Published : 18 Nov 2021, 05:41 PM
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ১৯৭৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্যে গমন শুরু হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে এদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ ১৭৪টির বেশি দেশে শ্রম দিচ্ছেন এবং দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। এদের বেশিরভাগই কাজ করছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে।
আমরা দেখেছি, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে যখন উন্নত অনেক রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা বেশ স্থবির হয়ে পড়েছিল, ঠিক সে সময়েও অভিবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কল্যাণেই বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে রেমিটেন্স প্রবাহ কমতে শুরু করলে বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, দক্ষিণ এশিয়ার রেমিটেন্স কমার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেই পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করে ২০২০ সালে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলার যা জিডিপির অর্থাৎ মোট দেশজ উৎপাদনের ৬.৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেখানে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। দ্য গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রেমিটেন্স প্রেরণের দিক থেকে সপ্তম, মতান্তরে উন্নত দেশকে গণনায় নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের মতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম (ফ্রান্স প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পেয়েছে যা বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে দেশটিকে সপ্তম অবস্থানে রেখেছে)। সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশসমূহের মধ্যে ৮৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এক নম্বরে ভারত, দুইয়ে থাকা চীনের রেমিটেন্স ৬০ বিলিয়ন ডলার, তিনে থাকা মেক্সিকোর রেমিটেন্স ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ফিলিপাইন ৩৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকায় চারে, ৩০ ও ২৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে পাঁচে ও ছয়ে যথাক্রমে মিশর ও পাকিস্তান। ফ্রান্সকে সাতে রাখলে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকার আটে। এরপরই রয়েছে নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম। ২০২০ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচকই বটে। কারণ এ সময়টায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের রেমিটেন্স কমেছে ০.২ শতাংশ, চীনের কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশের পরে অবস্থান করা নাইজেরিয়ার রেমিটেন্স কমেছে ২৭.৭ শতাংশ যা প্রমাণ করে ২০২০ সালটি প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এক চ্যালেঞ্জিং বছরই ছিল।
রেমিটেন্সের হিসেব নিকেশে আমরা খুশি হতে পারলেও দুঃখজনকভাবে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা বিবেচনায় আনলে আমাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াটা কি স্বাভাবিক নয়? ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রম অভিবাসী হয়েছিল যার মধ্যে ৪ লাখ ৩৪ হাজার দক্ষ শ্রমিক। ২০১৮ সালে শ্রম অভিবাসীর সংখ্যা কমে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন নেমে আসলে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যাটাও কমে ৩ লাখ ১৮ হাজারে নেমে আসে। ২০১৯ সালে শ্রমশক্তি রপ্তানি হয় ৭ লাখ ১৫৯ জন যেখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা নেমে আসে ৩ লাখ ৪ হাজারে। স্বল্প দক্ষতাকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০১৭ সালে ৪ লাখ স্বল্প দক্ষ শ্রমিকের পরিবর্তে ২০১৮-তে ২ লাখ ৮৩ হাজার এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ৯৭ হাজার স্বল্প দক্ষ শ্রমিকরা বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে গমন করেন। তবে আধা-দক্ষ শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে গ্রাফের তরঙ্গাকার কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০১৯ এর মাঝে। ২০১৭ সালে আধা-দক্ষ শ্রমিক প্রেরণ ১ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ২০১৮ সালে কমে ১ লাখ ১৭ হাজার হয় এবং ২০১৯ সালে কিছুটা বেড়ে ১ লাখ ৪২ হাজার হয়।
২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সাড়ে ৭ লাখ নতুন কর্মীকে যুক্ত করার লক্ষ্য থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মীই প্রেরণ করা সম্ভব হয়। ফলে শ্রমশক্তির বিরাট একটি অংশ বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ হারায়। এর ওপর করোনাভাইরাসের কারণে চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরত এসেছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মতান্তরে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী যা বাংলাদেশের শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি।
শিল্পবিপবের যুগে দক্ষতাকে কাজের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে যত দ্রুত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা যাবে যুগের সাথে তাল মেলানোটা ততই সহজ হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা কারিকুলামে, আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ব্যবহারিক জ্ঞানচর্চা অপেক্ষা তাত্ত্বিক জ্ঞানের প্রকট প্রভাব কাজ করে। অথচ বাইরের দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দক্ষতার ওপর নির্ভর করে নিয়োগদান করা হয়। কারিগরি দক্ষতা তথা প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে যে সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা বিএমইটি-এর আওতাধীন ৭১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে দেশের অভিবাসনপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে। সরকার আগামী বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র্রগুলোর শাখাসমূহকে উপজেলা পর্যায়ে নিতে চায়। প্রশ্ন হলো এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষকদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে কিনা? তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় কিনা কিংবা হবে কিনা? প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও চাহিদামাফিক আধুনিক প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হবে কিনা?
শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতিই নয় বরং অনেক অভিবাসী অভিবাসনের পূর্বে গন্তব্য দেশের ভাষা, আইন-কানুন, আবহাওয়া সম্পর্কে সামান্যই ধারণা রাখে। বিদেশে একসময় কাজ করেছেন এমন ১০০ জনেরও বেশি অভিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তাদের একদিকে রয়েছে প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব, অন্যদিকে সাংস্কৃতিক সচেতনতার অভাব, যোগাযোগের অদক্ষতা, নির্মাণ শ্রমিকদের নিজেদের দূর্বল শারীরিক কাঠামো, খাদ্যাভাসসহ স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাব, আধুনিক যন্ত্রপাতি চালানোতে সিদ্ধান্ত না হওয়া, পেশাদারি মনোভাবের অভাব। মজার বিষয় হলো এসকল অভাব বা দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও এ সকল অভিবাসীরা দিনের পর দিন দেশের রিজার্ভ বাড়িয়ে গিয়েছেন। তবে প্রযুক্তির বিকাশকে মাথায় নিলে আগামী ১০ বছর যুদ্ধটা হবে প্রযুক্তির সাথে মানুষের। তাই এ সময়ে প্রযুক্তির জ্ঞান আমাদের শ্রম অভিবাসন প্রত্যাশীদের মাঝে ঢুকিয়ে না দিতে পারলে আমাদের শ্রমবাজার হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। সৌদি আরব আমাদের জন্য বড় শ্রমবাজার যারা ইতোমধ্যেই সৌদিকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে যেখানে বলা হচ্ছে একটি কারখানার অন্তত ২০ শতাংশ সৌদি নাগরিক কাজ করবে। এর প্রভাবে প্রবাসীদের ১২ ধরনের চাকুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং বড় চ্যালেঞ্জটা সামনেই আসছে। করোনার পর দেশগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। নতুন শ্রমবাজার চালু হবে বিভিন্ন দেশে কিন্তু প্রযুক্তিগত দক্ষতার ব্যবহার হবে সর্বোচ্চ। মনে রাখতে হবে, একসময় গ্রামগুলোতে ধান মাড়াইয়ের জন্য যেখানে অনেক শ্রমিক দরকার হতো সেখানে একটি মেশিনই অনেক মানুষের কাজ করে দেয়। মেশিনের মালিক হওয়া কিংবা মেশিন চালানোর প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে পারা মানুষটি কিন্তু টিকে থাকছে প্রতিযোগিতায়, নতুবা হালের সাথে যুদ্ধে কালের গর্ভে বিলীন হতে হয়। তাই আামদের বিদেশ গমনে ইচ্ছুদেরকে উন্নত প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
কোভিডকালীন সময়ে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিএমইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশ গমনে ইচ্ছুকদের টিকা নেবার রেজিস্ট্রেশন, বিদেশফেরতদের রেজিস্ট্রেশনসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা প্রশংসনীয়। কিন্তু এটাও সত্য যে বিদেশফেরত অভিবাসীদের অনেকে আর গন্তব্য দেশে ফিরতে চাইবেন না কিংবা পারবেন না। এই বড় সংখ্যার লোকবলকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন দেশীয় কর্মসংস্থানের সাথে মিল রেখে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রদান করা। ২০১০ সালে প্রবাসীদের স্বার্থরক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমানে কোভিডকালীন সময়ে ফেরত অভিবাসীদের বিনা জামানতে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে অভিবাসীদের এ ঋণ পাবার ক্ষেত্রে একদিকে যেমন রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতা অন্যদিকে রয়েছে নিজেদের যথার্থ পরিকল্পনা ও দক্ষতার অভাব। তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি না থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় সনদ যা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার ক্ষেত্রে এক বড় বাধা। ১৯৯০ সাল থেকে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে আসা ওয়েজ আনার্স কল্যাণ তহবিল ২০১৮ সালে এসে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড আইন-২০১৮ পাশের মাধ্যমে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড নামে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে যুগপোযোগী সেবাসমূহ যুক্ত করেছে। প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি করোনাকালীন ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্যও তাদের রয়েছে নানামুখী কার্যক্রম। সম্প্রতি সরকার ফেরত আসা কর্মীদের ঘুরে দাড়ানোর লক্ষ্যে ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে 'প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুণঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্প' অনুমোদন করেছে যেখানে বলা হয়েছে ২ লাখ ফেরত অভিবাসীকে ১৩৫০০ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে। এই অর্থের দ্বারা একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা বা উদ্যোগ গ্রহণ করা বাস্তবিকপক্ষে হয়তো খুব বেশি যুক্তিযুক্ত নয়। বরং এই অনুদানটির অর্থ একজন মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। কারণ অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ ও সনদ একজন ব্যক্তিকে সম্পদে পরিণত করে। দেশে ফেরত আসা অনেক অভিবাসীর বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা সরকারি এবং বেসরকারি কিছু প্রশিক্ষণবঞ্চিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বয়সের ক্ষেত্রে কিছুটা শীথিলতা আনা যায় এ বিষয়টিও আমলে নেওয়া প্রয়োজন। যেহেতু সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানামুখী সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে সুতরাং এ সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আমরা দেখেছি শ্রম অভিবাসীদের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে হলে নির্দিষ্ট টিকা নিয়েই দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে। অর্থাৎ অভিবাসনের ক্ষেত্রে টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে গন্তব্য দেশে যদি শর্ত থাকে– অভিবাসনের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক তবে সেই দিনের জন্য আমরা কি প্রস্তুত আছি? সময় এসেছে ভাববার। হয়তো ১০০ শতাংশ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক আমরা পাঠাতে পারব না তবে সত্যিকার অর্থে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হলে কিংবা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক তৈরি করা সম্ভব হলে দেশেও তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে।