“স্বাধীন বাংলাদেশে আমিই প্রথম টানা তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক, কত জনের ভাগ্যে জুটেছে?” বলেন তিনি।
Published : 25 Dec 2022, 05:45 PM
ছাত্র রাজনীতির সুনাম ফেরাতে নেতৃত্বে ‘স্মার্টনেস’ প্রয়োজন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে লিডারশিপকে স্মার্ট হতে হবে। স্মার্ট মানে সুন্দর পোশাক পরা না, সাধারণ পোশাক পরেও স্মার্ট থাকা যায়; স্মার্টনেস চেতনায়, মনের ভেতর…চেতনায় থাকলে, মনে থাকলে, বাইরেও তার প্রকাশ ঘটবে।”
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য ও সুনামের ধারা ফিরিয়ে আনতে ছাত্রলীগের নব মনোনীত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ছাত্র রাজনীতিটাকে দুর্নামের ধারা থেকে বের করে আনতে চাই। ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির সুনামের ধারা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে, কোথায় যেন তলিয়ে গেছে। ছাত্র নেতাদের বলব, ছাত্র রাজনীতিকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।“
ছাত্রলীগের এক সময়ের সভাপতি কাদের বলেন, “নেত্রী অনেক আশা নিয়ে সাদ্দাম ও ইনানকে সেন্ট্রালে এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে শয়ন ও সৈকতকে পছন্দ করেছেন। ঢাকা সিটিতেও আমরা উত্তর-দক্ষিণে কমিটি করেছি। আমরা সিভি দেখে, সবার সবকিছু দেখে, অনেক আশা নিয়ে নেত্রী তোমাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে।
“ছাত্র রাজনীতিকে যদি তোমরা আকর্ষণীয় করে তুলতে পারো, তাহলে তোমরা সফল। তা না হলে, সেই পুরানো বিষয়গুলো আবারও আমাদের হতাশ করবে।”
টানা তিনবারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় জীবনের সব আশা পূর্ণ হওয়ার কথাও জানান ওবায়দুল কাদের।
“স্বাধীন বাংলাদেশে আমিই প্রথম টানা তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক, কত জনের ভাগ্যে জুটেছে? বঙ্গবন্ধুর মতো তুখোড় নেতা সেই ৫০-এর দশকে ছয় মাসের মতো আর স্বাধীনতার পরে কয়েক বছর মন্ত্রী ছিলেন। এই অবস্থায় তার রক্তাক্ত বিদায়।
“সেখানে আমার মতো গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন শিক্ষকের ছেলে ১৬ বছর মন্ত্রী! আর কী চাই? সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হয়ে গেছে, আর কিছু চাই না।”
এর আগে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক পুনর্মিলনী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ।
উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাইদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এই মিলনমেলার মধ্য দিয়ে অ্যালামনাইরা একে অপরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করবেন। বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইরা সর্বদা অবদান রেখে চলেছেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ ও মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ বিভাগের অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।