Published : 26 Jan 2012, 02:09 PM
শুধু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নয়, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেই নয়, ধর্মান্ধতাকে অনেক দেশের ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ স্থান আদালতের আসনে বসে অনেক তথাকথিত বিচারকও অন্যায়ভাবে অন্ধ সমর্থন দিয়েছে, পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সাম্প্রতিক বিশ্বে সেরকম তিনটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলো:
ভারতের অযোধ্যার বাবরি মসজিদ বা রাম মন্দির:
ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত বাবরি মসজিদ নামে একটি প্রাচীন মসজিদ ছিল। কট্টরপন্থী হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে এ বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত ছিল সেটাই ছিল হিন্দু ধর্মের অবতার রামের জন্মস্থান। এই বিষয়টি নিয়ে আঠারো শতক থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক চলে আসছে, যা অযোধ্যা বিবাদ নামে পরিচিত। মসজিদের অভিলিখন থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮–২৯ (৯৩৫ হিজরি বছরে) এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯২ সালে ভারতীয় মৌলবাদী নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানীর নেতৃত্বে ভারতীয় কট্টর করসেবকরা (কট্টর হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠী) এই মসজিদ আক্রমণ করে এবং গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যা পুরো দেশজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিস্ফোরণ ঘটায়। কট্টর হিন্দুদের দাবি মোগল সেনাপতি মীর বাকি পূর্বে অবস্থিত রামমন্দির ধ্বংস করে তার ওপর মসজিদ নির্মাণ করেছে। সেখানে আদৌ রামমন্দির ছিল কিনা তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্নমত আছে। কিন্তু ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী কোনো জবরদখলকৃত বা বিতর্কিত ভূমিতে মসজিদ নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে মসজিদটি নির্মাণের জন্য সেনাপতি মীর বাকি বাবর সরকারের পক্ষ থেকে ঐ জায়গা কিনে নিয়েছিলেন, কারো মতে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের সরকারি খাস জমিতে। যাইহোক, ১৯ শতকের শুরু থেকে এ বিতর্কের জের ধরে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একাধিক কলহের ঘটনা ঘটে এবং পাল্টাপাল্টি আদালতে মামলা দায়ের চলতে থাকে। ১৯৪৯ সালে হিন্দু সক্রিয়তাবাদীরা হিন্দু মহাসভার সাথে জোট বেধে গোপনে রামের একটি বিগ্রহ মসজিদের অভ্যন্তরে রেখে দেয়। এরপরই সরকার দাঙ্গা ঠেকানোর অভিপ্রায়ে পুরো মসজিদকে সিলগালা করে দেয়। হিন্দু-মুসলিম উভয়ই সে স্থানে প্রবেশাধিকার পেতে আদালতে মামলা করে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা ধর্মান্ধ নেতা এল কে আদভানীর নেতৃত্বে প্রাচীনতম এই মসজিদটি গুড়িয়ে দেয়। যার ফলে পুরো ভারত জুড়েই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গায় প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার শুনানি করে। ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে ৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ২.৭৭ একরের সে জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য কোনো ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতে হবে। আদালত সরকারকে এটাও নির্দেশ দেয় যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একরের একটি জায়গা দিতে হবে। ভারতীয় আদালতের এই রায় স্পষ্টতইঃ পক্ষপাতমূলক। কারণ (১) রামের অস্তিত্ব আদৌ পৃথিবীতে ছিল কিনা বা রাম নামে কোনো অবতার পৃথিবীতে জন্মেছিল নাকি সমগ্র কাহিনীই একটা পৌরাণিক মিথ তার কোনো নৃতাত্ত্বিক বা ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। (২) ঐ স্থানটিতে রাজপ্রাসাদ বা লর্ড রামা আদৌ জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিনা তারও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই। কিন্ত মসজিদ নামে একটি স্হাপনা যে ওখানে দাঁড়িয়েছিল তা মানবচোখে দৃশ্যমান ছিল। তার প্রামাণ্যচিত্র, দলিল সবই আছে।
ভারতীয় আদালত এ সমস্ত দৃশ্যমান এবং ঐতিহাসিক বাস্তব বিষয়কে বিবেচনায় না নিয়ে কাল্পনিক মিথের পক্ষে একতরফা রায় ঘোষণা করে। মসজিদটি বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি নিদর্শন ছিল। আদালত এই স্হাপনাকে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্হান হিসাবে মসজিদ-মন্দির কোনোটা না করে স্হাপনাটিকে "মিউজিয়াম" হিসেবে রায় যদি দিত তাহলে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতো এবং কোনো সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত লাগত না। তাহলে ভগবান "রামা"র প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন হতো এবং একটি ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি রক্ষা পেত। "রাম"তো শান্তি, ভালবাসা, সুন্দর, সভ্যতা ও সৌহার্দ্যের প্রতীক। হিংসা, ধ্বংস, অশান্তি, অসভ্যতা, বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিক নয়। এখন যদি সে জায়গায় হীরা জহরত, স্বর্ণ দিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর মন্দিরও নির্মাণ হয়, তাহলে মানুষ, পর্যটকরা সেটাকে দেখবে হিংসা, মৃত্যু, অসভ্যতা, বর্বরতা এবং ধ্বংসের প্রতীক হিসাবে। তাই ভারতীয় কর সেবকরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে মূলতঃ লর্ড রামাকেই অবমাননা করেছে, ছোট করেছে।
বামিয়ান (আফগানিস্তান), বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি:
বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০০১ সালের মার্চ মাসে বর্বর তালিবানদের হাতে ধ্বংস হবার আগে পর্যন্ত ষষ্ঠ শতাব্দীতে তৈরি প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো এই ঐতিহাসিক মূর্তি দুটি মধ্য আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ মিটার বা ৮২০০ ফিট উচ্চতায় একটি পর্বতগাত্রে খোদাই করা অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল। বড় মূর্তিটির উচ্চতা ছিল ৫৫ মিটার আর ছোটটির উচ্চতা ছিল ৩৫ মিটার। এছাড়াও ঐ অঞ্চলের পর্বতগাত্রে আরও অনেক অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট বুদ্ধমূর্তিও খোদাই দেখতে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকদের মতে খ্রিস্টিয় ৩য় থেকে ১০ম শতক পর্যন্ত এই অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত যে বিশেষ ধরনের শিল্পকলা বিকাশ লাভ করেছিল, এগুলি সেই গান্ধার সভ্যতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। ইউনেস্কো এই মূর্তিগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বর্বর তালিবান নেতা মোল্লা মুহম্মদ ওমরের নির্দেশে ২০০১ সালের মার্চ মাসে বড় মূর্তি দুটিকে পাহাড়ের গায়ে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা দেয়। অথচ, আফগানিস্তানে ইসলাম চর্চা শুরু হয় সপ্তম শতাব্দী থেকে দশম শতাব্দী পর্যন্ত আরব ইসলামী বিজয় লাভের পর এবং উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এর রূপান্তর ঘটে। সেই থেকে শত শত বছর কোনো মুসলিম শাসক দেড় হাজার বছরের পুরনো এই বৌদ্ধ মূর্তির ওপর একটা আঁচড় পর্যন্ত কাটেনি। বরং ইতিহাস এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যেগে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং এর থেকে মিশরের পিরামিডের মত পর্যটন ক্ষেত্রে আফগান সরকার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করত।
ইস্তানবুলের হায়া সোফিয়া:
সাম্প্রতিক বিশ্বে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ও আইনের হাত দিয়ে অবিকল ভারতের মত অসভ্য ধর্মান্ধতার বলি ইস্তানবুলের ঐতিহাসিক হায়া সোফিয়া। হায়া সোফিয়া মধ্যযুগের রোমান সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুলতান মাহমুদ ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল (ইস্তানবুল) বিজয়ের পর স্থাপনাটি মসজিদে রূপান্তর করেন। ১৪৫৩ সালের ১ জুনে মসজিদে রূপান্তরিত হায়া সোফিয়ায় প্রথমবারের মত জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ইমামতি করেন সুলতান মুহাম্মদ ফতেহ-এর শিক্ষক শায়খ আক শামসুদ্দিন। শুরুতে এটি স্থাপন করা হয়েছিল মূলত অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে। এই স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে স্থাপনের পর থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এরপর এটিকে ক্যাথলিক গির্জায় রুপান্তর করা হয় ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে, যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। তারপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যার মেয়াদকাল ১২৬১-১৪৫৩ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এরপর পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সুলতান মুহাম্মদ ফতেহ ঐতিহাসিক কনস্টান্টিনোপল (ইস্তানবুল) জয়ের মাধ্যমে তুরস্ক মুসলিম সাম্রাজ্যের অধিকৃত হয়। ফলে এই স্হাপনাকে মসজিদে রুপান্তর করা হয় যার নতুন নামকরণ হয় "ইম্পেরিয়াল মসজিদ", যা প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে তুরস্কের প্রধান মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ, যা "ব্লু মসজিদ" নামে পরিচিত। যা স্থাপিত হয় ১৬১৬ সালে। কিন্তু এই মসজিদ স্থাপনের পূর্বে "ইম্পেরিয়াল মসজিদ"-ই ছিল তুরস্কের প্রধান মসজিদ।
এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি তুরস্কের জাতির জনক মোস্তফা কামাল পাশা আতাতুর্ক ধর্মীয় সংঘাত এড়াতে এই ঐতিহাসিক স্হাপনাকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন এবং সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষদের জন্য এটা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে আমি নিজেও এই ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্হাপনাটি পরিদর্শন করেছি। ভারতীয় বাবরি মসজিদ রায়ের মতো এ বছর (২০২০) তুরস্কের আদালতের রায়ের পর এটিকে পুনরায় মসজিদে রুপান্তরের কার্যক্রম গ্ৰহণ করা হয়েছে। মসজিদে রূপান্তরের পর এর দেয়ালে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেকগুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। ছবিগুলো প্রায় ৫০০ বছরের জন্য সিমেন্টের নিচে চাপা পড়েছিল। কিন্তু এই স্থাপনাটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের পর ছবিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অঙ্কিত "আল্লাহ ও মোহাম্মদ" এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। তাই এই নামগুলোর পাথর অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকে। এরপর থেকে এই স্থাপনায় নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। প্রধান নিয়মটি হল, "এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটি মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই স্থাপনার উভয় ধর্মের জন্য আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ এই কমপ্লেক্সটিতে একটি মসজিদ ও একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। যা শুধু জাদুঘরের কর্মচারী কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত।"
আদালতের রায়ের ২৭ বছর আগে যেমন ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় হিন্দু মৌলবাদী নেতা এল কে আদভানীর নেতৃত্বে সংঘ পরিবার এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা বাবরি মসজিদকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে এই বছরের ১০ জুলাই ২০২০ সালের রোজ শুক্রবার তুরস্কের শীর্ষ আদালত এটাকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের রায় ঘোষণা করার আগে ৩১ মার্চ ২০১৮ সালের, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোয়ান কোরান তিলাওয়াত করে সুলতান মুহাম্মদ ফতেহসহ "হায়া সোফিয়া"র জন্য কাজ করা সকলের রুহের মাগফেরাতে মোনাজাত করে মসজিদ উদ্বোধন করেন। আদলতের রায়ের পর মসজিদে আজান দেওয়া হয়েছে যা প্রায় ৮৬ বছর পর। এখানে পার্থক্য এল কে আদভানী ও হিন্দু মহাসভা বা সংঘ পরিবারের কর সেবকরা আদালতের রায়ের আগেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল বা আফগানিস্তানের বর্বর তালেবানরা তাদের নেতা কানা মোল্লা ওমরের নির্দেশে কোনো প্রকার আইন আদালত ছাড়াই জাতিসংঘ ও বিশ্ব জনমতের আবেদন, অনুরোধ উপেক্ষা করে ১৫০০ বছরের পুরনো এই বৌদ্ধ ভাস্কর্য ধ্বংস করেছিল। এখানে আদভানী ও মোল্লা ওমরের, তালেবান ও সংঘ পরিবারের চারিত্রিক ও আদর্শগত মিল দেখা যায়। কিন্তু তুর্কী মুসলিমরা ও এরদোয়ান সেইরকম অসভ্যতা ও বর্বরতা দেখায়নি। বিশ্ব ঐতিহ্যের এই স্হাপনা "হায়া সোফিয়া"কে হিংসার আগুনে ধ্বংস করেনি। মসজিদে রুপান্তর করেছে মাত্র।