“অথচ আজকে যখন (ফিলিস্তিনে) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি নিয়ে তারা নিশ্চুপ,” বলেন হাছান মাহমুদ।
Published : 16 Oct 2023, 05:53 PM
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে বিএনপি ও জামাত ‘কড়া মসুলমান’ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি এবং জামায়াত যখন নির্বাচন আসে তখন কড়া মুসলমান হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলে। অথচ আজকে যখন (ফিলিস্তিনে) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি নিয়ে তারা নিশ্চুপ।
“একটি বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে, সে কারণে নিশ্চুপ থেকে বিএনপি প্রকৃতপক্ষে এই বর্বরতা, নির্মমতা, যুদ্ধাপরাধের পক্ষ নিয়েছে এবং ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। দেশের জনগণ এদেরকে চিনে রাখবে।”
এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, “ইসরায়েলে পাখি শিকার করার মত করে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। যুদ্ধের কথা বলে পুরো গাজায় খাদ্য, পানীয়, জ্বালানি, বিদ্যুৎ সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি হাসপাতালেও বোমাবর্ষণ করছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে।
“প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবেও এই বর্বরতা বন্ধের ব্যাপারে বক্তব্য রেখেছি এবং এটির সমালোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান যেমন ইসরাইলকে সাহস যোগাচ্ছে, বিএনপিকেও সাহস যোগাচ্ছে- দুটোর মধ্যে মিল আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিএনপির আন্দোলনে কেউ সমর্থন জানায়নি। তাদের তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের দাবির প্রতিও কেউ সমর্থন জানায়নি।”
জনগণের ওপর বিএনপির কোনো ‘আস্থা নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সে জন্যই জনগণের দিকে না তাকিয়ে বিএনপি এখন কাকের মতো দূর দেশ থেকে কে কী বললো. সে দিকে তাকিয়ে থাকে।
“কাক যেমন কখন কে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলল, সে দিকে তাকিয়ে থাকে, মির্জা ফখরুল সাহেবরাও তেমন পাশ্চাত্যের দিকে তাকিয়ে আছে। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক’- মির্জা ফখরুল সাহেবরা এগুলো বলে তাদের কর্মীদের একটু চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন মাত্র।”
নির্বাচনের আগে সংলাপ করতে বিদেশিদের পরামর্শ প্রসঙ্গে হাছান বলেন, “ক্ষমতার মালিক জনগণ। আমরা জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, জনগণই এ দেশের মালিক, জনগণই নির্ধারণ করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে, কারা দেশ পরিচালনা করবে না।
“বন্ধু রাষ্ট্রের যে কেউ যে কোনো পরামর্শ দিতে পারে। দেশ আমাদের, দেশের মালিক জনগণ এবং দেশের জনগণ কি চায় সেটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা পরামর্শ দিতে পারে সে পরামর্শ গ্রহণ করবো কি করবো না সেটি আমাদের এখতিয়ার। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে- বিএনপির এই সমস্ত শর্তে কখনো সংলাপ হতে পারে না।”