ঢাকার পুরানা পল্টনে কালো পতাকা হাতে নিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
Published : 26 Jul 2024, 09:32 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ঢাকায় শোক মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার পুরানা পল্টনে কালো পতাকা হাতে নিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক মিছিল ও সমাবেশ করে তারা।
শোক মিছিলের আগে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনী-বিজিবিকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা, স্বাধীন কমিশন গঠন করে অংশীজনের মতামত নিয়ে কোটা ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান করাসহ বিভিন্ন দাবি তোলা হয়।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল খুলে দিতে হবে, ক্যাম্পাসগুলো থেকে সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন করে আন্দোলনকারীসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।
দায় স্বীকার করে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করেই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবিও ওঠে সমাবেশে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার বেলাল চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সিপিবির মিহির ঘোষ, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশ জাসদের মুশতাক হোসেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির রুবেল সিকদার, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার জাফর হোসেন, গণমুক্তি ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন নাসু, বাসদের (মাহবুব) মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের মাসুদ খান উপস্থিত ছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থনকারীদের মধ্যে বিএনপির পাশাপাশি এসব দল ও জোট রয়েছে।
আন্দোলনে নজিরবিহীন সহিংসতায় প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে কারফিউ ও সেনা মোতায়েন করা হয়। গত রোববার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সরকারি ছুটির দুই দিন শুক্র ও শনিবার ৯ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।