Published : 27 Nov 2020, 01:48 PM
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি পরীক্ষার ধরন এখনও চূড়ান্ত না হলেও ভর্তি পরীক্ষা যে হবে এটা নিশ্চিত। ফলে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা করেই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এদিকে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আটমাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে এবার যারা এইচএসসি পাশ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেবে তাদের অনেকেই এইচএসসি পরীক্ষা কবে এবং কীভাবে হবে তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ছিল এবং পড়াশোনা থেকে তারা এতদিন অনেকটা দূরে ছিল। অন্যদিকে এইচএসসি পরীক্ষা যেহেতু এবার হচ্ছে না সেহেতু শিক্ষার্থীদের পুরনো পড়াগুলো রিভাইজ দেওয়ার আগ্রহ কমে যাওয়াও স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের অবসর বা সময় কাটানোর বহুল পরিচিত মাধ্যম হচ্ছে ফেইসবুক বা অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, নানাবিধ কারণেই অনলাইন নির্ভরতা আমাদের সকলের মধ্যেই দিন দিন বাড়ছে। ফলে কাগজের বা ইলেকট্রনিক সব ধরনের বই-ই পড়ার আগ্রহ কমছে। শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের প্রতি অনাগ্রহ এবং ফেইসবুকের প্রতি অতি আগ্রহ বা ঝোঁক থাকার বিষয়টি বেশি দৃষ্টিগোচর হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির অসাধারণ উন্নতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের ফলে বর্তমানে Book এবং Facebook এর ব্যবহারিক দিকটি সবচেয়ে বেশি আলোচ্য বিষয়। যেহেতু ফেইসবুকের উপস্থাপনা বা প্রেজেন্টেশন ব্যবহারকারীর নিকট অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং ফেইসবুকের কনটেন্ট অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় তাই মানুষ বইয়ের চেয়ে ফেইসবুক ব্যবহারে অনেক বেশি আগ্রহী। তাছাড়া ফেইসবুক পড়ার বা দেখার জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোও ফেইসবুকের লেখা, ছবি বা ভিডিওকে অনেক আকর্ষণীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের সামনে উপস্থাপন করে। দেশের মোটামুটি সব জায়গায় যেহেতু বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী সেহেতু যেকোনো অবস্থাতেই একজন ব্যবহারকারী ফেইসবুকে ঢুকতে পারেন। ফলে বাস্তবতা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ব্যবহারিক দিক বিবেচনায় বইয়ের চেয়ে চেহারা বই বা Facebook অনেক বেশি সহজলভ্য এবং জনপ্রিয়। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বই পড়ার চেয়ে চেহারা বই পড়েন বেশি, ফেইসবুকে সময় ব্যয় করেন বেশি এবং দৃশ্যত ফেইসবুকেই আনন্দও পান বেশি। ফলে যাদের বইয়ে নিমগ্ন থাকবার কথা সেই সব শিক্ষার্থীরাও বইয়ের পাতা না উল্টিয়ে ফেইসবুক নিয়ে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন।
একটা সময় ছিল যখন শিক্ষিত সমাজ বিখ্যাত কোনো লেখকের নতুন বই বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকত। দুপুরের খাবারের পর কিংবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বই পড়তে পড়তে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ত। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ছুটির পর পাড়ার লাইব্রেরিতে গিয়ে দুয়েক ঘণ্টা বসে বই পড়ে আসত। স্কুল-কলেজ বা পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বই ধার নিয়ে বাসায় বসে পড়ত। অনেকে আবার পরস্পরের মধ্যে বই আদান প্রদান করত। বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। পছন্দের একটা বই সংগ্রহ করার জন্য মানুষ অনেক কষ্ট করত। বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল। অবসর কাঠানোর সর্বোত্তম উপায় ছিল বই পড়া। যাত্রাপথে সময় কাটানোর জন্য মানুষ বইকে সঙ্গী হিসাবে বেছে নিত। বই ছিল মানুষের সার্বক্ষণিক বন্ধু। অথচ এখন শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, মোটামুটি সব বয়সীরাই ফেইসবুক নামক বইটি পড়েন। ঘুমোতে যাবার সময় এখন বইয়ের বদলে মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করে। মোবাইল ফোনের স্ক্রিন স্ক্রলডাউন করতে করতে ঘুমোতে বিলম্ব হওয়া এখন অনেকের জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ক্লাসের ফাঁকে ছেলেমেয়েরা যেখানে বই পড়ত এখন তারা ঐ সময়টাতে ফেইসবুক দেখে। অবসর কাটানোর জন্য মানুষ এখন বইকে নয়, ফেইসবুককে সঙ্গী হিসাবে বেছে নেয়। নতুন বই সংগ্রহের চেয়ে মানুষ এখন ফেইসবুক ফ্রেন্ড বাড়ানোতে বেশি আগ্রহী। কোন লেখকের বই বেরুল তা জানার চেয়ে ফেইসবুকে কে কী পোস্ট করল সেটা জানতে বেশি আগ্রহী। ২০০৪ সালে ফেইসবুকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ফোন সহজলভ্য ছিল না। ফলে ফেইসবুক তখন আমাদের ঘাড়ে চেপে না বসলেও বর্তমানে ফেইসবুক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে গেছে। পরীক্ষার আগের রাতে যে ছেলে বইয়ের পাতায় ডুবে থাকবার কথা সে এখন ফেইসবুকে প্রশ্ন খুঁজে কিংবা অন্য বন্ধুদের কাছে কোনো সমস্যার সমাধান চায়।
বই পড়ার অভ্যাসের সাথে ফেইসবুক ব্যবহারের বিস্তর তফাত রয়েছে। পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান, আনন্দ, বেদনা বা যেকোনো প্রকার তথ্য এবং সাহায্য এখন ফেইসবুকে পাওয়া যায়। বইয়ের পাতা উল্টানোর চেয়ে ফেইসবুকে অনুসন্ধান করা অনেক সহজ। একটা তথ্য জানতে চাইলে ফেইসবুক হাজারটা তথ্য অনুসন্ধানকারীর সামনে উপস্থাপন করে। ফেইসবুকে পারস্পরিক ডিজিটাল মিথস্ক্রিয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে। যখন তখন যে কারও সাথে কথা বলে একাকীত্ব কাটানো যায়। সমস্যা হচ্ছে ফেইসবুক থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্যই সত্যতা যাচাইকৃত নয় কিংবা সম্পূর্ণ নয় বরং আংশিক বা অসম্পূর্ণ। তাছাড়া বৈচিত্র্যময় ফেইসবুক মানুষকে সহজেই বিভ্রান্ত করে এবং প্রলুব্ধ করে দীর্ঘসময় আঁকড়ে ধরে রাখে। আজকালকার ছেলেমেয়েরা দুই ঘণ্টা একটি বই পড়ার চেয়ে ছয় ঘণ্টা ফেইসবুক পড়ে বা ব্যবহার করে এবং কীভাবে এতটা সময় কেটে গেল তার খেয়ালই রাখে না। অধিকাংশ ফেইসবুক পোস্টই হয়তো খবর, নয়তো আড্ডার সংগে প্রাসঙ্গিক। ফলে এক দিকে যেমন তাদের সময় নষ্ট হয় অন্যদিকে মানসিকভাবেও তারা বিভ্রান্ত হয়। কারও লেখা পড়ে তারা হাসে, পরক্ষণেই অন্য কারও দুঃসংবাদ দেখে মর্মাহত হয় কিংবা ভিন্ন কারও লেখায় কোনো অনিয়মের ঘটনা জেনে ক্ষুদ্ধ হয়। হয়তোবা তার পরেই অন্য কারও সুখবর জেনে ঈর্ষান্বিত হয়। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি অনেক কিছুই ফেইসবুকে এখন পাওয়া যায় অথবা বন্ধুরা শেয়ার করে। সেসবের কোনোটিই মানোত্তীর্ণ নয়। ফলে কোনটা খাঁটি আর কোনটা মাটি তা বোঝা দুষ্কর। ফেইসবুকের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা শেয়ারিং মাধ্যমও এক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত। ফেইসবুক-এর প্রতি আসক্তির কতগুলো কুফল আমরা দেখতে পাই। শিশুশিক্ষার্থীদের দীর্ঘসময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের সমস্যা হয়, পড়াশোনায় মনোযোগী না হয়ে কপি পেস্ট করার প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ে, সৃষ্টিশীলতার চর্চা না করে অন্যের উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়। কোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ কমে গিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে জানা হয়। বই পড়ে নির্মল আনন্দ লাভের বিপরীতে ফেইসবুক পড়ে আনন্দ বেদনার মিশ্র অনুভুতি লাভ হয়।
কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির সহজ প্রাপ্যতার ফলে কাগজের বই পড়া থেকে মানুষ এখন দৃশ্যত অনেক দূরে। দেশে ফেইসবুক সহজলভ্য হবার আগেও যারা বই পড়তে পছন্দ করতেন তারাও এখন আগের মতো বই পড়েন না। বিজ্ঞানের সুফল আমাদেরকে অবশ্যই নিতে হবে; কিন্তু কীভাবে? আপনি চলার পথে গাড়িতে বসে হাতে থাকা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইসে ফেইসবুক না পড়ে কোনো একটি বইয়ের সফট কপি পড়ে নিতে পারেন। বাস্তবের কাগজের বইটি পড়ার আনন্দ না পেলেও ভ্রমণের সময়টিকে কাজে লাগানোর এটি একটি সহজ উপায়। বইয়ের গুরুত্ব ও পাঠকের ওপরে বইয়ের প্রভাব অনেক; তা সে কাগজের বই-ই হোক কিংবা ইলেক্ট্রনিক বই (সফট কপি)। একেকটা বইয়ে কোনো একটি ঘটনা বা বিষয়ের একটা ধারাবাহিক তথ্যবহুল সম্পূর্ণ বর্ণনা থাকে। আপনি গল্পের বই পড়ছেন সমস্যা নেই, সেখানে গল্পটি এক পর্যায়ে শেষ হবে এবং আপনাকে একটা পরিপূর্ণ অনুভূতি দেবে। আপনি কোনো প্রবন্ধ পড়ছেন সেখানে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে যথাসাধ্য বিস্তারিত তথ্য বা বর্ণনা থাকবেই। বই হচ্ছে সময়কে মলাটবন্দি করে রাখার এক পরীক্ষিত মাধ্যম। লাইব্রেরিতে থাকা বইয়ের তাকের দিকে তাকালে যেমন আনন্দ লাগে, বইটাকে হাতে নিলে নিজের কিছু আছে বলে মনে হয়। অধিকাংশ বই-ই কোনো না কোনো সম্পাদনা বা পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তবেই পাঠকের হাতে আসে। ফলে তার মান যথাসম্ভব বজায় থাকে। সময় বা অর্থ বাঁচানোর জন্য কাগজের বইয়ের বদলে ইলেক্ট্রনিক বই পড়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই বই পড়ার সময়কে সংকুচিত করে বা বইকে পাশ কাটিয়ে ফেইসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য ইন্টারনেট মাধ্যমের দিকে ঝোঁকা উচিত নয়।
আধুনিক প্রন্থাগারে কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক বইয়ের (সফট কপি) সরবরাহ থাকে। গ্রন্থাগারের নিবন্ধিত পাঠক গ্রন্থাগারের ওয়েবসাইটে ঢুকে লগ-ইন করে নিজের ঘরে বসেই বই পড়তে পারেন নিজের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে। অনলাইনে বা ডিভাইসে ইলেক্ট্রনিক বই পড়া বই বহন বা প্রাপ্তিকে সহজ করে। কিন্তু ইলেকট্রনিক বই পড়ে কাগজের বইয়ের আনন্দ বা সুবিধা পাওয়া যায় না। ইলেক্ট্রনিক বইয়ের ফাইল বা ফোল্ডারের দিকে তাকালে সেটাকে বই বলে মনে হয় না। সেটা একটা ডকুমেন্ট। পছন্দের কোনো উক্তি বা কোনো দরকারি তথ্য আন্ডারলাইন বা হাইলাইট করে রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। ইলেক্ট্রনিক বইয়েও লেখা বা উক্তি হাইলাইট করার ব্যবস্থা আছে, অনেক সময় কাগজে লেখার মতো করে ইলেকট্রনিকভাবে লেখাও যায় কিন্তু যে জিনিসটা স্পর্শ করা যাচ্ছে না তার সাথে বইয়ের তুলনা চলে না। তাছাড়া সবার কাছে ইলেক্টনিক বই হাইলাইট করা বা বইয়ে মন্তব্য লিখে রাখার প্রযুক্তি নাও থাকতে পারে। তবুও কাগজের বই পড়ার সুযোগ না পেলেও ফেইসবুক নয়, বই-ই পড়া উচিত। বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হলে মানুষ আরেকটা বই-ই পড়বে কিন্তু ফেইসবুক পড়ার অভ্যাস তৈরি হলে তা আসক্তিতে রূপ নেবে। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেইসবুক ব্যবহারের দরকার আছে কিন্তু সেটা কখনোই বইকে এড়িয়ে নয়।
বই পড়ার জন্য পাঠাগারের গুরুত্ব অপরিসীম। একেকটি পাঠাগার জ্ঞানের ভাণ্ডার। নানা বিষয়ের বইয়ের সমাহার থাকে একেকটি পাঠাগারে। পাঠক পাঠাগারে যেয়ে বসে বই পড়ছে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কী হতে পারে। পাঠাগারে বসে বই পড়ার সুবিধা অনেক। তখন কেবল বই-ই পড়া হয় অন্য কিছু নয়। ফলে বইয়ের প্রতি মনোযোগ আসে অনেক বেশি এবং পড়ার আনন্দ উপভোগ করা যায় পরিপূর্ণভাবে। পাঠাগারে বসেই হোক কিংবা নিজে সংগ্রহ করেই হোক, কাগজের বই-ই হোক কিংবা ইলেক্ট্রনিক বই-ই হোক, আমাদের বই পড়া উচিত। নতুন প্রজন্মকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। বিশেষকরে এই করোনাভাইরাস মহামারীকালে ফেইসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় বেশি ব্যয় না করে ঘরে থাকা বই কিংবা অনলাইন থেকে ইলেক্ট্রনিক বই ডাউনলোড করে পড়া উচিত। এতে করে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার ক্ষতিটা কিছুটা হলেও পূরণ হবে। ইন্টারনেট কিংবা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ইন্টারনেটের অপব্যবহার না করে তার সদ্ব্যবহার করার উচিত। নতুন প্রজন্ম যেভাবে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে সেভাবেই তাদের সামনে বইকে উপস্থাপন করতে হবে। যেকোনো বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা লাভের জন্য বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ফেইসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে ফেইসবুক নয়, বইয়ের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপরীক্ষায়ও কৃতকার্য হতে হবে বইয়ের ওপর নির্ভর করেই। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, অনলাইনের প্রতি সবার অপ্রয়োজনীয় আসক্তি কমিয়ে বইয়ের প্রতি মনোযোগী না হলে জাতি এক সময় মেধাশূন্যতার ঝুঁকিতে পড়বে। তাই ফেইসবুক নয়, বুকই হোক আমাদের সার্বক্ষণিক বন্ধু।