দেশকে ভালোবেসে আত্মীয়-স্বজনকে ছেড়ে মাটি আঁকড়ে ছিলেন পঙ্কজদা। কিন্তু কী হলো শেষ পর্যন্ত? যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি লড়াই-সংগ্রাম জারি রাখলেন, সে স্বপ্ন কী পূরণ হলো?
Published : 24 Apr 2023, 06:29 PM
২৪ এপ্রিল সকালেই খবর পেলাম পঙ্কজ ভট্টাচার্য আর নেই। রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর অসুস্থতার কথা জানা ছিল। ১৭ এপ্রিল শ্বাসতন্ত্রীয় জরুরি সমস্যার কারণে পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। আগে থেকেই তিনি কিছু জটিল রোগে ভুগছিলেন। সেগুলো ছিল শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ ব্রঙ্কেইকটেসিস, হৃদরোগ (ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ), উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি। তিনি কোভিডজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শ্বাসতন্ত্রীয় জটিলতায় তাঁর ফুসফুসের কিছু অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হয়। সে জন্য তাঁকে দিনের অধিকাংশ সময় অক্সিজেন নিতে হতো। প্রোস্টেটে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর প্রোস্টেটের অপারেশন করা হয়েছিল।
তাঁর এই চলে যাওয়া আমাকে ভারাক্রান্ত করেছে। পঙ্কজদার সঙ্গে কত স্মৃতি, কত ঘটনার কথাই মনের পর্দায় একে একে ভেসে উঠছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৬৩ সালে। পঙ্কজদা তখনই ছাত্র ইউনিয়নের বড় নেতা। সেই থেকে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা এবং এক সঙ্গে আমরা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক সমাজ গড়ার সংগ্রামে বহু পথ হেঁটেছি।
গত শতাব্দীর ষাটের দশক হচ্ছে বাঙালির ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল সময়। সে সময় কিছু তরুণ ছাত্র-রাজনৈতিক কর্মীর উত্থান ঘটে, যাঁদের শরীরজুড়ে ছিল এ দেশের মাটির গন্ধ। দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি শর্তহীন ভালোবাসা দিয়ে তাঁদের মেরুদণ্ড তৈরি হয়েছিল। মানুষের মুক্তির জন্য তাঁরা ছিলেন উৎসর্গকৃত। তাঁদের একজন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। অল্প বয়সে কৃতী ফুটবলার ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। লেখালেখি ও সংস্কৃতিচর্চায় বরাবর তাঁর আগ্রহ ছিল। কয়েক মাস আগে তাঁর স্মৃতিকথা ‘আমার সেই সব দিন’ প্রথমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য ১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ১৯৫৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন। পঙ্কজ ভট্টাচার্য গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে আমৃত্যু দেশমাতৃকার একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবেই পরিচিতি অর্জন করেছেন।
১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর। ন্যাপে তখন অনেক সংগ্রামী ও প্রবীণ নেতা থাকা সত্ত্বেও পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় দলের মধ্যে সবাই উৎফুল্ল হয়েছিলেন তা হয়তো নয়। কিন্তু পঙ্কজ ভট্টাচার্য তাঁর নিষ্ঠা, সততা ও কর্মদ্যোগের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুততম সময়েই দলের মধ্যে নিজের অবস্থান সংহত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমিও ন্যাপের ওই কমিটিতে ছিলাম। ফলে পঙ্কজদাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে।
১৯৭৪ সালে জুলাই মাসে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী এবং নারী অধিকার নেত্রী রাখী দাশপুরকায়স্থের সঙ্গে তিনি বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হন। তাঁর সংসারজীবন ছিল স্ত্রীনির্ভর। ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল রাখী দাশ পুরকায়স্থ প্রয়াত হলে পঙ্কজদা একাকী হয়ে পড়েছিলেন।
পঙ্কজদার চলে যাওয়া আমাকে দারুণভাবে ব্যথিত করেছে। কানে ভাসছে তাঁর সেই দৃপ্ত কণ্ঠস্বর যা এক সময় হাজারো মানুষকে উদ্দীপ্ত করতো। আমার মতো হাজারো মানুষ হয়তো তাঁর মৃত্যু সংবাদে নীরবে অশ্রু সংবরণ করবেন, যাঁদের তিনি অনুপ্রাণিত করে নিয়ে এসেছিলেন এক সুস্থ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথে। সুস্থ ধারার রাজনীতির এখন চরম দুঃসময়। ত্যাগের রাজনীতির দৃষ্টান্তগুলো একে একে চলে যাচ্ছে।
তিনি একাধিকবার জেলে গেছেন। আত্মপোগনেও থাকতে হয়েছে। ১৯৬৬ সালে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ১৯ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট-সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন। পঙ্কজদার লেখা ‘আমার সেই সব দিন’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর নানা বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯ দিন পর ছাড়া পাওয়ার স্মৃতি স্মরণ করে লিখেছেন : ‘অবশেষে জামিন পেয়ে ছাড়া পেলাম জেল থেকে। মুজিব ভাই মহাখুশি। বললেন, “গোছগাছ করে নে, তোকে আমি গেট পর্যন্ত পৌঁছে দেব।” তিনি গেটের কাছে এসে হাঁক দিলেন, “জেলার সাহেব কোথায়? তাকে বল আমার ভাই ছোট গেট দিয়ে মাথা নিচু করে জেল থেকে বের হবে না। মুজিব মাথা নিচু করে জেলে ঢোকে না, বের থেকে বেরও হয় না।” অবাক কাণ্ড! তড়িঘড়ি ছুটে আসলেন ডেপুটি জেলার নির্মল সিনহা (অভিনেত্রী চিত্রা সিনহার বড় ভাই)। বললেন, “জমাদার, মেইন গেট খুলে দাও।” জমাদার-সুবেদার-মেট পাহারা মিলে বিশাল গেট খুলে দিলে শুরু হয়ে গেল হই হই রই রই কাণ্ড।আমার জন্য যে আরও আশ্চর্যের ঘটনা অপেক্ষা করছিল তা বুঝতে পারিনি। খোলা গেটের সামনে মুখে পাইপ নিয়ে আমার গলায় বেলি ফুলের মালা পরিয়ে দিলেন মুজিব ভাই।’
১৯৬৪ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ আছে পঙ্কজদার লেখা ওই বইয়ে। এসব অবশ্য আমার আগেই জানা। তিনি লিখেছেন : ‘সমাবর্তন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঢাকায় কয়েকদিন পলাতক অবস্থায় থাকার পর ১৯৬৪ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে আমি চট্টগ্রামের বাড়িতে যাই একটি পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনে। তৎকালীন সাম্প্রদায়িক পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমার শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) পিতা আমার মা ও বোনদের নিয়ে দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, এই মর্মে আমাকে চিঠি লিখেছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। ফলে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েও আমাকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হয়, তখনকার চকবাজারের (চট্টগ্রাম) আমাদের ভাড়া বাড়িতে। ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলে আমাদের পাথরঘাটার পৈতৃক দ্বিতল বাড়িটি রিকুইজিশন করা হয়েছিল।
বাড়িতে ছিলাম আমি মাত্র দুদিন। পারিবারিক বৈঠকটি হয় দ্বিতীয় দিনে। আর তা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। বাবার কথার মর্মার্থ ছিল এ রকমের : এ দেশের মাটিতে তাঁর ১১ পুরুষের বসবাস, মাতৃভূমি জ্ঞানে এর সেবায় আত্মনিবেদিত থেকেছেন। শিক্ষক হিসেবে হাজার হাজার ছাত্রকে প্রকৃত মানুষ বানানোর চেষ্টা করেছেন। অথচ আজ তাঁকেই কি না সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও সহিংসতার শিকার হয়ে ভিন্ন এক রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে হবে, সেখানে দেশহীন নাগরিক হতে হবে। এ দেশের মাটি থেকে আপন শিকড় ছিঁড়ে নিয়ে পরবাসে শেষের দিনগুলো কাটাতে হবে। কোনো দিন ঘুণাক্ষরেও তিনি এ কথা ভাবেননি, ভাবতে পারেননি। পিতা প্রফুল্ল ভট্টাচার্য আবেগমথিত স্বরে এসব কথা বলছিলেন। তাঁদের পাঁচ ভাইয়ের কথা, এক বোনের স্মৃতিচারণা করছিলেন। সে রাতে কান্নাজড়ানো গলায় এই হৃদয়চেরা আর্তি শুনেছিলাম বাবার মুখ থেকে। মা মণিকুন্তলা দেবী, যিনি ছিলেন স্বদেশি বিপ্লবীদের এবং পরবর্তীকালেও অন্য দেশসেবকদের কাছে মাতৃতুল্যা, সে রাতে তিনি ছিলেন বাকহারা। কখনো ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, কখনো দীর্ঘনিশ্বাস ফেলছিলেন। বোনেরা ক্ষণে ক্ষণে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠছিল। সেসব দৃশ্য আজও আমার স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। সে রাতের শেষ প্রহরে শতাধিক পুলিশ ঘিরে ফেলল আমাদের বাড়ির চারপাশ। তাদের ফিসফাস কথাবার্তা, বুটের আওয়াজ, টর্চের আলোর ঝিলিক আমার ও পরিবারের সবার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। ব্রিটিশ আমলের আইন অনুযায়ী সূর্যোদয়ের পরে ঘরে ঢুকে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নেওয়া হয় লালদিঘি মাঠের ওপরের পাহাড়ে অবস্থিত গোয়েন্দা দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেখান থেকে কয়েক ঘণ্টা পরে অপর পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয় আমাকে। কারাগারে ‘রাজবন্দী’র মর্যাদায় একটি হলঘরে আমার ঠাঁই হলো। কারাগারে পূর্ণেন্দু দস্তিদার, শরদিন্দু দস্তিদার, সফিউদ্দীন খান প্রমুখের মতো স্বপ্নের নায়কদের সাক্ষাৎ এবং তাঁদের নিবিড় ও স্নেহময় সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য হলো আমার।’
ওই বইয়ে আরও লিখেছেন : ‘চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আমাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দিন যথারীতি পুলিশ পরিবেষ্টিত হয়ে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছালাম। ঢাকাগামী গ্রিনঅ্যারো ট্রেনটি তখন সেখানে অপেক্ষারত। দ্বিতীয় শ্রেণির কম্পার্টমেন্টে ওঠার আগে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সিগারেটে টান দিচ্ছি। হঠাৎ বিপরীত দিকের চাঁদপুরগামী ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে এক অভাবিত দৃশ্যে চোখ আটকে গেল। দেখলাম বাবা-মা-বোনেরা চাঁদপুরগামী ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই ট্রেনে ওঠার অপেক্ষায়। অনুমান করতে পারি, তাঁরা চাঁদপুর থেকে লঞ্চে যাবেন প্রথমে গোয়ালন্দে। সেখান থেকে ট্রেনে দর্শনা হয়ে ভারতের গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পরে ট্রেনযোগে যাবেন আসানসোলের কাল্লায়, বড় ভাই পরিতোষ ভট্টাচার্যের বাড়িতে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে পুলিশ পরিবেষ্টিত অবস্থায় এই মর্মস্পর্শী দৃশ্য আমি দেখলাম। অদূরে আমার পাশে দাঁড়ানো নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সোহরাব হোসেন। তাঁর জিজ্ঞাসার জবাবে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল একটি বাক্য, ‘বাবা-মা-বোনেরা দেশ ছেড়ে দেশান্তরে যাচ্ছেন, আমি যাচ্ছি জেল থেকে জেলান্তরে।’
দেশকে ভালোবেসে আত্মীয়-স্বজনকে ছেড়ে মাটি আঁকড়ে ছিলেন পঙ্কজদা। কিন্তু কী হলো শেষ পর্যন্ত? যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি লড়াই-সংগ্রাম জারি রাখলেন, সে স্বপ্ন কী পূরণ হলো? দেশের রাজনীতির বিভিন্ন উত্থান-পতনে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থানও পরিবর্তিত হয়েছে। আমি ন্যাপ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও গত কয়েক বছর থেকে সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রয়েছি। পঙ্কজ ভট্টাচার্যও অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপের সঙ্গে থাকতে পারেননি। ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম গঠনের সময় তিনি ছিলেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলির সদস্য। সেখানেও তিনি স্থিত হতে পারেননি ড. কামালের অস্থির রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে। পরে সম্মিলিত ‘সামাজিক আন্দোলন’ নামে দেশের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের বিপদের দিনে তাদের পাশে থাকা ছিল পঙ্কজদার স্বভাববৈশিষ্ট্য। দেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মন্ত্রী হওয়ার আহ্বান উপেক্ষা করতে পেরেছিলেন চির উন্নত শির পঙ্কজদা।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যু দেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য বড় ক্ষতির কারণ হলো। এই ধারার রাজনীতিতে এখন এমনিতেই ভাটার টান। তাঁর মতো ত্যাগী মানুষ দেশে এখন আর খুব বেশি নেই। আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের আত্মার শান্তি কামনা করে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।