তাদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন কোটি টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
Published : 07 Jan 2025, 08:51 PM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের সহকারী একান্ত সচিব ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং তার স্ত্রী সীমা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এছাড়া গাইবান্ধা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধেও একটি মামলা হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
দায়ের করা প্রথম মামলায় শিখরের বিরুদ্ধে সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৫২১ টাকার সম্পদ’ অর্জন করে ভোগদখলে রাখা এবং ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সাতটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ টাকার ‘সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের’ তথ্য পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী সীমা রহমানের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৩৩২ টাকার সম্পদ’ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ মামলায় তার স্বামী শিখরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
গত ২৮ অগাস্ট শিখরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ১৫ অক্টোবর শিখর ও সীমার বিদেশাযত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত।
আবুল কালাম আজাদের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ‘অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৬৮ টাকার সম্পদ’ অর্জন করেন।
এছাড়া ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সাতটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। ওই টাকা তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে’ অর্জন করেছেন বলে দুদকের ভাষ্য।
এজাহারে বলা হয়, আজাদের স্ত্রী মোছা. রুহুল আরা রহিমের ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার কোনো বৈধ উৎস মেলেনি। তাকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিস দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা
‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের (বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি'র কার্যালয়ে সংযুক্ত) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
সোমবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহজাহান ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এক কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার ৯৫৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জন ও ভোগদখল’ করেছেন।
২০২৩ সালে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। গত বছরের ২৩ অক্টোবর তাকে তলব করা হয়।
শাহজাহান সবশেষ রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। এর আগে তিনি ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ছিলেন। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. শাহজাহানের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।