‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি’

আহসান কবিরআহসান কবির
Published : 1 Oct 2021, 03:52 PM
Updated : 1 Oct 2021, 03:52 PM

সঞ্জীব পুরোহিত হাঁটলেন, চাকরি পাবেন এই ভরসায়

মাথায় চাবুক মারে রোদ্দুর, মধ্যদিনে গান বন্ধ করেছে পাখি

সূর্য আকাশটাকে ঝলসায়!

–কবীর সুমনের গান (অ্যালবাম- ঘুমোও বাউন্ডুলে: ১৯৯৫)

চাকরি না পাওয়া, অভাব ও বেদনার চাবুকে ক্ষতবিক্ষত সঞ্জীব পুরোহিতের চাকরিটা খুব দরকার ছিল। পঁচিশ কিলোমিটার হাঁটার শর্তেও তিনি চাকরিটা নিতে রাজি ছিলেন। দুপুরের গনগনে রোদের ভেতর হাঁটতে থাকা সঞ্জীব পুরোহিত হাঁটতে হাঁটতেই মারা গেলেন। মরে যাওয়া সঞ্জীব পুরোহিতের চাকরিটা এরপর আর দরকার ছিল না। দুঃখ এই, কোনো সড়ক ধরে তাকে আর হাঁটতে দেখা যাবে না।

তবে বেঁচে থাকার জন্য পরিমিত হাঁটাটা জরুরী। হাঁটতে হাটঁতে মানুষ কত কিছু যে করে। যে প্রেম করে সে দশ মাইল হেঁটে প্রেমিকার বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। পকেটে টিকেটের চেয়ে বেশি টাকা না থাকলে সিনেমা হল যতদূরে থাক, ছবি-পাগলরা হেঁটে হেঁটে হলে যাবেই। নেশাখোররাও নাকি এমন। নাসিরউদ্দীন হোজ্জার মতো কেউ কেউ নাকি ঘুমের মধ্যে হাঁটে। ঘুমের মধ্যে না হয় পরে হাঁটা যাবে।

কবিদের ভেতর হাঁটার সবচেয়ে বেশি রেকর্ড সম্ভবত জীবনানন্দের। তার বনলতা সেন কবিতায় আছে- 'হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে। সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে…' হাঁটতে হাঁটতেই কী তিনি অন্যমনস্ক হয়ে ট্রামের নিচে জীবন দিয়েছিলেন? বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক হাঁটাচলায় বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ এবং নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনকে নিয়ে আলোচনা হতো। কবি কামাল চৌধুরীর এক কবিতায় আছে- 'একটি সড়ক ধরে বহুদিন একা হেঁটে গেছি/ আজো আমি একা যাই একজন সাথী তো দেখি না, ভালোবাসা যার নাম সেই পথ মনুষ্যবিহীন'!

কিন্তু ভালোবাসার পথ ধরেই নাকি বেশি হাঁটে মানুষ। আবার প্রিয় মানুষকে হারিয়ে বিচ্ছেদ বেদনা ভুলতেও অনেকে পথ হাঁটে, বিশ্ব ভ্রমণ করে। এই হাঁটার জন্যই কেউ কেউ বিখ্যাত হয়ে যায়।

যেমন ধরুন, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের নাসিম তালুকদার। একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন 'এগার নম্বরে' চড়ে বাংলাদেশ ভ্রমণের। এগার নম্বর মানে নিজের দুই পা। দিনাজপুর থেকে যাত্রা করে চট্টগ্রামের তিন পাহাড়ি জেলা হয়ে আবার দিনাজপুর ফিরতে নাসিমের লেগেছে তিনমাস পনের দিন। হেঁটে হেঁটে তিনি পাড়ি দিয়েছেন বাংলার পুরোটা পথ, ঘুরেছেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলা। নাসিমের হিসেবে তিনি চার হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেছেন। সকাল ছয়টায় হাঁটা শুরু করতেন এবং থামতেন সন্ধ্যার আগে। কোনো একদিন সর্বোচ্চ হেঁটেছেন ৫৭ কিলোমিটার আর সর্বনিম্ন ১২ কিলোমিটার। গড়ে ৩৫-৩৬ কিলোমিটার হাঁটতেন প্রতিদিন। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে বীরগঞ্জ অটোরাইস মিলে চাকরি নিয়ে সেখান থেকে সামান্য টাকা সঞ্চয় করে তুলে রাখতেন পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণের ইচ্ছেয়। পাহাড়ে দীর্ঘপথ একা একা হেঁটেছেন, ছিনতাইকারীর হাত থেকে দৌঁড়ে বেঁচেছেন। রোভার স্কাউটের সাথে জড়িত ছিলেন বিধায় ৬৪ জেলার ভেতরে ৪৯টিতেই রোভার স্কাউটের সহায়তা পেয়েছেন, তারাই বেশিরভাগ জেলায় নাসিমের খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন। নাসিম অবশ্য জীবননান্দের মতো পৃথিবীর পথে পথ হাঁটেননি, তিনি বাংলাদেশের পথে পথ হেঁটেছেন। মানুষের ইচ্ছের কাছে আর সবকিছু তুচ্ছ, নাসিম তার স্বপ্ন পূরণ করে দেখিয়েছেন।

নাসিম বিচ্ছেদ ব্যথায় কাতর ছিলেন না কিন্তু তিনি পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। জা বেলিভো ২০০০ সালে পয়তাল্লিশ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে। বেলিভোর দুই সন্তান চলে গিয়েছিল তার মায়ের সাথে আর নিজের ব্যবসা উঠেছিল লাটে। পিছুটান ভুলতে কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে ২০০০ সালের ১৮ অগাস্ট বেলিভো তিন চাকার একটা ট্রলি স্যুটকেস নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন। সাথে চার হাজার কানাডিয়ান ডলার, কিছু ওষুধপত্র আর কাপড় চোপড়। কানাডা থেকে যাত্রা করার সময় বেলিভো জানতেন না কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, রাতে কোথায় ঘুমাবেন। এভাবেই কেটেছে তার জীবনের ১১ বছর। এই ১১ বছরে তিনি পৃথিবীর ৬৪টি দেশ ঘুরেছেন পায়ে হেঁটে। ২০১১ সালের অক্টোবরে তিনি যখন কানাডায় ফিরে আসেন তখন হিসেব করে দেখতে পান গত ১১ বছরে তিনি পায়ে হেঁটে প্রায় ৭৫০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন যা দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়া যেতে পারে। বিবাহ বিচ্ছেদের শোক ভুলতে এই এগার বছরের পথহাটা নাকি বিন্দুমাত্র গ্লানিকর কিংবা অবসাদগ্রস্ত ছিল না। অহিংস ও ভালোবাসার বাণী প্রচার করেছেন জা বেলিভো, শুধু আলজেরিয়ায় একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, ভাষাগত কারণে ইথিওপিয়ায় একরাত হাজতে থাকতে হয়েছিল আর দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েক মাতাল বেলিভোর ওপর চড়াও হয়েছিল। সবচেয়ে ভালো ছিলেন মেক্সিকোতে। নয়দিনের জন্য এক নারীর প্রেমে পড়েছিলেন আর সুদানে আলখাল্লা পরে দাড়ি রেখে ঘুরে বেরিয়েছেন। জা বেলিভো এই ১১ বছরের 'হণ্টন' এর স্মৃতি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন।

কিন্তু বেলিভোর রেকর্ড ভাঙ্গার মানুষও আছেন যাকে আরও বড় 'হণ্টন' পণ্ডিত বলা যেতে পারে। ভদ্রলোকের নাম ভ্লাদিমির নেশিন। ১৬ বছরে তিনি পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন ১২৩টি দেশ। নেশিন বাংলাদেশেও এসেছিলেন। বেনাপোল বর্ডার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে ১৬ দিন ছিলেন। গিয়েছেন চট্টগ্রাম হয়ে টেকনাফ অবধি। নেশিনের এই দীর্ঘ যাত্রায় প্রথম স্ত্রী, পুত্র এবং পরে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানরা ছিলেন। নেশিন ১৯৯৬ সালে ভাগ হয়ে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৫টি প্রতিবেশি দেশ ভ্রমণ শেষ করে মঙ্গোলিয়া থেকে শুরু করেন অন্যান্য দেশ ঘোরা। নেশিন কানাডার হণ্টনবিদ জা বেলিভোর মতো শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন বিশ্বের মানুষের কাছে। মানুষ শান্তিপ্রিয় এমনই মনে হয়েছে নেশিনের কাছে। শোষণের জন্য শাসকদের মানুষ ভাগ করা নীতির আজন্ম বিরোধী নেশিনের জন্য আমাদের শুভকামনা ও প্রার্থনা রইল।

পবিত্র প্রার্থনা ও হজ পালনের জন্যও মানুষ হাঁটে। আগে মুসলিমরা হজে যেত পায়ে হেঁটে, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে। কারণ আর ফিরে না আসার আশংকা থাকত তখন। উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো থেকে সাইকেল চালিয়ে ও পায়ে হেঁটে চার বছর পরে সৌদি আরবের মক্কায় পৌঁছেছিলেন গোলাম ইয়াসিন। ২০১৭ সালে মরক্কো থেকে রওয়ানা হয়ে ২০২১ সালে তিনি মক্কায় পৌঁছান এবং সৌদি আরব যাবার পথে ২৮টি দেশ পরিভ্রমণ করেন। ২৬ কেজি ওজনের ব্যাগ বহন করে হেঁটে ও সাইকেল চালিয়ে পথ পাড়ি দিয়েছেন ইয়াসিন। এই ব্যাগে ছিল তার কাপড়চোপড়, রান্না ও ঘুমোনোর সরঞ্জাম। মক্কায় পৌঁছে ইয়াসিন হয়রত মোহাম্মাদ (সা.) এর হিজরতের কথা মনে রেখে মক্কা থেকে মদিনার পথ হেঁটে পাড়ি দেন। ইয়াসিনের এমন যাত্রায় সৌদি আরবের নাগরিকরা খুশি হন, তাকে অভ্যর্থনা ও বিনা খরচে হজ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও ইয়াসিন ওমরাহ হজ পালন করেছেন মক্কায় পৌঁছার পর।

ইয়াসীনের মতো বাংলাদেশের দিনাজপুর সদর উপজেলার রামসাগর দিঘীপাড়া গ্রামের বায়তুল আকসা জামে মসজিদের সাবেক ইমাম হাজী মো. মহিউদ্দীনও পায়ে হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ করে এসেছিলেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদ হয়ে রওয়ানা হবার ১৮ মাস পর তিনি সৌদি আরব পৌঁছেছিলেন। তিনি প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং সেখান থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তানের করাচি পৌছান। করাচি থেকে ইরান ও ইরাক হয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছিলেন। মিশরও গিয়েছিলেন হেঁটে হেঁটে, দেখে এসেছিলেন ফেরাউনের সমাধি। হজ করে বাংলাদেশে ফিরেও এসেছিলেন পায়ে হেঁটে। এই দীর্ঘ পদযাত্রা তাকে ক্লান্ত করেনি বরং হজযাত্রার এই মধুর স্মৃতি বয়ে বেড়িয়েছেন সবসময়।

মানুষও স্মৃতিনির্ভর। তবে যতটা হাঁটা তার বেশি দৌড় নির্ভর নয়। মানুষের শরীর দৌড়ের জন্য সবসময় উপযুক্ত কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। মানুষ চিতা, বাঘ, বিড়াল, ঘোড়া কিংবা হরিণ নয়। এইসব প্রাণীদের মতো মানুষের দৌড়ানোর সাধ্যও নেই। কিন্তু পায়ে হাঁটার মতো দৌড়েও মানুষ কম যায় না। ম্যারাথন রেসের কথাটা মনে এলে মানুষের ইচ্ছে শক্তির বাস্তবায়নে মানুষের ধী-শক্তির গুণটাই যে আসল সেটাই মনে হয়।

মনে হয় হাঁটাহাঁটি আর মানব সভ্যতা সমান বয়সী। পৃথিবী বদলে দেওয়ার জন্য যে বিপ্লব সেই বিপ্লবের শুরুর শিল্পের নাম 'মিছিল'। মশাল মিছিল হয়তো আরও জমকালো। মিছিলও হাঁটানির্ভর। হাঁটানির্ভর আরও সৃষ্টিশীলতাও আছে যা চমকে দেবার মতো। ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিং যখন হাঁটতেন তখন তার ভাবনাগুলো বেশি সক্রিয় হতো যা তিনি হাঁটা থেকে ফিরেই নোট করে রাখতেন। দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল যখন হাঁটতে বের হতেন এক টুকরা কাগজ রাখতেন পকেটে। কোনো ভাবনা এলেই কাগজে তা লিখে রাখতেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত হাঁটার সময়ে তার ভাবনা বলে রাখতেন তার সঙ্গীদের যারা সেটা লিখে রাখত। হাঁটা মানুষের মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুগঠিত করে, হৃদয় সতেজ রাখে। বিষণ্নতা কাটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে নিয়মিত হাঁটা। বর্হিমুখী সৃষ্টিশীলতা ও বেশিদিন বেঁচে থাকার জন্য হাঁটা অনেকটা টিকা বা প্রতিষেধকের কাজ করে। হাঁটাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম। কথায় আছে– 'বেটার এক্সারসাইজ, বেটার সেক্স'। প্রেমিকা বা স্ত্রীকে আনন্দ দেওয়ার জন্য হলেও হাঁটুন, সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য হলেও হাঁটুন। পাহাড়ে ওঠা নামা, শিকার আর সারাদিন পরিশ্রম করার কারণে পাহাড়ের মানুষরা নাকি অনেকদিন বাঁচে।

যাই হোক বাঁচার জন্য হাঁটুন। ঘুমের মধ্যেও যে হাঁটা যায় সেটা নিয়ে ভাবুন। নাসিরউদ্দীন হোজ্জার গল্পে আছে চোরাচালান সংক্রান্ত এক ঘটনায় রাজার লোকরা হোজ্জাকে সন্দেহ করা শুরু করল। হোজ্জার বাসা ঘিরে থাকত রাজার লোকেরা। উপায়ান্তর না দেখে একদিন শেষরাতের দিকে বের হলো হোজ্জা। রাজার লোকরা জানতে চাইল, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? হোজ্জা উত্তর দিলো, কোথাও যাচ্ছি না। আমি নাকি ঘুমের মধ্যে হাঁটি। আজ দেখতে চাচ্ছিলাম ঘুমের মধ্যে হাঁটলে আমাকে কেমন লাগে।'

গল্প আরও আছে। যেমন এক ট্যাক্সি ড্রাইভার প্রতিদিন মাঝরাতে এক বারের সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ওই বার থেকে এক তরুণী মাতাল হয়ে বের হয় জন্মদিনের পোশাক মানে নগ্ন হয়ে। এরপর সে হেঁটে হেঁটে আসে ওই ট্যাক্সির দিকে। ট্যাক্সি ড্রাইভার খানিকক্ষণ তরুণীর দিকে তাকিয়ে থেকে গাড়ি টান দিয়ে চলে আসে। একদিন তরুণী খুব স্বাভাবিকভাবে সাধারণ পোশাকে বের হলো। ড্রাইভার তাকে গাড়িতে তুলল। গাড়িতে উঠেই তরুণী জানতে চাইলো, কমপক্ষে দশবার তুমি আমাকে গাড়িতে না নিয়ে চলে গিয়েছ, কেন? ড্রাইভার উত্তর দিলো, আপনি তো জন্মদিনের পোশাকে আসতেন। আমি বুঝতে পারতাম না আপনি ট্যাক্সির ভাড়া কোথায় রেখেছেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: রাজার এক বান্ধবী ছিল। রাজা তাকে আলাদা এক বাড়িতে রাখত। রাজার পোষা কুকুর ছাড়া ওই ঠিকানা কেউ জানত না। একদিন রাজা বান্ধবীর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে গেলেন। কিন্তু চাবি নিতে ভুলে গেলেন। কুকুরটি চাবি নিয়ে রওয়ানা হলো। বহু মাইল পথ সে পায়ে হেঁটে আর দৌড়ে দৌড়ে গেল। পিছু নিলো রানী। সে কুকুরকে তীর আর বর্শা মারতে থাকল। রাজা তার বান্ধবীর বাড়ির সামনে চাবি না আনার কারণে যখন চুল ছিঁড়ছেন তখন মুমূর্ষু কুকুরটা আসলো চাবি নিয়ে। তারপরই প্রাণ হারাল।

সবার হাঁটার উদ্দেশ্য সম্ভবত এক নয়।