Published : 10 Feb 2022, 06:30 PM
আরিস্তোতেলিস্ বা আরিস্ততল বা এরিস্টটল- তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আবশ্যকতা আছে কি! নেই। নিজগুণেই তিনি পরিচিত, বিশ্ববিখ্যাত। আর কলোনিয়াল হ্যাংওভারের কারণে আমরা তাকে চিনিই, চিনতে হয়। ইউরোপের কোনো প্রতিভাকে না চেনা এলিট পরিচয়ের স্মারক নয়, অন্তত শিক্ষিত সমাজে। আরিস্ততল প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক; পলিম্যাথ অর্থাৎ বহু বিষয়ের পণ্ডিত। তিনি লাইসিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা।
আরেক গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর শিষ্য (প্লাতো বা আফলাতুন, সৌভাগ্য আমার যে, আফলাতুন নামে একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিককে আমি বিভুরঞ্জন সরকার সম্পাদিত 'দৈনিক মাতৃভূমি' পত্রিকায় সহকর্মী হিসাবে পেয়েছিলাম)। এথেন্সে প্লেটোর একাডেমিতে আরিস্ততল পড়াশোনা করেছেন। ওই একাডেমিতে তিনি ১৭-১৮ বছর বয়স থেকে ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত ছিলেন। প্লেটোর মৃত্যুর পর তিনি এথেন্স ত্যাগ করেছিলেন। মধ্যযুগের জ্ঞানকাণ্ড তার দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত। আগ্রহী পাঠক সরদার ফজলুল করিমের বাংলা অনুবাদে 'এরিস্টটলের পলিটিক্স' বইটি পড়ে দেখতে পারেন। অনুবাদ যে একটি মৌলিক ক্রিয়া সেকথা বুঝতে পারবেন। এটি আসলে বাংলা ভাষায় 'আরিস্ততল-সৃজন', তাকে নতুন ভাষ্যে উপস্থাপন।
আরিস্ততলকে নিয়েই আজকের কথকতা। স্পুৎনিক ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন পোর্টালে সম্প্রতি- 'Aristotle Was Right? Creative Thinking Linked With 'Unrestrained Walking', New Study Claims' শিরোনামে একটা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একগাদা সমীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, 'creativity strongly depends on whether a person is restricted in their movement or not.' তারা বলছেন, 'Aristotle was right when he asserted that thinking and walking were inseparably linked.'
সমীক্ষাটি চালিয়েছেন জার্মান নিউরোবায়োলজিস্টদের একটি দল। তারা দেখেছেন, "creativity, specifically divergent thinking, 'benefits from unrestrained walking'." টিম-সদস্য এবং বাভারিয়ার জুলিয়াস-ম্যাক্সিমিলিয়ানস্-ইউনিভার্সিতাত-ভুর্জবার্গের (জেএমইউ) গবেষক বারবারা হ্যান্ডেল সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রটি সাইকোলজিকেল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সচলতা, চলমানতা বা মুভমেন্ট আমাদের অধিকতর নমনীয়ভাবে (মোর ফ্লেক্সিব্লি) চিন্তা করতে সহায়তা করে বিষয়টা তেমন নয়। বরং আত্মনিয়ন্ত্রিত (সেলফ-ডিটারমাইন্ড মুভমেন্টস) 'চলমানতার স্বাধীনতা'- এর পেছনে সক্রিয়। অর্থাৎ চলমানতার স্বাধীনতাই উন্মুক্তভাবে আমাদের চিন্তায় সহায়তা করে। গবেষক আরো বলেছেন, এমনকি বসে থাকার সময় হাতপায়ের স্বাধীন নড়াচড়া একই ধরণের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে, ক্রিয়েটিভ থিংকিংয়ে সহায়তা করে।
Handel declined to point out any concrete movement-related suggestions on the basis of the study, just saying: "The important thing is the freedom to move without external constraints". The researcher underlined that movement should be not forced into regular patterns, which Handel said "unfortunately happens when people focus, for example, on a small screen", an apparent nod to the increasing use of mobile phones and similar devices amid the ongoing COVID-19 pandemic."
১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী জার্মানভাষীদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার ভলান্টিয়াদের কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক গ্রুপকে একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে হাঁটতে বলা হয়েছিল, আরেক গ্রুপকে নিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে বলা হয়েছিল অথবা কম্পিউটারের কাছে বসে থাকতে বলা হয়েছিল।
"As was expected, the best results in terms of creativity were shown by those walking on an unrestrained basis. Scientists recalled that the notion about a link between walking and thinking goes back to the Peripatetic school of philosophy, founded by Aristotle in ancient Greece."
গ্রিক শব্দ পেরিপাতেতিকোস মানে হণ্টন। কিংবদন্তী আছে যে, আরিস্ততল ছিলেন হণ্টনশীল লেকচারার। তিনি চিন্তা করতেন, এবং চিন্তা করতে করতেই পাঠ দিতেন। হি ওয়াজ আ পেরিপাতেটিক লেকচারার।
উন্মুক্তভাবে বিচরণের কোনো সুযোগ কি আমাদের আছে? কি শহর কি গ্রাম- সব এলাকা লোকে গিজগিজ করে। জনসংখ্যার ঘনত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক নম্বরে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের (সমুদ্রসীমা জয়ের পর আয়তন কিছুটা বেড়েছে (এখন আয়তন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার; আগে ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার বর্গকিলোমিটার) প্রতি বর্গমাইলে লোকসংখার ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। এত ছোট্ট দেশে এত পরিমাণ জনসংখ্যা বিস্ময়কর।
এরকম একটি দেশে, কি শহর, কি গ্রাম, কি মেট্রোপলিটান সিটি- কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। হাঁটার জায়গা তো দূরের কথা! আর রাজধানী নামের শহরটিতে (আসলে তা বিশাল একটা বস্তি) লোকজনের হাঁটার কোনো পরিসরই নেই। ঘর থেকে বেরিয়েই মুড়ির টিনে (তথাকথিত গালভরা নাম সিটি বাস সার্ভিস) চাপতে হয়, আবার মুড়ির টিনে চেপে খোঁয়াড়ে (আবারো গালভরা নাম বাসা বা ফ্ল্যাট) ফিরতে হয়। এই-ই ঢাকাবাসীর রুটিন। কিছু অভিজাত এলাকায় কিছু 'বাড়ি' পাওয়া যায়। এ শহরের যত্রতত্র ওভারব্রিজ বা ফ্লাইওভার। এখন নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের কথা শুনলে 'দক্ষযজ্ঞের' কথা মনে পড়ে যায়! এ শহরে এতকিছুর মাঝে কোথায় হাঁটবে মানুষ! একমাত্র 'হাঁটাবাবা'ই হাঁটতে পেরেছিলেন। আর কারো পক্ষে হাঁটা সম্ভব নয়। হাঁটাবাবা মানে হায়দার বাবা মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকতেন। তিনি আপন মনে মোহাম্মদপুর এলাকার রাস্তায় হাঁটতেন, আর তার পেছনে ৫০-৬০ জন মুরিদ-ভক্ত হেঁটে যেত। তাকে নিয়ে বহু কথা চালু আছে। লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, আদাবো (লোকমুখে আদাবর নামে বেশি চালু) এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তাকে অনেকবার দেখেছি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে, আর ভক্ত-মুরিদরা পিছে পিছে হাঁটছে।
হাঁটাবাবার হণ্টন আরিস্ততলের কথা অনুয়ায়ী উন্মুক্ত মনের হলেও তার ভক্ত-মুরিদদের হাঁটা যে তা ছিল না সেটা বোঝা যেত। তাদের হণ্টন ছিল রেজিমেন্টেড হণ্টন। রেজিমেন্টেড হণ্টনে খুব একটা লাভ নেই। উদ্ধৃত গবেষণায় তেমন কথাই বলা হয়েছে। হাঁটতে হবে উন্মুক্তভাবে। তবেই মেওয়া ফলবে। মননে চিন্তাশীলতা জাগবে। ইট ইজ গুড ফর হেলথ অ্যান্ড মাইন্ড। কিন্তু এই ঢাকা শহরে তার ব্যবস্থা কোথায়? 'নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা' নাটকের মতো করে বলতে হয়- 'কে দেবে আশা, কে দেবে ভরসা।' এ শহরে কে দেবে হাঁটার ভরসা?
তার নিরিখেই আমার প্রস্তাব- ঢাকার ফুটপাতগুলো সুপরিসর করা হোক। মানুষ যাতে মনের খুশিতে হাঁটতে পারে। কাজে যাওয়ার জন্যও মানুষ যাতে হাঁটতে পারে। তখন হয়তো মানুষের হাঁটাটা আরিস্ততলের প্রস্তাব অনুযায়ী উন্মুক্তভাবে হবে না। কিন্তু যাঁরা সকালিক বা বৈকালিক হণ্টন করবেন, তারা যেন সেটা করতে পারেন। তারা যেন মনের আগল ভেঙে হাঁটতে পারেন।
এর জন্য ঢাকার বড় রাস্তাগুলোতে, যেগুলো ছয় লেন বা তার বেশি লেনের সেগুলোতে ফুটপাত কমপক্ষে ২০ ফুট চওড়া করা হোক। চার লেনের রাস্তা যেখানে আছে সেখানে ফুটপাত অন্তত ১৫ ফুট করা হোক। এছাড়া ভেতরের দুই লেন বা তিন লেন পরিমানের রাস্তাগুলোতে ফুটপাত ১০-১২ ফুট চওড়া হওয়া দরকার। এসব রাস্তা ভেন্ডরমুক্ত হওয়া দরকার। অতি অবশ্যই।
ফুটপাত পুরোপুরি জঞ্জালমুক্ত রাখতে হবে। ফুটপাতে চা-স্টল যে রাখা যাবে না তা নয়। কারণ ঢাকায় (এবং ইদানিং অন্যান্য মেট্রোপলিটান শহরেও) শহুরে মানুষদের চা খাওয়ার, আড্ডা মারার জায়গার বড় অভাব। ঢাকার অধিকাংশ এলাকাতেই প্রয়োজনীয় সংখ্যায় মাঠ নেই, পার্ক নেই। যাও আছে সেগুলো বেদখল হয়ে আছে। ফলে কিছু চা-স্টল, কলা-রুটির দোকান ফুটপাতে থাকতেই পারে। তবে এগুলো বসার জায়গা, কোন জায়গায় কয়টা বসতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে, ব্যবস্থাপনায় থাকবে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল। রাস্তার দোকানে পুলিশের তোলাবাজি তথা ঠেকবাজি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। পুলিশ একটা যন্ত্রণার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ এত খায়! রাস্তায় ফুটপাতের দোকানের চেয়ে বড় সমস্যা বরং বাস। যেখানে-সেখানে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। এ উৎপাত বন্ধ করতে হবে। বাস-স্টপ নির্দিষ্ট করতে হবে। এর বাইরে কোথাও বাস থামবে না। অটো বা সিএনজি দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট থাকতে হবে, টেম্পোর দাঁড়ানোর জায়গা নির্দিষ্ট করতে হবে। রিকশা দাঁড়ানোর জায়গাও নিদিষ্ট থাকতে হবে; সাধারণত চা-স্টলের কাছে রিকশা দাঁড়াবে, কারণ রিকশাওয়ালাদের চা-বিস্কুট, রুটি-কলা, বিড়ি খাওয়ার দরকার অছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় পার্ক, মাঠ নিশ্চিত করতে পারলে সেখানেও চা-স্টল জাতীয় খুচরো দোকান বসানো যাবে। তাহলে ফুটপাতগুলো উন্মুক্ত হবে। আমার কৈশোর ঢাকায় কেটেছে, দেখেছি ফুটপাতে এত জঞ্জাল ছিল না। বরং লোকাভাবে স্থানে স্থানে এত নির্জনতা ছিল যে, ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়ার ভয় ছিল। ফিরে পেতে চাই সেই সব ফুটপাত। আর ঢাকায় গাড়ির চাপ অনেক কমাতে হবে। রাস্তার পাশঘেঁষে ২-৩ ফুটের চওড়া জায়গায় ফুলের গাছ লাগানো যেতে পরে। সম্ভব হলে বড় রাস্তায় কমপক্ষে ১০ ফুট চওড়া সড়কদ্বীপ করতে হবে। রাস্তার পাশের দুই শ ফুটের মধ্যে বহুতল ভবন করা যাবে না। রাস্তার ঠিক পাশে তিনতলা ভবন হতে পারে, সে দোকাপাটের জন্যই হোক বা আবাসিক ভবনই হোক। বহুতল ভবনগুলো বড় রাস্তার অন্তত তিনশ ফুট দূরে হবে। ফুটপাতের পাশে ফুলগাছ লাগানের উদ্দেশ্য পথচারীদের আমেদিত করা, বিনোদিত করা। ঢাকার সামগ্রিক বিন্যাসের দায়িত্ব নগরপরিকল্পনাবিদদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
আরিস্ততল, পারিপাতেটিক ফিলসফার, মনখুশি ভঙ্গিতে চলমান পথচারী প্রভৃতি বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যের কথা ভেবে মঈন কাজীর একটা কবিতা উদ্ধৃত করছি। তার ব্যাপারে পরে একদিন বলা যাবে-
তোকে নিয়ে একদিন কালহীন তেপান্তরে যাব
তুই তোর বিষাদগুলো সিন্দুকে তুলে রাখ্―
সুখগুলো দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখ্―
আমি তোর নিজস্ব সীমানা কোনোদিন ডিঙোতে যাবো না।
আমি শুধু একদিন বিকেলের রঙ দিয়ে তোর কপোল রাঙাবো
কিংবা অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
রংধনুর সাতটি রঙের সুর তোকেই শোনাবো।
কালের প্রবাহ শুধু গৎবাঁধা টিক্ টিক্ নয়,
এখানে পাথর থাকে, নদী থাকে, বাঁধের কাঠিন্য থাকে,
প্রতিশ্রুতি-প্রতারণা থাকে, স্বাস্থ্যবান সবুজের নিচে
পাতাঝরা কান্না থাকে, ভালবাসা-লালশাড়ি-উৎসবের ঘরে
নিঃসঙ্গ বারান্দা থাকে―
মানুষের তবু কত আকুল প্রস্তুতি!
রাখালের বাঁশি একদিন গিলে খাবে বটের শিকড়,
আয়নার কাচ থেকে মুছে যাবে কামনার চোখ, গোপন হাসির রেখা,
শাড়ির নিখুঁত ভাঁজ, কপালের টিপ; সময়ের অবহেলিত আঁচড়ে
চৌচির কাচের পটে আঁকা হবে কিউবিজমের আর্ট!
সময়ের ডাস্টবিনে ভুরু কুঁঁচকে নেড়ি কুকুরের মতো
এঁটোকাঁটা ঘাঁটাঘাঁটি খুব বেশি মানবীয় নয়,
তবুও লালসা থাকে বলে সরল হরিণগুলো পালায় জঙ্গলে,
হাসির জলেরা জমে গিয়ে হয় ধবল করাত,
রাক্ষসের সাথে রাজকুমারীরা সুখের প্রাসাদ গড়ে!
সাফল্যের দাম্ভিক কাদায় ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ শুনে
থমকে দাঁড়ায় দুরন্ত অশ্বারোহী!
আমি সময়ের এইসব আঁকাবাঁকা পথ ছেড়ে
তোকে নিয়ে যাবো একদিন
কালহীন তেপান্তরে― খরস্রোতা ভয়াল নদীতে প্রতিশ্রুতির নৌকোয়
তোকে চড়তে বলব না― শুধু তুই যদি চাস্ তোর দুঃখের সিন্দুক
সেইখানে পুঁতে রেখে দিস পরম নির্ভয়ে। তারপর না হয় ফিরিস তোর
প্রাত্যহিক সময়ের পথে আর রক্তের ভিতরে
অনুভব করিস আবার জীবনের নিবিড় আগুন।
সারা মুখ জুড়ে বৃষ্টিহীন ঘন কালো মেঘ ধরে রেখে
ঘড়ির কাঁটার একঘেয়ে টিক্ টিক্ শব্দ শোনা জীবনের গল্প নয় কোনো;
আমি বলছি না যে, আমি তোর ওষ্ঠ থেকে সব দুঃখ শুষে নেবো,
আমি কেবল বলছি যে, একদিন পুঁতে রাখা সিন্দুকের ডালা খুলে যাবে
আর নির্ঘুম একাকিত্বের রাতে দুঃখগুলো নক্ষত্রের আলো হয়ে
তোর চোখে এঁকে দেবে নিবিড় কাজল।
কবিদের হাঁটার ব্যবস্থা সুগম করতে হবে। তাদের জন্যও ফুটপাত সুপরিসর হওয়া উচিত, বাউলদের জন্যও ফুটপাতগুলো সুপরিসর হওয়া দরকার, যাতে তারা ওয়াকিং অ্যান্ড থিংকিং যুগপৎভাবে করতে পারে, লাইক আরিস্ততল- দ্য পারিপাতেটিক ফিলসফার। ফুটপাতে যেন শিশুরা নেচে-গেয়ে চলতে পারে। এ শহর তাদের বাসের উপযোগী হয়ে উঠুক।