Published : 31 Dec 2020, 05:04 PM
২০২০ সালকে বিদায় দিয়ে আমরা নতুন বছর ২০২১ কে বরণ করে নিচ্ছি। বিদায়ী বছরটি আমাদের দেশের জন্য শুধু নয়, বিশ্ববাসীর জন্যই ছিল ভয়াবহ উদ্বেগ ও আতঙ্কের বছর। কোভিড-১৯ মহামারিরূপে ছড়িয়ে পড়ায় দেশে দেশে দেখা দিয়েছিল চরম অস্বাভাবিক অবস্থা । মৃত্যুদূত দুয়ারে দুয়ারে হানা দিয়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছিল স্বস্তি-সুখ। অর্থনীতি-রাজনীতি-সমাজ এবং ব্যক্তি জীবনে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে বিদায়ী বছরে। বছর শেষে এসে আশার আলো জাগিয়েছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং করোনারোধে তার কার্যকারিতার খবর। এর আগে প্রাণঘাতী অসুখের ওষুধ আবিষ্কারে যত সময় লেগেছে, করোনার ভ্যাকসিন বা টিকা তারচেয়ে অনেক কম সময়ে আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এটা জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষের অগ্রগতিরই স্পষ্ট ফল। বিশ্বের প্রায় ৮ শ কোটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে, তবে করোনার চিকিৎসা নেই, সেটা আর বলা যাবে না। গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কারে কয়ক দশক লেগেছিল, করোনার আঘাত মোকাবিলা করে সবকিছু আগের মতো হতে যদি কয়েক বছরও লাগে, তবু এটা তো এখন বলা যায় যে, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি অল্প সময়ের মধ্যেই দূর হবে।
করোনার হামলায় প্রাথমিক বিপর্যন্ত অবস্থা কাটিয়ে বাংলাদেশের জনজীবনও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। টানা কয়েক মাস মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সময়োপযোগী সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে স্থবিরতা কেটে জীবনের চঞ্চলতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মানুষ কর্মহীন হয়েছে, অনেকের আয়-উপার্জন কমেছে, ক্ষেত্র বিশেষে অনিশ্চয়তাও বেড়েছে কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস হারায়নি বিপুল সংখ্যক মানুষ। করোনাকালে আমরা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, সফল, প্রতিভাবান বেশ কয়েকজন মেধাবী মানুষকে হারিয়েছি। কিন্তু সবকিছু সামাল দিয়ে আমরা আশা করছি, নতুন বছরে আমরা সামনে এগিয়ে চলার নতুন গতি অর্জন করবো। নতুন বছরটিতে আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবো। এই উদযাপন যে আনন্দঘন পরিবেশে হবে তার কিছু ইঙ্গিতও আমরা পেতে শুরু করেছি।
বিদায়ী বছরের শেষ মাস, আমাদের বিজয়ের মাস বলে পরিচিত ডিসেম্বর আমাদের সামনে আরও একটি বিজয়ের সূচনা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে বহুমুখী পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে নদীর দুই পারের মধ্য সংযোগ। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি বড় ধরনের অগ্রগতি। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ মিটারের ( ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার ) পুরো সেতু। ২০১৭ সালের ৩০সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে ৪টি স্প্যান, ২০১৯ সালে ১৪টি এবং ২০২০ সালে ২২টি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রথম স্প্যান থেকে শেষ স্প্যানটি পর্যন্ত বসাতে মোট সময় লেগেছে ৩৮ মাস ১০ দিন।
নতুন বছরের শেষে অথবা পরের বছরের মার্চে যান চলাচলের জন্য এ সেতু খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু করার জন্য বাকি কাজগুলো এখন দ্রুত গতিতে শেষ হবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা, সমৃদ্ধি, গৌরব এবং আত্মসম্মানের প্রতীক। এটা প্রমাণ হয়েছে যে দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী নেতৃত্ব থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। স্বপ্ন দেখতে না পারা দোদুল্যমান নেতৃত্ব একটি জাতিকে সম্মানের আসনে নিয়ে যেতে পারে না। শেখ হাসিনা যেটা পারেন, অন্য কারো পক্ষে সেটা পারা সম্ভব নয়।
পদ্মায় সেতু বানানোর কথা আগে ভাবা হলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বহুপ্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। তখন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছিল ২০১৪ সাল। কিন্তু 'দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ' এনে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় এর প্রধান অর্থায়নকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। অন্যান্য দাতা সংস্থাও তাদের অনুসরণ করে। দেশের ভেতর থেকেই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তিরা পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ প্রচারণায় সামিল হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত ক্ষদ্র স্বার্থ চিন্তায় বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের বিরোধিতায় বিবেক কাঁপেনি কোনো কোনো বিবেকবানের। অথচ পরে প্রমাণিত হয়েছে যে, দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগটি সঠিক ছিল না।দাতা সংস্থাগুলো অর্থ সহায়তা না করার কথা বললে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সে অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ় এবং সাহসী অবস্থান গ্রহণ করেন। তার সিনিয়র কলিগদের কেউ কেউ সায় না দিলেও শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার পক্ষে অবস্থান নেন এবং এবিষয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। সে সময় দেশি-বিদেশি অনেক বিশেষজ্ঞ এ প্রকল্পের পরিণতি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তবে দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদদের দুচারজন পক্ষেও ছিলেন। বড় কিছু করতে গেলে ঝুঁকি নিতে হয়, সাহস দেখাতে হয়-এই বুঝ থেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এরপর ২০১৮ সালকে সময়সীমা ধরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।পদ্মা পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা ও জটিল প্রকৃতির নদী। গঠন প্রকৃতির জন্য নদী শাসন ছিল কষ্টসাধ্য। সেতুর নকশা সংশোধন, বন্যা, ভাঙনসহ নানা কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটলে কাজের গতি আরও মন্থর হয়ে যায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতুর কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯১ শতাংশ। আর নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পরে সেতুতে রেলপথ যুক্ত হওয়া, ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ অন্য নানা কারণে দুই দফায় সংশোধনের পর বর্তমান ব্যয় সীমা ধার্য হয়েছে। এরপর আর নির্মাণ ব্যয় বাড়বে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাসহ দেশের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে। এতে ওই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে, শিল্পায়ন হবে ও কর্মসংস্থান বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু হলে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চল রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এ সেতু দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর দিয়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহন সহজ হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হলে ১ থেকে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে। অসংখ্য মানুষের জীবনে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। আমরাও পারি – এই আত্মবিশ্বাস একটি জাতির জন্য কম কিছু নয়।
চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড পদ্মা সেতুর মূল কাজ করলেও এর সঙ্গে আরও বহু সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত। বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ যুক্ত হয়েছে এ মহাকর্মযজ্ঞে। কোনো কোনো দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এসেছেন, কোনো কোনো দেশের যন্ত্রপাতি ও মালামাল ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদেশি প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, কারিগর ছাড়াও দেশের ৭০ জন প্রকৌশলী ও পাঁচ হাজার শ্রমিক পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে যুক্ত হয়েছেন। এটি কেবল উন্নয়ন প্রকল্প নয়, পুরো জাতির আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতার সম্মিলন।
পদ্মা সেতু কবে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তার জন্য এখন সারা দেশের মানুষই সাগ্রহে অপেক্ষা করছে। স্প্যান বসানো শেষ হওয়ার পর অনেক মানুষ স্বপ্নের সেতু দেখার জন্য পদ্মা পাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে সেতু চালুর নির্দিষ্ট দিন-তারিখ এখনও নিশ্চিত করে কেউ-ই জানাননি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান এম শামীম জেড বসুনিয়া বলেছেন, পদ্মা সেতু সচল হতে দেড় বছর সময় লেগে যাবে। সে ক্ষেত্রে ২০২২ সালের জুনের মধ্য শেষ হওয়ার কথা। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জনবল বেশি নিয়োগ করলে আগেও সেতু চালু করা সম্ভব। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কিংবা ২০২২ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উদ্বোধনের পক্ষপাতী।
এসব দিবসের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ–অনুভূতি প্রবল ভাবে জড়িত বলে এর কোনো একটি তারিখে পদ্মা সেতু চালু করা গেলে খুবই ভালো হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াহুড়া করে দেশবাসীর গর্বের এ প্রকল্পের কাজে কোনো ত্রুটি কিংবা দুর্বলতা রাখা চলবে না। যৌক্তিক সময়েই এর কাজ শেষ হোক এবং মানুষের স্বপ্ন পূরণের পথে কোনো অন্তরায় তৈরি না হোক – নতুন বছরে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
২০২০ সালে করোনা শুধু মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর হামলা চালায়নি, সরকারের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিও স্লথ করেছে। তবে বছর শেষে আমরা কিছু আশাজাগানিয়া খবরও শুনছি। মেট্রো রেল বাংলাদেশের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর একটি। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে মেট্রো রেলের অবয়ব। নতুন বছরের শেষে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই ঢাকাবাসী মেট্রো রেলে চড়তে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত একবারে চালু করা না গেলপও আগারগাঁও পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারে রেল চলাচল শুরু করা যাবে। মেট্রো রেল চালু হলে ঢাকার যানজট কমবে। বিপুল সংখ্যক যাত্রী দ্রুত যাতায়াত করতে পারবে।
নতুন বছর,২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিজয় অর্জন করেছিলাম, সে স্বপ্নগুলো যে আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে, সে দাবি আমরা এখনও করতে পারি না। আমরা চেয়েছিলাম একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। গণতন্ত্রকে আমরা এত বছরেও মজবুত ভিত্তিতে দাঁড় করাতে পারিনি। একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজয়ী গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক শক্তির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দেয়। ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টাও থেমে নেই। বিদায়ী বছরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে আস্ফালন শুরু করেছিল, নতুন বছরে তাদের প্রতিহত করার দৃঢ়তা অর্জন করতেই গবে। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেকে যোগ্যতম প্রমাণ করেই তিনি চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি। এই মেয়াদে তার দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তিনি নানা বাস্তব কারণেই হয়তো সব সময় সব কিছু নিজের ইচ্ছামতো করতে পারেন না। কৌশলগত কারণে আগুপিছু করলেও কখনই নিজের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা থেকে বিচ্যুত হন না। তার বিরোধিতা করে, নিন্দা করে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়ানো যাবে না। এটা প্রমাণ হয়েছে যে, তার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা তার চেয়ে আর কারো বেশি নেই। আগের বছরগুলোতেও তিনি পেরেছেন, নতুন বছরেও তিনিই পারবেন। ঈর্ষা কাতর হয়ে যারা দেশের শান্তি ও স্থিতি বিনষ্ট করতে চান, তারা যতই আড়ম্বর করুন, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারবেন না।