Published : 14 Jan 2021, 08:29 PM
কেইস ১
মো. কামাল, ৩৭ (ছদ্মনাম) নারায়নগঞ্জ জেলার এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন। খুব বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেননি। একদিকে দেশে ভাল কোন কাজ না পাওয়ায় দালালের প্ররোচনায় স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বিক্রি করেন। তারপর আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে ২০১৩ সালে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় কাজের স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমান। লিবিয়ায় শুরুর দিনগুলো ভাল কাটলেও লিবিয়ার যুদ্ধ, কাজ হারানো, বেতন না পাওয়া এসব মিলিয়ে অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। বাড়িতে কাছের মানুষের কাছে সমস্যা খুলে বললে বরং সহায়তার বদলে জোটে তিরস্কার। এমন অবস্থায় তার 'স্ত্রী তার সাথে সংসার করবেন না' বলে জানালে তিনি দেশে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেন এবং ২০১৭ সালে রিক্ত হাতে দেশে ফিরে আসেন।
অনেক চেষ্টার পরও সংসার টেকাতে পারেননি কামাল। স্ত্রী তার ৮ বছরের ছেলেকে রেখে অন্যের সাথে ঘর বাঁধে। কামাল রাগে, দুঃখে-ক্ষোভে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। এলাকার মানুষজনও তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে শুরু করে। নিজেই নিজেকে দোষারোপ করা শুরু করেন। হতাশা, বিরক্তি নিয়ে পরিবারের সাথে মিশতে পারছিলেন না। নিজের প্রতি এবং সন্তানের প্রতি অযত্নশীল হয়ে উঠেছিলেন। তার কথা শোনার বা বোঝার মত কেউ তার পাশে ছিল না। তিনি বলেন, "নিজেকে অপদার্থ মনে হত; মনে হত আমার বাঁচা না বাঁচা সমান।" একসময় যে মানুষটি প্রবাসে গিয়ে নিজের পরিবারকে আলো এনে দিতে চেয়েছিলেন সেই মানুষটিই একসময় দেশে ফিরে হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত।
কেইস ২
নেশাগ্রস্ত এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয় দরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া, বাবার আশ্রয়ে থাকা স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন সুরমার (ছদ্মনাম)। কিন্তু সংসারটা টেকেনি বেশিদিন। স্বামী ত্যাগী মুন্সিগঞ্জের এই নারী এক দালালের মাধ্যমে অল্প টাকা খরচ করে ভালো বেতনের আশায় গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। কিন্তু সেখানে গিয়ে গৃহকর্মী হিসেবে অতিরিক্ত কাজের চাপ, ঘুমের ঘাটতি, খাবারের সমস্যা, শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি মিলিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং জন্ডিসে আক্রান্ত হন। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা জোটে না। মাত্র ৪৩ দিনের মাথায় ফিরে আসা সুরমা নিজ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু বিধি এবারও বাম! বাবা মারা যান কিছুদিন পরই। ফলে নেমে আসে দুর্বিষহ ভোগান্তি। একদিকে বাবা হারানোর ব্যথা, নিঃস্ব হয়ে বিদেশ থেকে ফেরা, নিরাপত্তাহীনতা, ঘুমাতে না পারা, আর্থিক দৈন্যতা, হীনমন্যতা মিলিয়ে হতাশা গ্রাস করতে থাকে সুরমাকে (৩৩)। পরিবার বা সমাজ কোথাও ব্যক্তি কিংবা নারী সুরমার প্রত্যাশিত গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। সুরমা বুঝতে পারে না এ জীবনতরীর নোঙর সে কি নিজে করতে পারবে, নাকি জীবনই তাকে নোঙর করাবে।
কেইস ৩
চট্টগ্রামের স্বন্দীপের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা জামিলের, ২৫ (ছদ্মনাম)। আদমজী জুট মিলে কাজ করা বাবা চাকরি হারালে জামিলের বড় ভাই তার পড়াশোনা ছেড়ে বিজিবিতে চাকরি নিয়ে সংসারের হাল ধরেন। এর মধ্যে ২০১৩ সালে জামিলের বাবা মারা যান। ২০১৭ সালে স্নাতক পাস করে জামিল দেশে চাকরি খুঁজে না পেয়ে ২০১৯-তে কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাড়ি জমান। স্নাতক পাসের পর ভালো কোনও কাজের আশায় গেলেও সৌদি গিয়ে ঘোড়া আর উটকে খাবার দেওয়া এবং আস্তাবল পরিস্কার রাখার কাজ পান জামিল। ভাষাগত জটিলতার কারণে শারীরিক আঘাত সইতে হত, আর খাবারটাও পরিমাণমত জুটত না। তার মতে, "অনেক দিন না খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছি; ভুল করলেই আমাকে তারা মারত"। সেখানে সুবিধা না করতে পেরে এক বাঙালির সহায়তায় পরে এক হোটেলে ডিশ ক্লিনারের কাজ নিলেও ঠিকমতো বেতন পাননি জামিল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মহামারী দেখা দিলে সৌদি আরবের হোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া যায়। ৭ মাস কাজ করে মাত্র ৪ মাসের বেতন পান জামিল। করোনার তীব্রতার মাঝেও স্বাভাবিক জীবনের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্ত ৭ মাস বেকার থেকে নিজের খরচ বহন করতে অপারগ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কফিলের কাছে আকামা নবায়নের আবেদন করলেও কফিল দ্বিগুণ অর্থ দাবি করে বসে। ফলে দেশে ফেরা ছাড়া আর কোনও পথ থাকে না জামিলের। পরে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ধার করে ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু দেশে ফেরার পর ঋণের বোঝা, নিজের অপারগতা তাকে দুঃখী করে তোলে। পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নানারকম কটূক্তি করতে থাকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত জামিল সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকেন এবং হতাশ হয়ে পড়েন। জীবন নিয়ে আশাবাদী হবার জন্য যে বয়সটি একজন মানুষের জীবনে সোনালী সময় ধরা হয়, ঠিক সে সময়ে দাঁড়িয়ে জামিল আশার একটুখানি আলো খুঁজে ফিরে।
এ তিনটি কেবল সত্য ঘটনা নয়- বরং তিনটি ব্যক্তিসত্তা, তিনটি পরিবারের আশার বাতি ধীর লয়ে নিভে যাবার সূচনা যা অমানিশার ঘোর অন্ধকার হয়ে এসে দিনশেষে ছুঁয়ে দেয় রাষ্ট্রকেও। বিদেশে কাজের উদ্দেশে গমন করে সফলতার পাশাপাশি কোন এক দুর্ভাগ্যকে আলিঙ্গন করে নিয়ে দেশে ফিরেছে এমন ঘটনা হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু উপরের কেইসগুলোর মাধ্যমে যে বিষয়টিতে আলোকপাত করাটা জরুরি তা হলো, দেশে প্রত্যাবর্তনের পর এই অভিবাসীদের টিকে থাকার জন্য যে কঠিন সংগ্রাম করতে হয় তা অনেকেরই অজানা। উপরের প্রতিটি কেইসের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় তারা দেশে আসার পর নিরাশ, কর্মচাঞ্চল্যবিমুখ, সিদ্ধান্তহীন এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ঝামেলায় পতিত হয়। বিদেশে থাকার সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা এই মানুষগুলো একসময় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে; এমনকি কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয়।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এর তথ্যমতে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬৭জন কর্মী বিদেশ থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফিরেছে তন্মধ্যে ৬০ জন নারী। এ সংখ্যা প্রমাণ করে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক কষ্ট নিয়ে ফিরেছে। অথচ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এ মানুষগুলোর কথা শোনার জন্য কেউ যেন কান পাতার ফুসরৎ পায় না। কষ্ট চেপে একা একা নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন এ মানুষগুলো।
উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ফেরত অভিবাসীদের রিইন্টিগ্রেশনের উদ্যোগ নিলে তাদের কথা শোনার জন্য, তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য নিয়োগ দেয় সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলরদের। বিভিন্ন জেলায় সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলরদের কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় কাউন্সেলিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় প্রাথমিকভাবে কাউন্সেলিং নিতে অনেকেই অনীহা পোষণ করে। তবে অন্তত কাউন্সেলিং গ্রহণের জন্য আসার পর পেশাদার সম্পর্ক তৈরি হলে এবং অন্তত একটি সেশন কাউন্সেলিং গ্রহণ করলে তাদের কাউন্সেলিং নেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়। তারা মন খুলে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন, তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আগ্রহী হন, পরিবার কিংবা সমাজের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
যে মানুষগুলোর বর্ণনা দিয়ে লেখার শুরু কাউন্সেলিং গ্রহণের পর সেই মানুষগুলো আশার আলো খুঁজে পান। শুরুতেই তাদের পরিবার বা সমাজ তাদেরকে বাঁধা দিলেও তাদেরকে কাউন্সেলিং এর প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা বোঝানো সম্ভব হলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে। ফলে কামাল, সুরমা এবং জামিলরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন, মাথা উঁচু করে সুন্দরভাবে বাঁচতে চান।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের তথ্যমতে, ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ১৮ জন সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলরদের মাধ্যমে অভিবাসনপ্রবণ এলাকাগুলোতে কাউন্সেলিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে এক হাজার জনের বেশি বিদেশ ফেরত অভিবাসী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে ফেরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাউন্সেলররা টেলিকাউন্সেলিং সেবা দিয়েছে প্রায় দুই হাজার জনকে। এর ফলে অভিযোজন ক্ষমতাই শুধু বাড়েনি বরং তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, তাদের সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা বেড়েছে, উৎপাদনশীল কাজে যুক্ত হবার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কাউন্সেলিং যে শুধু বিদেশ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরলেই প্রয়োজন তা নয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দীর্ঘ প্রবাসজীবনে একজন অভিবাসীকে যে সংস্কৃতি লালন করতে হয়, দেশে ফিরে তা অনেক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বা সংঘাত সৃষ্টি করে। ফলে ব্যক্তি যেমন সমাজের অনেক উপাদান বা প্রথাকে গ্রহণ করতে হিমশিম খায়, অন্যদিকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অভিবাসীর এরূপ আচরণকে কটাক্ষ করে। ফলে বাঞ্চিত মিউচুয়াল ক্যাপিটালের পরিবর্তে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় এক ধরনের শুন্যতা তৈরি হয়। তাই সফল একজন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিও দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবার জন্য পেশাদার কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হলে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটার সুযোগ তৈরি হয়।
বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি অন্তরায় হলো সমাজের নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত শ্রেণির অনেক মানুষই এখনও কাউন্সেলিং সেবার প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে উদাসীন। এমনকি কাউন্সেলিং সেবাকে কেউ কেউ পাগলের চিকিৎসা হিসেবেও ধরে নেয়। এক্ষেত্রে কাউন্সেলর এবং ক্লায়েন্ট উভয়েরই আত্মবিশ্বাস নড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। অভিবাসন সেক্টরে কাউন্সেলিং সেবার একটি বড় বাঁধা হলো এ ধরনের মনোভাব। কারণ ফেরত অভিবাসীরা পরিবার বা সমাজের সমস্যা বলতে না পারলেও কাউন্সেলরদের কাছে তা খুলে বলেন। অথচ এ ধরনের সামাজিক অপবাদ তার সামনের পথ রূদ্ধ করে দেয়। বাংলাদেশে সিজোফ্রেনিয়া, শুঁচিবায়ু, পিটিএসডি, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের মত মানসিক সমস্যাগুলোর সমাধানে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামীণ জনজীবনের পাশাপাশি শহুরে জীবনেও নানাবিধ কুসংস্কার বা ভ্রান্তধারণা প্রচলিত আছে। আদিম কিংবা তথাকথিত চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন- ঝাঁড়ফুক, তেলপড়া, পানিপড়া দিয়েই এগুলোর সমাধান খোঁজা হয়। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিকটে যাওয়ার ঘটনা কম ঘটে।
মূলত কাউন্সেলিংয়ের ফলে ব্যক্তি নিজের মৌল-মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতি পাবার পাশাপাশি নিজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বা ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করতে পারে এবং তা ব্যবহারে তৎপর হয়ে উঠে। কাউন্সেলিং সেবাকে বিমানবন্দরে থেকে শুরু করে ফেরত অভিবাসীর নিজ বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি নানাবিধ প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা, সুশীল সমাজ, স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাউন্সেলিং বিষয়ে বহুল প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। অন্যদিকে প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পুণরেকত্রীকরণ সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাউন্সেলিং সেবাকে সেবা হিসেবে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে একজন অভিবাসী ভাল থাকলে তার পরিবার পরিজনকে ভাল রাখতে পারবে এবং ভাল থাকবে দেশ। শুধু প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের খবর রাখলেই হবে না বরং তাদের মনের ভাল-মন্দের খবরকেও গুরুত্ব হবে।