“নাৎসি পার্টির যেমন রাজনীতি করার অধিকার নেই, আওয়ামী লীগেরও তেমন অধিকার নেই,” বলেন ইরান।
Published : 22 Mar 2025, 02:40 PM
জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দোসর’ বর্ণনা করে দলটির বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চাই। শুধু দলটি নয়, তাদের দোসর জাতীয় পার্টি সমানভাবে দোষী। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন সম্ভব হয়েছে জাতীয় পার্টিসহ আরও কিছু দোসর সঙ্গে থাকার কারণে।
“যে দোষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি, একই কারণে জাতীয় পার্টিসহ দোসরদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বলেছি।”
শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিভিন্নভাবে উদ্যোগের চেষ্টা চলছে দাবি করে ইরান বলেন, “এটা রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বাংলাদেশে করার কোনো অধিকার নেই।
“নাৎসি পার্টির যেমন রাজনীতি করার অধিকার নেই, আওয়ামী লীগেরও তেমন অধিকার নেই।”
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এরইমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে ৩৮টি দলকে অনুরোধ জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। তার মধ্যে গোটা বিশেক দল তাদের লিখিত মতামত জানিয়েছে। এরপর গেল বৃহস্পতিবার থেকে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করছে ঐকমত্য কমিশন।
সংস্কার প্রশ্নে ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১৪৭টিতে লেবার পার্টি একমত প্রকাশ করেছে জানিয়ে দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, “আমরা একমত নয় ৭টির সঙ্গে, ২টি প্রস্তাবের সঙ্গে আংশিকভাবে একমত হয়েছি। আমরা সংবিধান সংস্কারের ৭০টি প্রস্তাবের ৪০টি নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে করার জন্য বলেছি। আর নির্বাচনের পরে ৩০টি সাংবিধানিক সংসদের মাধ্যমে করার জন্য বলেছি।
“জনপ্রশাসনের ২৬টির (সুপারিশ) মধ্যে ২২টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের পরে দুটি। নির্বাচন কমিশনের ২৭টি প্রস্তাবের ২১টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে, তিনটি নির্বাচিত সরকার। বিচার বিভাগের ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৫টি প্রস্তাব অধ্যাদেশ, ৮টি নির্বাচনের পরে। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে ২০টির মধ্যে ১৮টি নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, নির্বাচনের পরে দুটো পাস করার কথা বলেছি।"