জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হরতাল ডাকে ৮ দলের এ জোট।
Published : 24 Aug 2022, 10:08 PM
জ্বালানি তেল, সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম, পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবিতে এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
হরতালের আগের দিন বুধবার পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি পালনে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অর্ধবেলার হরতালে সবাই ‘স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন’ দিয়েছে দাবি করে লিখিত বক্তব্যে তিনি দেশবাসীর প্রতি তা সফল করার আহ্বান জানান।
হরতালের পরও সরকার দাম কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ইঙ্গিত দেন জোটের সমন্বয়ক।
তার অভিযোগ দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালের প্রচারে হামলা ও বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন বলে দাবি তার।
প্রিন্স বলেন, “সরকার বর্তমান সংকটে মানুষ বাঁচাতে দায়িত্বশীল আচরণ না করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছে। সম্প্রতি মোটা চালসহ চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনকে একেবারেই অতিষ্ঠ করে তুলছে। এরপর এই মূল্যবৃদ্ধি মানুষ কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না।
“এর মধ্যে পানির দাম সেপ্টেম্বর থেকে আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোরও পাঁয়তারা চলছে। মূল্যবৃদ্ধির যাতাকলে সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এই সংকটকালে দেশের লাখ লাখ চা শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির জন্য দু’সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করলেও মালিক-সরকার সময়ক্ষেপণ করে দাবি অগ্রাহ্য করে চলছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন থেকে চা-শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরিসহ ৭দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকার ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।“
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হরতাল চলাকালীন সময়ে হাসপাতাল, জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, লাশ বহনকারী গাড়ি, গণমাধ্যমের গাড়ি, ওষুধের দোকান, খাবার হোটেল কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্ক্সবাদী) এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী) এর বিধান দাশ, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির মিহির ঘোষ, শামছুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না ও লুনা নূর, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের হারুন উর রশীদ ও নজরুল ইসলাম, বাসদ (মার্কসবাদী) এর মানস নন্দী উপস্থিত ছিলেন।