এনআরসি: উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার

গৌতম রায়
Published : 13 Jan 2020, 03:04 PM
Updated : 13 Jan 2020, 03:04 PM

নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে গুজরাটকে হিন্দুত্বের গবেষণাগারে পরিণত করেছিলেন। কেন্দ্রে মোদির প্রত্যাবর্তনের দ্বিতীয় পর্বে সেই একই আদলে হিন্দুত্ববাদী শিবির উত্তরপ্রদেশকে হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগারে পরিণত করতে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে আসরে নেমেছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (এনআরসি) ঘিরে গোটা দেশের যে উত্তাপ, সেটি একই মাত্রায় সঞ্চারিত হয়েছে উত্তর-প্রদেশের সাধারণ মানুষের ভেতরেও। সেই ক্ষোভকে উগড়ে দিতে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের সংকল্পে যখন উত্তর প্রদেশের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সামিল হয়েছে, তখন সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় গলা টিপে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে নেমেছে আরএসএস এবং তার রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি।

এ প্রতিবাদের মুখে মোকাবিলায় কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের সনাক্ত করে, তাদের প্রতিবাদের গায়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লেভেল লটকে দিয়ে, এক হিসেবে বিজেপি উত্তর প্রদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই ঘটনাক্রম  আমাদের মনে করিয়ে দেয় গুজরাট গণহত্যার প্রেক্ষাপটকে।

ভারতের একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে ৭৩ বছরের বৃদ্ধ হামিদ হাসানের কণ্ঠ। তিনি খুব স্পষ্টভাবেই বলেছেন, "আমি গত ৪০ বছর ধরে এখানে আছি, কিন্তু এরকম অবস্থা আমি আগে কখনও দেখিনি। এমনকি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, মুজাফফরনগরে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তখনও এইভাবে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠেনি।"

হামিদের দোতলা বাড়ি। সেই বাড়িতে সরাসরি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ লুটতরাজে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ। তার বাড়িতে আইনশৃংখলা বাহিনী পাশে নিয়েই মাঝরাত পর্যন্ত এই লুটতরাজ চালানো হয় বলে তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেছেন- "উত্তরপ্রদেশের পুলিশ এই কাজটি করেছে। কারণ আমার পরিচয় আমি মুসলমান।"

হামিদের এই শব্দ থেকেই খুব পরিষ্কার হয় যে যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে গোটা মুজাফফরনগরকে  কিভাবে হিন্দু-মুসলিমের নিরিখে বিভাজিত করা হয়েছে ।

মুজাফফরনগরের জাসমানপুর এলাকা, যেটি সারওয়াত রোডে অবস্থিত, তার সন্নিহিত বিস্তীর্ণ এলাকাটিকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে মুসলিম অধ্যুষিত হিসেবে।  তারপর একদিকে সেখানকার মানুষদের উপর রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্য নিয়ে গোটা হিন্দুত্ববাদী শিবির অবাধে লুটতরাজ, নারীর শ্লীলতাহানি থেকে শুরু করে হাজার রকমের অপকর্ম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে এ অঞ্চলের মানুষ যাতে কোনরকম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা না পায় তা নিশ্চিত করতে পৌর প্রশাসন ও পঞ্চায়াতকে চাপ দিয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। এটা যে কেবল মুজাফফরনগরে চিত্র তাই নয়, গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে হিন্দুত্ববাদী শক্তি অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উপায়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে মূল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ধরে নিয়ে এক নরক রাজ কায়েম করেছে।

নাসের খান এবং আসিফ নামক দুই ভাইয়ের কথা ভারতের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। তাদের মিরাটের মীনাক্ষী চক এলাকায় একটি বড় মোবাইলের দোকান ছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত ডিসেম্বর মাসের ২০  তারিখে, একাংশের মানুষ যখন প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে, সেখানকার পুলিশের সাহায্য নিয়ে হিন্দুত্ববাদিরা, মাথায় তিলক কেটে, তাদের দোকানে অবাধ লুটতরাজ চালায়।

ঘটনার বিবরণে নাসের খান বলেন, "২০ ডিসেম্বর ২০১৯  ক্রমে পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে উঠছে দেখে আমরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসি। দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের জানান- একদল দুষ্কৃতি আমাদের দোকানের উপরে চড়াও হয়েছে এবং তারা আমাদের দোকান ভেঙে অবাধে লুটতরাজ চালাচ্ছে।"

"ঘটনা শোনামাত্রই আমরা কার্যত প্রাণের মায়া ত্যাগ করে দোকানের সামনে চলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি একদল উন্মত্ত জনতা, আমাদের দোকানের তালা দরজা ভেঙে অবাধে দোকান লুটপাট চালাচ্ছে। প্রচুর দামি দামি মোবাইল এবং দামি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ পুলিশের চোখের সামনে অবাধে লুট হয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের ল্যাপটপ ভেঙে দেয়।"

নাসের খান খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উন্মত্ত জনতা লুটতরাজ  চালানোর ক্ষেত্রে, সেখানে যেসব পুলিশ হাজির ছিল তারা প্রকাশ্যে উৎসাহ জানিয়েছে।

"আমরা যখন পুলিশের কাছে সরাসরি আবেদন জানালাম, এ লুটেরাদের আটকানোর জন্য, আমাদের আবেদনে বিন্দুমাত্র সাড়া না দিয়ে, পুলিশ সরাসরি লুটেরাদের পক্ষ অবলম্বন করল", অভিযোগ দুই খান ভাইয়ের।

ঘটনার পর তারা মিরাট সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশনে গিয়ে এফআইআর দায়েরের চেষ্টা করেন। পুলিশ সরাসরি জানিয়ে দেয় যে, তারা এ ধরনের কোনও অভিযোগ নেবে না। পুলিশ খুব পরিষ্কারভাবে বলে যে, অভিযোগে যেভাবে হিন্দু দক্ষিণপন্থিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটিকে বাদ দিতে হবে।

গোটা মুজাফফরনগরে মুসলমানদের উপর এ পরিকল্পিত আক্রমণ একটা বল্গাহীন আকার ধারণ করে বিজেপি মন্ত্রী সঞ্জীব বলোয়ান সেখানে আসবার পরেই। এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসবার পর, দাঙ্গাকারীরা সেখানকার একটি ব্যাংকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই আগুন লাগানোর ঘটনাতে প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই কাজ করেছে বলে সাব্যস্ত করে, স্থানীয় মুসলিমদের ওপর নানা ধরনের প্রশাসনিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

সুস্পষ্টভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এনআরসি- এর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মুসলিম যুব সমাজের পক্ষ থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানো হচ্ছে। আন্দোলনরত মুসলিম সমাজের যুব সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীর নেইল গ্রেগর এই ঘটনাক্রমকে চল্লিশের দশকের নাৎসী বাহিনীর ঘটনাক্রমের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, "নাৎসিরা তাদের কার্যসিদ্ধির জন্য যেভাবে এক ধরনের রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টি করে, ঘৃণার রাজনীতি আমদানি ঘটিয়ে সামাজিক বিভাজনের ভেতর দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধির পথে আগাতো,  ঠিক তেমন পর্যায়ক্রমই উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও প্রশাসন করেছে ।"

এ মুহূর্তের উত্তরপ্রদেশকে দেখলে মনে হবে যেন ইতিহাসের এক নগ্ন পুনরাবৃত্তি ঘটছে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব আইন ঘিরে সব ধরনের মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সংকল্পকে এমনভাবে প্রচার করছে, যাতে মনে হয় এই প্রতিবাদটা ধ্বনিত হচ্ছে, প্রতিরোধের সংকল্পটা উচ্চারিত হচ্ছে- কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ভেতর থেকে। মুসলিমরা সেই প্রতিবাদের,  প্রতিরোধের সংকল্পে,  সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করছে ।

এটা অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সমস্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ জোরদারভাবে প্রচার করে চলেছে। এই প্রচারকে  উত্তরপ্রদেশের ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে গোটা ভারতবর্ষে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিরাট, মুজাফফরনগর, আলিগঞ্জ, শামলিসহ গোটা উত্তরপ্রদেশের যেখানে মুসলিমদের আধিক্য রয়েছে, প্রত্যেকটি জায়গায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে ।

এই ঘটনাক্রমে ঘৃতাহুতি ঢেলেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অজয় সিং বিশওয়াত ওরফে স্বঘোষিত 'যোগী'  আদিত্যনাথের প্রকাশ্যে 'বদলা নেওয়ার'  হুংকারের ভেতর দিয়ে। আইনকে রাজনৈতিক হিন্দুরা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। একদম সরাসরি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে 'বদলা নেওয়া'র ডাকের ভেতর দিয়ে উত্তর প্রদেশ জুড়ে বিজেপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাদের সংযোগগুলোকে এমনভাবে পরিচালিত করছে যাতে যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশিত 'বদলা'র ঘটনাক্রমকে মুসলিমদের দিকে তাক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমও এইভাবে সংবাদ দেখাচ্ছে যাতে এটা প্রতিভাত হয় যে- নানা ধরনের সামাজিক বিশৃঙ্খলা, আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানো, লুটতরাজ, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস – এ গোটা ঘটনাটি, প্রতিবাদের নাম করে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সেখানকার মুসলিমরা করছে।

এনআরসি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিশেষ করে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসীতে, একদল ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই জন্মসূত্রে হিন্দু, তারা যেভাবে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসছেন, প্রতিরোধের সংকল্পে দৃঢ় হচ্ছেন, এই বিষয়টিকে  সংবাদমাধ্যমগুলো চেপে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় প্রতিবাদের মোকাবিলাতে মোদি প্রশাসন গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ে দিয়েছে।

বারাণসীতে এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ৬৯ জন সমাজকর্মীকে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য। এ ৬৯ জন কিন্তু জন্ম পরিচয়ে হিন্দু। এদের ভেতরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, বারাণসির  বিশিষ্ট গবেষক দিবাকর সিংহ আছেন। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ৫১ জন অধ্যাপক এনআরসি-র  বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন।

এই সমস্ত মানুষকে যোগী প্রশাসন নানাভাবে আইন-আদালত- পুলিশ ইত্যাদির সাহায্যে হেনস্থা করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে গোরখপুর থেকে লখনৌ সর্বত্র। বড়দিনের সময় লখনৌতে  ছয়দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা যোগী প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছিল। যোগীর নিজের শহর গোরখপুরেও তা ঘটেছিল। সেখানে এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ২৭ জন মানুষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা-মোকদ্দমা, আইনি হেনস্থা, পুলিসী হেনস্তা- প্রশাসন নগ্নভাবে চালিয়েছে।

মুসলিমদের ভেতর যে সমস্ত মানুষ হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের গোটা জীবন জুড়ে নানা ধরনের সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদেরও সাম্প্রতিক গোলমালের ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে পুলিশ নানা আইনি হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে।

'পইগহাম  ইনসানিয়াত'  নামক একটি সমাজ সেবামূলক সংস্থা গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে  হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির পক্ষে কাজ করে। মুসলিমদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কাজ করা সংস্থাটির প্রধান আসিফ রাহীকেও পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, গোলমাল চলাকালীন পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় বাগওয়ালি গ্রাম, সেহেরপুর  গ্রাম, মদিনা চক, বাঁকড়া মার্কেট, মীনাক্ষী চক  অঞ্চলগুলোতে ঘোরার সময় পুলিশ এবং হিন্দুত্ববাদীরা যথেষ্ট রকমের বাধা দিয়েছে।

তার অভিযোগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিত সিং স্থানীয় মুসলিমদের সাথে তাকেও দাঙ্গা বাধানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

এরকম চললে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে পুনরায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা এড়ানো সম্ভব হবেনা। তবে সেক্ষেত্রে দাঙ্গা হবে না। মুসলিমরা পড়ে পড়ে মার খাবে, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হবে। আর তার বীজ বপন করছে ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র খোদ।