Published : 30 Jun 2015, 05:11 PM
এক ঐতিহাসিক রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সেখানকার সকল স্টেটে সমলৈঙ্গিক বিবাহেচ্ছুদের বিয়ের অধিকার মেনে নিয়েছেন। ২০০৪ সালে ম্যাসাচুয়েটস স্টেটে প্রথম সমলৈঙ্গিক বিবাহ স্বীকৃতি পাবার পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত আরও সাঁইত্রিশটি স্টেট নিজেদের আইনের মাধ্যমে এর স্বীকৃতি দিয়েছে। এই রায়ের পর সকল স্টেটের জন্য সমলৈঙ্গিক বিবাহ মেনে নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াল।
ঘটনাটি কীভাবে ঘটল অথবা আমাদের দেশে এর কোনো প্রভাব আছে কিনা, সে আলোচনা এখানে মূল উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হল, এই ঘটনার পর আমাদের দেশে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে যেসব বাদানুবাদ দেখা যাচ্ছে তার বিশ্লেষণ। এসব বাদানুবাদে তথ্য নয়, আবেগের উপস্থিতি প্রবল। তাই এখানে নৈর্ব্যক্তিকভাবে সেগুলো উপস্থাপনের চেষ্টা করা হবে যেন পাঠক আবেগনির্ভর নয়, তথ্যনির্ভর হয়ে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে পারেন।
আমেরিকায় সমলৈঙ্গিক বিবাহের স্বীকৃতি দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়ায়, ধাপে ধাপে অর্জিত হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে দেশটি এখনও পৃথিবীর বৃহত্তম আধারই শুধু নয়, তাদের অর্জন ও চর্চার ক্ষেত্র এতটাই বিশাল যে, অন্য কারও পক্ষে তাদের সমকক্ষতা অর্জনের সম্ভাবনা সুদূর ভবিষ্যতেও দেখা যাচ্ছে না। এ জন্যই তাদের জ্ঞানভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত যে কোনো যুক্তিতর্ক অন্যদের জন্য মেনে নেওয়া এক ধরনের বাধ্যবাধকতা হয়ে যায়। আবার সেটি না পারলে এর বিপক্ষে দাঁড়ানোর জন্যও ঢাল-তলোয়ার নিয়ে হাজির হতে হয়।
যৌন-পরিচয় (সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন) কী? এটা কি জন্মগত নাকি অর্জিত? দীর্ঘ বিতর্ক ও গবেষণার পর প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জৈবিকভাবে একজন নারী বা পুরুষ যা-ই হোন না কেন, তার সম বা বিপরীত যৌন-পরিচয়টি মূলত জন্মগত। 'প্রায়' বললাম এ জন্য যে, বিষয়টি পুরোপুরি এখনও নিশ্চিত নয়; যতটুকু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তা এই যুক্তি এতটাই সমর্থন করে যে, একে মিথ্যা প্রমাণ করতে হলে যে পরিমাণ বিপরীত তথ্য দরকার, সেটা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
প্রথমে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা চলুক। পরে কেন তা অপ্রমাণ 'প্রায়' অসম্ভব, সেটা নিয়ে আলোকপাত করা যাবে।
এক সময় সমলৈঙ্গিক যৌন-পরিচয়টি অর্জিত বলেই মনে করতেন সবাই। তাই এটাও মনে করা হত যে, চিকিৎসার মাধ্যমে এর পরিবর্তন সম্ভব। ১৯৭৩ সালে বিভিন্ন গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমেরিকান সাইকোলজিকাল এসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, সমলৈঙ্গিক যৌন-পরিচয় অস্বাভাবিকতা নয়। এটি চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তনযোগ্য বৈশিষ্ট্যও নয়।
প্রশ্ন হল, এই সিদ্ধান্তে তারা উপনীত হলেন কীভাবে? এমপিরিকাল স্টাডি করেই এটা বুঝতে পারা গিয়েছিল যে, সমলৈঙ্গিক যৌন-পরিচয় এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা ঐ পরিচয়ের ব্যক্তিরা পরিবেশগত প্রভাব ছাড়াই অর্জন করেছেন। সেটা কী রকম?
যৌন-পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা জাগার বয়সটিতে পৌঁছানোর পর প্রাকৃতিক নিয়মে যেখানে প্রত্যেক শিশুরই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহ জাগার কথা, দেখা গেল, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে প্রতি হাজারে ১৭ থেকে ১৮ জনের সে রকম আগ্রহ জাগছে না। এরা কিন্তু অন্য সব দিক দিয়ে স্বাভাবিক। প্রথম অবস্থায় এরা নিজেরাও তা নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়ে। এক সময় এদের বেশিরভাগই আবিস্কার করে যে, অন্যদের মতো বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকর্ষণ বোধ না করলেও, সমলিঙ্গের সঙ্গে তারা স্বচ্ছন্দ।
তবে ঐ সমলৈঙ্গিকদের মধ্যে যারা তাদের মতো নয় (অর্থাৎ সম নয় বরং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহী), তাদের প্রতি ঐ স্বাচ্ছন্দ্য টিকে থাকলেও আকর্ষণ দ্রুতই কমে আসে। পরে তারা কেবলই তাদের মতো সমলিঙ্গে আকর্ষণ বোধকারীদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। বিপরীত-লিঙ্গীয় এবং সমলিঙ্গীয়দের মধ্যে যারা বিপরীতকামী তারা আর তাদের আকর্ষণের উৎস থাকে না।
এরপর 'আচরণ-বদলের' পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও দেখা গেল যে, সমলিঙ্গীয় সমআচরণে অভ্যস্তদের প্রতি তাদের আকর্ষণ কমার লক্ষণ দেখা গেল না। এ থেকে বিজ্ঞানীদের জন্য এই আচরণটি অর্জিত নয় বরং জন্মগত স্বাভাবিক ও অপরিবর্তনীয় বলে মেনে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকল না।
এমপিরিকাল স্টাডির পর বিজ্ঞানীরা এই বিরল কিন্তু ভিন্ন আচরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে সায়েন্টিফিক স্টাডি শুরু করেন। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত জিনেটিক গবেষণায় এ জাতীয় পুরুষ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একাধিক কমন জিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এখন সুনির্দিষ্টভাবে জানার চেষ্টা চলছে সেই কমন জিনগুলিই ঐ ভিন্নতর পছন্দের কারণ কিনা।
এটাও ঠিক যে, জন্মগতভাবে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকা কাউকে কাউকে পরিবেশগত প্রভাবে বিপরীত-লিঙ্গীয় সঙ্গীর সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেখা যায়। সবাই যে এটা পারবেন, এ রকম নিশ্চয়তাও নেই। সেটা যারা পারেন তাদেরকেও প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এ তো গেল যৌন-পরিচয়ে পরিবেশগত প্রভাবের স্বপক্ষে কিছু যুক্তি। বিপক্ষের যুক্তিও কম নয়। উন্নত বিশ্বের সমকামী দম্পতিদের বড় অংশ এখন বিভিন্নভাবে সন্তান নিয়ে প্রতিপালন করছেন। এদের আশি ভাগই আবার তাদের কোনো একজনের জৈবিক সন্তান। এই সন্তানেরা জন্মের পর থেকে সমকামী পরিবেশে বড় হবার পরও তাদের মধ্যে সমকামী হবার হার গতানুগতিক দম্পতির কাছে বেড়ে ওঠা সন্তানদের চেয়ে তেমন বেশি নয়।
এ থেকে সহজেই এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, জন্মগতভাবে সমকামী বৈশিষ্ট্য না থাকলে কারও পক্ষে কেবলমাত্র পরিবেশের কারণে সমকামী হয়ে ওঠা বা তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে জন্মগতভাবে সমকামী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী কেউ কেউ পরিবেশের কারণে প্রচলিত জীবনযাপন করতে সক্ষম হতে পারেন, আবার নাও হতে পারেন। কিন্তু তার সমলৈঙ্গিক আকর্ষণের যে ভিন্নতা তা যে দূর হবে, সেটা নয়।
কী ছিল মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের বিচার্য বিষয়? সে দেশের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী যে কোনো ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো রকমের বৈষম্যপূর্ণ আচরণ নিষিদ্ধ।
সমকামীরা 'ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের স্বাভাবিক মানুষ' হিসেবে বিজ্ঞানসম্মত স্বীকৃতি পাবার পরও পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে বিবাহের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার বলে নিজেদের দাবি করে আদালতে এর প্রতিকার চান। তাদের বক্তব্য হল, জন্মগতভাবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করা ব্যক্তিগণ যদি পছন্দের মানুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক নামক একটি দায়িত্বপূর্ণ ও দায়বদ্ধ আইনগত সম্পর্ক স্থাপন করার অধিকার রাখেন, তারা তা রাখতে পারবেন না কেন? রাষ্ট্র তাতে বাধা দিলে সেটি বৈষম্যপূর্ণ আচরণ বলে গণ্য হবে না কেন?
আবার আদালতে তাদের দাবির বিরোধিতাকারীদের যুক্তি ছিল, বিবাহের প্রচলিত সংজ্ঞানুযায়ী এটি বিপরীত লিঙ্গের দুজন মানুষের জন্য প্রযোজ্য ব্যবস্থা। সমলিঙ্গের দুজনকে এ ব্যবস্থার সুবিধা দেওয়া হাজার বছরের অনুশীলনের কারণে সম্ভব নয়। এ সময় আদালতে বিচার্য হয় বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি দম্পতিদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে সেটি এবং তা থেকে সমকামীদের বিরত রাখা কতটা যৌক্তিক। দুপক্ষে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, তার প্রমাণ রায়ের ফলাফলই বলে দেয়।
নয় জন বিচারক নানা পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে ৫-৪ বিভক্ত রায়ে সমকামীদের জন্য বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে আদেশ দেন। আর এ জন্য প্রয়োজনে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পক্ষেও মত দেন তাঁরা।
অনেকেই ভাবছেন যে, এই রায় সমকামের স্বীকৃতি। মোটেও তা নয়। কারণ সমলিঙ্গীয়দের প্রতি আকর্ষণ বোধকারীদের জন্য সমকাম অনেক আগে থেকেই আমেরিকাসহ অনেক দেশে স্বীকৃত বিষয়। এ রায় কেবল ঐ বৈশিষ্ট্যধারীদের বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্য সুবিধা গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা থেকে রক্ষার উপায়। এর প্রতি সমর্থন তাই সমকাম সমর্থন নয়। বরং এটা অতিক্ষুদ্র একটা জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের উদ্যোগে সহমর্মিতা প্রকাশ।
অনেকের ধারণা, এ রায়ের কারণে অনেকে সমকামিতায় উৎসাহিত হবেন। এটাও ঠিক নয়। একজন মানুষ সমলিঙ্গীয় নাকি বিপরীত-লিঙ্গীয়ের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবেন, সেটা প্রকৃতি-নির্ধারিত। যে পুরুষ নারীদের দেখে আকর্ষণ বোধ করে, এই রায় শোনার পর তার পক্ষে হঠাৎ যাবতীয় পুরুষ-দর্শনে আকর্ষণ বোধ অসম্ভব। তবে হ্যাঁ, ঐ ভিন্ন বৈশিষ্ট্যধারীদের যারা সামাজিক ট্যাবুর কারণে জোর করে তা লুকিয়ে রেখেছেন তারা এখন প্রকাশ্য হবেন।
এই রায়ে সমর্থন জানানোর সঙ্গে সমকামকে উৎসাহিত করার সম্পর্ক নেই, বরং প্রকৃত যৌন-পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষই যেন সম্মানজনক ও নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারে সেই আশ্বাস রয়েছে এখানে।
আগে সামাজিক ট্যাবুর কারণে প্রকৃত যৌন-পরিচয় লুকিয়ে রাখা ব্যক্তিদের জন্য দুটি উপায় খোলা থাকত। হয় তিনি 'সৎ' থাকতে গিয়ে সারাজীবন সঙ্গীবিহীন অমানবিক জীবন যাপন করতেন; নয়তো 'অসৎ' হয়ে নিজের যৌন-পরিচয় লুকিয়ে একজন স্ট্রেইটকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়ে সারাজীবন তার সঙ্গে অভিনয় ও অবিচার করে যেতেন। এর কোনোটাই কি আসলে যা তার নিয়ন্ত্রণাধীন নয় তেমন একটা কারণে তার প্রতি সুবিচার বলে মনে হচ্ছে? এই রায়ে সমর্থন তাই সুবিচারের পক্ষে দাঁড়ানো– লুকোচুরি করে কাউকে বঞ্চিত করার বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ।
কেউ কেউ আবার রায়ের পক্ষাবলম্বনকারীদের প্রশ্ন করেছেন: আপনার সন্তান সমকামী হলে কী করবেন? উত্তরটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন। কারণ সমকামী আমার আপনার যারই সন্তান হোক না কেন, তার ঐ পরিচয় তার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। সে ক্ষেত্রে বাস্তবতা মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
একজন জানতে চাইলেন, সমকাম যদি জন্মগত হয়, তাহলে তো তা অটিজম, স্লো-সিনড্রোমের মতো কিছু একটা। এ সব ক্ষেত্রে যা করা হয় (অর্থাৎ চিকিৎসা, বিশেষ যত্ন ইত্যাদি), তাই করলেই তো হল। সমস্যা হল, সমকামীরা ওই সব 'অসুস্থতায় আক্রান্তদের' মতো নয় যে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া লাগবে। তাছাড়া চিকিৎসায় যে কাজ হবে না, সে কথাও বলা হয়েছে আগে।
আবার এভাবে ভাবুন তো, অটিস্টিক বা স্লো-সিনড্রোমের একজন মানুষ যদি তার মতো কোনো সঙ্গীর সঙ্গে জীবন ভাগাভাগি করতে চান, আপনি কি তাকে বাধা দেবেন? নাকি উৎসাহিত করবেন? তাহলে একজন সমকামী যদি তার মতো কারও সঙ্গে জীবন ভাগাভাগি করতে চায়, তাকে বাধা দেবেন কোন যুক্তিতে?
একজন উদার ব্যক্তি বললেন, সমকামীদের নিয়ে ততক্ষণ তার মাথাব্যথা নেই যতক্ষণ না তারা তার সঙ্গীর দিকে হাত না বাড়ান। সমকামীরা কেবল আরেক সমকামীর দিকেই হাত বাড়াতে পারে, স্ট্রেইটের দিকে নয়। কারও বিপরীত-লিঙ্গীয় সঙ্গীর দিকে কোনো সমকামী যদি হাত বাড়ান, বুঝতে হবে যে, ঐ সঙ্গী এতদিন প্রকৃত যৌন-পরিচয় গোপন রেখে অভিনয় করে গেছেন। কিন্তু আরেক সমকামীর আকর্ষণের কাছে তার সেই অভিনয় টিকিয়ে রাখতে পারেননি। অভিনয় করে যাওয়া একজনের সঙ্গে মিথ্যা সম্পর্কের মধ্যে বাকি জীবন কাটানো কি ঠিক? নাকি তার মতো ও তার প্রকৃত পছন্দের মানুষের কাছে তাকে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়তর?
অজ্ঞতা বা প্রিজুডিসের কারণে অনেকেই একটি জীবনযাত্রা নয়, বরং একটি বিকৃত যৌনতা হিসেবে সমকামিতাকে দেখেন। এই ভুলের কারণে সমকামিতাকে তারা শিশু-যৌনতা, পশু-যৌনতার মতো বিকৃত যৌনতার সঙ্গে তুলনা করে বসেন। সমকামীদের প্রতি অজ্ঞতা বা অন্য কোনো কারণে ঘৃণাভাব পোষণ করার বেশ কিতাবি একটা নাম আছে। একে বলে, 'হোমোফোবিয়া'। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যারা মার্কিন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধাচারণ করছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই হোমোফোবিয়া যে কাজ করছে এটা সহজেই বোঝা যায়।
তাদের প্রতি অনুরোধ, এটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। তাতে আপনার জীবন সহজ হয়ে যাবে।