করোনাকালে ফিজিক্যাল স্টোরে কেনাকাটার বদলে অনলাইনে দরকারি পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের একটা ব্যবস্থা জোরদার হয়ে উঠেছিল। এবার ঈদের বাজারে সেটা কতখানি কী ভূমিকা রেখেছে, এ প্রশ্ন আছে।
Published : 22 Apr 2023, 01:20 AM
তীব্র গরম পড়েছে দেশে এবং এরই মধ্যে এসেছে ঈদ আর একে ঘিরে পল্লবিত হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ঈদের একটা অর্থনীতি তো আছে এবং তা ক্রমে হচ্ছে বড়। ঈদুল ফিতরের অর্থনীতির একটা বিচিত্র বিকাশের ব্যাপারও রয়েছে। এর সূত্রপাত আসলে হয় রোজার শুরু থেকে। সত্যি বলতে, শবে বরাত থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে থাকে। তারা তো জানে, ঈদ এবং তারও আগে রমজানে মানুষ সাধ্যমতো কেনাকাটা করবে। কেনাকাটা মানে শুধু খাদ্যপণ্য নয়; বরং জামাকাপড় থেকে নিয়ে জুতা-স্যান্ডেল হয়ে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী। বেশি দাম দিয়ে বাসের টিকিটও কাটবে তারা। কিছু লোক বিমানে যাতায়াত করবে এ সময়ে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা ভাড়া দিয়ে। একশ্রেণীর মানুষ ঈদের ছুটিতে ভ্রমণেও বেরোয়। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে না গিয়ে বরং নিজেরা আলাদা হয়ে সময় কাটাতে চায় কোনো ট্যুরিস্ট স্পটে। ট্যুরিস্ট স্পট মানে কেবল দেশের ভেতরকার নয়; অনেকে বিদেশেও চলে যায় ছুটি কাটাতে। ভারতসহ এশিয়ায় জনপ্রিয় কিছু ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন আছে। আজকাল অনেকেই যাচ্ছে চায়না। একশ্রেণীর লোক নাকি পছন্দ করছে দুবাই যেতে। এবার দক্ষিণ এশিয়া প্রায় একযোগে আক্রান্ত হয়েছে তাপপ্রবাহে। এসব খবর রাখা লোকজন মধ্যপ্রাচ্যের ওইসব স্পটে চলে যেতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা কম আর বৃষ্টিও নাকি হচ্ছে। আবহাওয়ার ক্ষেত্রে একটা প্যারাডাইম শিফট হচ্ছে মনে হয়। এর প্রভাবে আমাদের মতো দেশগুলোয় গ্রীষ্মকাল তার যাবতীয় তীব্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং এর স্থায়িত্ব হচ্ছে বেশি।
এবার যে গরম পড়েছে, সেটা অনেককেই অবাক করছে এবং এরই মধ্যে আমরা পালন করেছি পহেলা বৈশাখ আর তার ক'দিন পরেই এসে গেল ঈদ। এ দুটো এত কাছাকাছি এসে পড়েছে এবং এরই মধ্যে রোজা পড়ে যাওয়ায় বৈশাখে কেনাকাটার বিষয়টি চলে গেছে পরোক্ষে। এদিকে দেশের সিংহভাগ মানুষের হাতে বাড়তি খরচ করার মতো পয়সাকড়ি নেই। নিত্যপণ্যের দাম গত এক-দেড় বছরে এত বেড়েছে এবং বৃদ্ধিটা যেভাবে বহাল আছে, তাতে বহু মানুষের পক্ষেই একাধিক উপলক্ষে কেনাকাটা করা প্রায় অসম্ভব। এদেশে অবশ্য চার-পাঁচ কোটি লোক আছে, যারা উচ্চ থেকে মধ্যবিত্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এদের আছে ক্রয়ক্ষমতা এবং তারা পণ্যবাজার চাঙ্গা রাখার জন্য যথেষ্ট। দুনিয়ার অনেক দেশেই তো সাকুল্যে পাঁচ কোটি লোক নেই। এখন বাংলাদেশের এ ২৫-৩০ শতাংশ লোক যদি নিত্যপণ্য কেনার পর অন্যান্য ভোগ্যপণ্যও নির্বিঘ্নে কিনতে পারে এবং তারপর আবার ভ্রমণের অবকাশ পায়, তাহলে তো বলতে হয় দেশের অবস্থা অত খারাপ নয়। সরকারি সংস্থা বিবিএসের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, দেশে গত ছ'বছরে কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্য কমেছে আরও। এরকম তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত জরিপের অবশ্য মিল নেই। তারা পরস্পরের জরিপ নিয়ে প্রশ্নও তুলে থাকেন। এ অবস্থায় আমাদের অগত্যা উচিত হবে বিভিন্ন পক্ষের জরিপের ফলকে গড় করা এবং সে অনুযায়ী পরিস্থিতি বুঝতে চাওয়া।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ঈদ পার করেছি করোনার মধ্যে এবং তাতে করে ওই সময়টায় কেনাকাটাজনিত কারণে ঈদের অর্থনীতি তেমন বড় হতে পারেনি। সত্যি বলতে, তখন একটা মন্দার ভেতর দিয়েই আমরা যাচ্ছিলাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে। করোনা মোকাবেলায় কঠোর লকডাউনে বড় বড় অর্থনীতিতে মন্দা এতটা তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, জ্বালানি তেলের চাহিদা একেবারে তলানিতে নেমে যায়। এর দামও। বাংলাদেশ অবশ্য কখনো কঠোর লকডাউনে যায়নি। যাতায়াত, উৎপাদন ও সেবা খাত মোটামুটি স্বাভাবিক রাখার প্রয়াস নিয়েছিল সরকার। সেটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল; কিন্তু যেভাবেই হোক, পরিস্থিতিটা মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম এবং সে কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে কিছু প্রশংসাও মিলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি একেবারে হারিয়ে ফেলিনি এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারও মনে হয় এ কারণে কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কিছু গাফিলতি আর ভুলভ্রান্তি তো হয়েই থাকে। স্পর্শকাতর কোনো একটি খাত ব্যবস্থাপনায় গোলযোগ সৃষ্টি হলেই আমাদের মতো দেশে সংকট দেখা দিতে পারে। সেটা সত্যি বলতে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ব্যবস্থাপনায়। কিছু সংকট এসেছে আবার বাইরে থেকে। যেমন, ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশেই, যারা মূলত আমদানিনির্ভর। আমরা তো শুধু জ্বালানি তেল আমদানি করি না; আমদানি করি রাসায়নিক সার এবং নানান মৌলিক খাদ্যপণ্য। এমনকি যে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে আমরা কিছুটা আহ্লাদিত, সেখানেও ঘাটতি দেখা দেওয়ায় চালও আমদানি করতে হচ্ছে। আর এ গোটা বিষয়টিতে আঘাত হেনেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা ডলারের দাম। আমাদের রিজার্ভ পরিস্থিতি মাঝে খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং তার আগে শ্রীলংকার পরিণতি দেখতে হয়েছিল বলে কিছুটা ভীতিও ছড়ায় এমনকি নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। সরকার পড়ে গিয়েছিল রাজস্ব সংকটেও। সেজন্য রীতিমতো টাকা ছাপতে হয়েছিল তাকে এবং বিদেশি মুদ্রায় ঋণ নিতে হয়েছিল আইএমএফ থেকে। এ সূত্রে কিছু অজনপ্রিয় সংস্কার কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিও তাকে দিতে হয়, যার একাংশের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধি এর অন্যতম। গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সারের দামও বাড়ানো হয়েছে দু'দফায়। নিত্যপণ্যের বাজারসহ সার্বিক জীবনযাত্রায় এর সুগভীর প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে এসেছে রমজান ও ঈদ। এ অবস্থায় ঈদের বাজার কি অত চাঙ্গা হওয়ার কথা? বিক্রি অন্তত বেড়ে ওঠার কথা নয়। করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বেশি করে বেড়াতে যাওয়ার কথা নয়। এসব বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত অবশ্য কম। ধারণানির্ভর প্রতিবেদনের বাইরে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনও কম। তবে সাদা চোখে যেটুকু দেখা যায়, তাতে মনে হয় খাদ্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্য ক্রয়, পরিবহন খাতে পণ্য ও যাত্রী আনা-নেওয়া ইত্যাদি যতটা হচ্ছে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ নেই। বরং সন্তুষ্টি আছে এজন্য যে, তারা তো নজিরবিহীন ও দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছিল। দফায় দফায় যেটুকু লকডাউন দেওয়া হয়েছিল, তাতেও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর একাংশ উঠে যায়। আর সরকার যেটুকু প্রণোদনা জুগিয়েছিল, সেটা যথেষ্ট ছিল না এবং সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা বরাবর যেরকম, তাতে অনেক ক্ষেত্রে সেটা উপযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পৌঁছেওনি। এ অবস্থায় যারা টিকে আছে; তাদের পাশাপাশি যারা অত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তারা মিলে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।
করোনাকালে ফিজিক্যাল স্টোরে কেনাকাটার বদলে অনলাইনে দরকারি পণ্যসামগ্রী সংগ্রহের একটা ব্যবস্থা জোরদার হয়ে উঠেছিল। এবার ঈদের বাজারে সেটা কতখানি কী ভূমিকা রেখেছে, এ প্রশ্ন আছে। নগরজীবনে ব্যস্ততা, যানজট ইত্যাদির সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছিল তাপপ্রবাহ। আতঙ্কও যুক্ত হয়েছিল, যেহেতু ঈদের বাজার জমে ওঠার আগেই অনেকের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবাজার দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ ধারায় রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আরো কিছু শপিং সেন্টারে আগুন লাগে এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের শপিং সেন্টারের প্রায় সব ক'টি অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় একশ্রেণির ক্রেতা চাইতেই পারে ফিজিক্যাল স্টোরে যাওয়ার বদলে অনলাইনে কেনাকাটা সারতে। সরকারিসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা ফর্মাল সেক্টরে যারা কাজ করে, তারা তো বোনাস পেয়েছে। বৈশাখী বোনাসও পেয়েছে এর একাংশ। সরকারি খাতের পেনশনধারীরাও বোনাস পেয়ে থাকে। আর ঈদ উপলক্ষে রোজার শুরু থেকেই স্বজনদের কাছে আসতে থাকে রেমিট্যান্স। মার্চে এটা যে পরিমাণ এসেছে, এপ্রিলে তার চেয়ে বেশি না এলেও অন্তত কমবে না। ক'মাস পরেই কোরবানি ঈদ। তখনো আরেক দফা অর্থনীতিতে যুক্ত হবে রেমিট্যান্সের বাড়তি প্রবাহ। মূলত ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের জন্যই প্রবাসীরা এটা পাঠিয়ে থাকে আর এতে অর্থনীতি পায় নতুন গতি। রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ রিজার্ভকেও কিছুটা ঠেলে তুলবে উপরে এবং তাতে এ নিয়ে আতঙ্ক না কাটলেও কমবে।
আমাদের রপ্তানি খাতও কিন্তু খারাপ করছে না এবং সেখান থেকেও ডলার এসে যুক্ত হচ্ছে রিজার্ভে। এটা ভালো ছিল না বলে আমরা চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, গম, মসলা ইত্যাদির আমদানিও ঠিকমতো করতে পারছিলাম না। আন্তর্জাতিক বাজারে এসবের দাম আবার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। রমজানে যে বাজার শান্ত রাখা যায়নি, তারও কারণ নিহিত রয়েছে এখানে। তবে বাজারে কিছু পণ্য নিয়ে, যেমন ব্রয়লার মুরগি, যেভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তার কারণ শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি ফিড উপকরণের দাম বৃদ্ধি নয়। স্থানীয় পর্যায়ে জায়গায় জায়গায় বড় ব্যবসায়ীদের অনৈতিক জোটবদ্ধতা এবং সরকারের তরফ থেকে সেটা ভাঙতে না পারা এক বড় সত্য। চিনির বাজার স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেও সরকার যে ব্যর্থ হয়েছে, সেটা তো বাণিজ্যমন্ত্রীর কথায়ও স্পষ্ট। কী আশ্চর্য, ঈদের আগ দিয়ে নতুন করে হঠাৎ আবার লাফিয়ে বেড়েছে ব্রয়লারের দাম।
একটা সময় পর্যন্ত ঈদ ছিল খোলা মাঠে গিয়ে শাওয়ালের চাঁদ দেখা, চাঁদরাতে সাধ্যমতো কেনাকাটা এবং পরদিন ঈদের নামাজ পড়ে পরস্পরকে ঈদ মোবারক জানানো, কোলাকুলি, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাওয়া, শিশুদের নতুন জামা, সেলামি ও মিষ্টিমুখ করা। সরল জীবনের সে পর্যায়টি আমরা পেরিয়ে এসেছি এবং ক্রমে ঈদ হয়ে উঠেছে একটি বড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়। বিশেষত রোজার ঈদে ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে অনেক আগে থেকে এবং একশ্রেণির ব্যবসায়ীর জন্য এটা হলো রোজগারের প্রধান মৌসুম। এবার রমজানের শুরুতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়েছিল যে, বিভিন্ন মুসলিম দেশের অনুসরণে মুনাফা কম করে আমাদের ব্যবসায়ীরা বেশি বিক্রির নীতিতে যাবে। অন্তত নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে রাখতে চেষ্টা করবে এবং এতে করে সমাজে ন্যায়বিচার ও ভ্রাতৃত্বের প্রবণতা বাড়বে। সেটা হয়নি। ব্যবসায়ীরা কমবেশি তাদের চিরাচরিত ধারাতেই ছিল। ভোক্তারাও চেষ্টা করেছে অগ্রাধিকার অনুযায়ী কেনাকাটা করতে; অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমাতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে দরকারি জিনিসটিও কম কিনতে। বিত্তবানদের একটি অংশ অবশ্য বিদেশে গিয়ে কেনাকাটা করে এবং দেশেও আমদানিকৃত পণ্য পছন্দ করে কেনে। মুক্তবাজারে কাউকে তো বিধিনিষেধ আরোপ করে আটকানো যায় না। তবে অবশ্যই ভালো হতো, যদি ঈদের এ অর্থনীতিকে আমরা দেশীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে লাগাতে পারতাম। পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়, এমন পণ্য কেনার ব্যাপারে যদি মানুষকে করা যেত উদ্বুদ্ধ। দেশেই যাতে লোকে বেশি করে বেড়াতে যায় এবং উপযুক্ত দামে মানসম্মত সার্ভিস পায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। আর রেমিট্যান্সের টাকায় শুধু ভোগ্যপণ্য না কিনে মানুষ যেন কিছুটা সঞ্চয় করে পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করতে, সে প্রচারণাটি দরকার। আর ঈদে যেসব মুসলিমপ্রধান দেশ কোটি কোটি মানুষের একযোগে গ্রামের বাড়ি যাওয়াটা নিরাপত্তা ও স্বস্তির সঙ্গে সম্পন্ন করছে, তাদের কাছ থেকে সেই ম্যানেজমেন্ট যেন শিখি আমরা। ঈদে দেশের ভেতরকার গ্রোথ সেন্টারগুলো থেকে অর্জিত আয়ও যায় গ্রামে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগিয়ে তোলে। এর পাশাপাশি ঈদে যারা গ্রামে যাই, তারা যেন গ্রামীণ অর্থনীতি ও জীবনের সমস্যা আর সম্ভাবনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হই। এর ইতিবাচক রূপান্তরের কথাটা যেন ভাবি।