে। টেকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংগ্রাম করে টিকে থাকাটা বড় ব্যাপার।
“বিশেষ করে আমরা যারা সাধারণ মানুষের সাথে মিশি, চলি, যাদের অর্থবিত্ত নেই তাদের এ ধরনের নির্বাচনে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। আমার বিজয়টা এবার বিস্ময়কর লেগেছে, কারণ আমি ৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন করে এবার আমি সর্ব বৃহৎ ব্যবধানে জিতেছি। প্রায় ৯০ হাজার ভোটে আমি জিতেছি। ভোটে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা আমার ভালো লেগেছে।"
২০০৮ সাল থেকেই ১৪ দল ও আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে আসছে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ১৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেবার জাসদ জেতে দুটি আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, বিকল্পধারা ২টি এবং তরীকত ফেডারেশন ১টি আসনে জিতেছিল। পরে বগুড়া-৪ আসনে উপ নির্বাচনে জিতে সংসদে আসেন জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের মাত্র ছয়টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। নিজ দলের প্রতীক বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে ভোট করেও তাদের চারজন জয়ের মুখ দেখেননি। জয়ী হয়েছেন কেবল রাশেদ খান মেনন এবং রেজাউল করিম তানসেন।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়া-২ আসনে এবারও নৌকা দেওয়া হয়েছিল। এ দলের মোশাররফ হোসেন নৌকা নিয়ে ভোট করেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে। দুজনেই হেরেছেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গত তিনবার ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এবার তাকে আওয়ামী লীগ ছাড় দেয় বরিশাল-২ আসন, সেখানে প্রায় ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়ী হন।
কিন্তু ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আগের মত রাজশাহী-২ আসনে নৌকা নিয়ে ভোট করেও প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হেরেছেন।
এর বাইরে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দেওয়া হয় তার পিরোজপুর-২ আসন। এ আসনে আগে দুইবার জয়ী হলেও এবার তাকে হতাশ হতে হয়েছে।
রাজধানী ছেড়ে দীর্ঘদিন পর নিজের এলাকায় ভোট করে কেমন লাগল, মেননের কাছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, "এই আসনে (বরিশাল-২) ১৯৯১ সালেও আমি এমপি ছিলাম। সেখানে পিছিয়ে থাকা লোকজন রয়েছে। তারপরও আমি মনে করেছি যে মানুষ আমাকে পুরনোভাবেই গ্রহণ করেছে। এবং সেভাবেই তারা আমাকে দেখতে চায়।"