Published : 16 Apr 2011, 08:50 PM
এখন থেকে ষাট দিনেরও কম সময়ের মাঝে অর্থমন্ত্রী জনাব এ এমএ মুহিত সাহেবের হাতে এই সরকারের তৃতীয় বাজেট(২০১১-১২ অর্থ বছরের) সংসদে পেশ হবে। নিয়ম মাফিক বাজেট প্রস্তুত করার কাজ এখন চলার কথা। অনেক ক্ষেত্রেই বাজেটের রূপরেখা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাজেটের আকার এবং উন্নয়ন বাজেট সংক্রান্ত খবরাখবরও আমরা পত্রিকার পাতায় দেখেছি। শোনা যাচ্ছে, এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট। একই সাথে এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন বাজেট। এটি হবারই কথা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাগণ বেসরকারি খাতের সাথে এরই মাঝে এক দফা কথাবার্তা বলা শেষ করেছেন। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পক্ষ থেকেও রাজস্ব বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। কথা আছে, এনবিআরের সাথে আমাদের আরও একদফা আলোচনা হবে। আমরা এই খাতের তিন সমিতি এখন একত্রিত করছি কেমন করে আমাদের কথাগুলো গুছিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে তুলে ধরা যায় সেই ব্যবস্থা করতে। যদিও রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথেই আমাদের সাথে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতে চেয়েছেন, তবু অতীতের ভয় এখনও অন্তত আমার কাটেনি। তবুও আশা করবো সেই বৈঠকে আমরা এমন কিছু সমাধান পাবো যা এর আগে আমরা পাইনি। একই সাথে আমাদের ইচ্ছা আছে অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলার। ঠিক জানিনা, অর্থমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে সময় দিতে পারবেন কিনা। সেটি না হবার সম্ভাবনাই বেশি। যদি সুযোগ হয় তবে আমরা তার কাছেও আমাদের কিছু কথা বলতে পারতাম। এখন আমরা এটি বুঝি যে, বাজেট বরাদ্দ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কথা বলে কোন লাভ নেই। অন্যদিকে কর, শুল্ক এবং ভ্যাট কার্যত অর্থমন্ত্রী নয়, এনবিআরই নির্ধারণ করে। ফলে আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, দুটি বিষয় দুই ধারায় দুইভাবে উপস্থাপন করাই শ্রেয়।
বাজেট নিয়ে এর আগেও আমরা অনেক কথা বলেছি। আরও অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। এবারও হয়তো অনেক লোক আরও বেশি কথা বলবেন। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকেই বলা হয়েছে এমন অনেক কথাই আমরা সরকারকে শোনাতে পারিনি। এমনকি এটিও আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সাথে বাজেটের অনেক ক্ষেত্রেই তেমন কোন মিল নেই। ২০০৯ সাল থেকেই এসব কথা কিছু না কিছু করে আমরা এবং অন্যান্য বিজ্ঞজনেরা বলে আসছি। আমার মনে আছে, ২০০৯ সালে বাজেটোত্তর একটি কর্মশালায় বিশিষ্ট কয়েকজন কিছু কথা বলেছিলেন।
২০০৯ সালের ২৬ জুন ঢাকার সোনারগাও হোটেলে ধানসিড়ি কমিউনিকেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে, যাতে মুহিত সাহেব নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এতে আরও অনেকের সাথে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন। ডঃ দেবপ্রিয়র মতে, ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি অগ্রাধিকার হলো ডিজিটাল সরকার, ডিজিটাল ব্যবসা, ডিজিটাল শিক্ষা এবং ডিজিটাল নাগরিক। তিনি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেন যে, পুঁজির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ডিজিটাল পদ্ধতির দরকার। তিনি এটি বলেন যে, বাস্তবে বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগেই আছে। তিনি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, গ্রামের একটি মহিলাকে যখন আমি মোবাইলে কথা বলতে দেখি তখন আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখি। ডঃ দেবপ্রিয়র সেই দেখাটার প্রতিফলন বিগত দুই বছরে আমাদের বাজেটে কতোটা হয়েছে সেটি কিন্তু প্রশ্ন তোলার মতো বিষয়। কারণ যেভাবেই হোক ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার অগ্রাধিকারগুলো যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
সেই সেমিনারেই অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ডঃ কাজী খালিকুজ্জামান, যিনি শিক্ষা কমিটির কো চেয়ারম্যান, তিনি বলেন যে, ৪৯ ভাগ শিক্ষার হারকে শতকরা একশো ভাগে নিয়ে যাওয়াটা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। তিনি জানান যে, কমিটি অচিরেই প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করবে এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নিয়ে যাবে। তিনি বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। তিনি বলেন নবম-দশম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে কম্পিউটার বাধ্যতামূলক করার জন্য যেমন করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেনা তেমনি প্রাথমিক স্কুলের জন্যও ২০২১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি ডিজিটাল ডিভাইডের প্রতিও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান যে, তার কমিটি প্রতি উপজেলায় ডিজিটাল পাঠাগার গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে। ডঃ খালিকুজ্জহমানের সেই আশাবাদের প্রতিফলন আমরা এখনও দেখতে পাইনি। এখন পর্যন্ত যে দশা চলছে তাতে কোন ডেটলাইন মেনে চলা যাবে বলে মনে হয়না। আমার কাছে মনে হচ্ছে, কম্পিউটার শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের সব কটি ডেটলাইন পার হয়ে যাবে।
সাবেক উপদেষ্টা ডঃ আকবর আলী খান ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প তুলে ধরার জন্য আমাকে (আমি সেই সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প তুলে ধরি) ধন্যবাদ জানান এবং ডিজিটাল ডিভাইড বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। ডঃ আকবর আলী খান একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিপক্ষ সরকারের ভেতরেই আছে। তিনি ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমলাদের অনীহা ও প্রতিরোধের কথা বলেন। তিনি কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণকে বেসরকারী খাতের হাতে ছেড়ে দেবার অনুরোধ করেন। একইসাথে তিনি এসবের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করারও অনুরোধ করেন। গত দুই বছরে আমরা দেখেছি যে, সরকারের ভেতরে ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রতিহত করারর মতো মানসিকতাও রয়েছে। সরকার ডিজিটাল ডিভাইড দূর করার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী কপিরাইট আইন বলবৎ করার আহ্বান জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় পাঠ্যপুস্তকের সফটওয়্যার তৈরি করার উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মীর্জা আজিজুল ইসলাম ডিজিটাল ডিভাইড নিয়ে তার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন। এসব আলোচনার পর অর্থমন্ত্রী জানান যে, তিনি এসব বিষয়ে মনযোগ দিয়েছেন এবং যেখানে সংশোধন দরকার সেখানে সংশোধন করবেন। তিনি বলেন যে, বাজেট বরাদ্দ বড় কথা নয়, এখন বাজেট বাস্তবায়ন করা বড় বিষয় হয়ে উঠেছে। অর্থমন্ত্রী এরপর আরও একটি বাজেট পেশ করেন। কিন্তু অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন হযনি। যে কথাগুলো সেদিন আলোচনা করা হয়েছিলো সেই কথাগুলো একইভাবে এখনও উচ্চারণ করা যায়। অথচ দুই বছরে কিছু না কিছু অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিলো।
আমি যখন ২০১১-১২ সালের বজেটে নিয়ে কথা বলছি তখন কেন জানি বিশেষজ্ঞদের সেইসব কথা একেবারে হুবহু মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে এবারও বাজেটের আগেই সেই কথাগুলো মাননীয় অর্থমন্ত্রীর গোচরে আনা প্রয়োজন। এর সবচেয়ে প্রধান কারণ হলো যে, বিগত দুটি বাজেটের পরও বিশেষজ্ঞরা যেসব কথা বলেছেন তার মেয়াদ রয়ে গেছে। এমনকি বিগত সরকারের আমল থেকে বিরাজ করছে এমন কিছু সমস্যার যার কোন সমাধান এখনও হয়নি। এবার বাজেট পেশের আগেই আমি বিষয়গুলোর প্রতি অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো হলো: ক) বাংলা ভাষার উন্নয়ন গবেষণা ও ডিজিটাল যন্ত্রে প্রয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট কাজ করার ক্ষেত্রে প্রমিতকরণের বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়েছে এবং এটি এখন গোছানো অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য মাত্র কোটি দশেক টাকার দরকার-সেই টাকা গত বছরও পাওয়া যায়নি। এবার নতুন বাজেটে বাংলা ভাষার প্রতি যদি সামান্যতম কমিটমেন্ট রাখা হয় তবে আর কেউ না হোক শহীদের আত্মারা শান্তি পাবে। বাংলা ভাষার নামে প্রতিষ্ঠিত এই দেশে সরকার ভাষার জন্য কিছুই করেনা- এই অপবাদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বললেও সরকারের নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে ডিজিটাল করা এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও অর্থবরাদ্দ এখনও করা হচ্ছেনা। এমনকি কী করা হবে তার পরিকল্পনাও এখন পর্যন্ত সরকারের নেই।
সরকারের একটি প্রধানতম দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে পিপিপিতে কাজ করা। পিপিপিতে সড়ক বানিয়ে, উড়াল পথ বা সেতু বানিয়ে সেই সেতুর ওপর চলমান যানবাহন থেকে টোল আদায় করে পিপিপি সফল হতে পারে। ভূমির পরচা বা ম্যাপ ইস্যু করার জন্য পিপিপি কাজ করতে পারে। কিন্তু ভূমির জরীপ করার জন্য পিপিপি মডেল কাজ করবে বলে মনে হয়না। এজন্য এরই মাঝে ভূমি ব্যবস্থার ডিজিটাইজেশনের কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। আমাদের মনে রাখা দরকার, যেসব ক্ষেত্রে সেবার বিষয় আছে সেইসব ক্ষেত্রে জনগণের কাছ থেকে সেবার চার্জ নিয়ে পিপিপি করা যেতে পারে-কিন্তু বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্যতো পিপিপি কাজ করবেনা। এজন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকতে হবে। এছাড়াও সরকারকে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজগুলো নিজেদের করতে হবে (যেমন জনতা টাওযার বা হাইটেক পার্কের অবকাঠামো) এবং এরপর যতোটা পিপিপিতে করা যায় সেটি পিপিপিতে করতে হবে।
আমি লক্ষ্য করেছি যে, সরকার এখন পর্যন্ত আইসিটি মন্ত্রণালয়কে কাজ ও অর্থের দিক থেকে একটি শক্তিশালী মন্ত্রণালয়েই পরিণত করতে পারেনি। এই খাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আছে এমনটাই চোখে পড়েনা। স্কুলে কম্পিউটার দেয়া বা ই সেন্টার তৈরি করার জন্য কম্পিউটার কেনার মতো ছোট কাজ করার দিন দুই বছরে শেষ হয়ে গেছে। এখন সরকারের উচিত বড় কাজে হাত দেয়া। এবার সরকারের একটি বড় কাজ হতে পারে, সরকারকে এখন সচিবালয় থেকে কাগজ বিদায় করতে হবে। এবারের বাজেটে সেজন্য যদি বরাদ্দ না থাকে তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সরকার কবে গড়ে উঠবে সেটি বলা যাবেনা। খ) এবার সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্পসুদে (শতকরা ৫ ভাগ) কম্পিউটার কিনতে পারে তার জন্য কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করার জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে হবে। গ) ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণার সাথে সঙ্গতি রেখে আইন সংস্কারের জন্য আইন সংস্কার কমিশন গঠন করে তাকে কার্যকর করতে হবে এবং এজন্য বরাদ্দ থাকতে হবে। বাজেট অধিবেশনেই অনেকগুলো সংশোধিত আইন পেশ করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। ঘ) ডিজিটাল সরকার গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। সংসদ ডিজিটাল করার পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাল করা, স্থানীয় প্রশাসন ও সচিবালয়সহ সরকারের সকল কাজের ভিত্তি হিসেবে কাগজবিহীন ব্যবস্থা প্রবর্তন ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজে লাগানো, আইনশৃঙ্খলার বিষয়াদির সাথে সাথে বিচারব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও টেলিমেডিসিনের জগতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার ব্যাপারে এখনই নজর দিতে হবে। সচিবালয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ও দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক স্থাপন ছাড়াও সবচেয়ে বড় কাজটি করতে হবে শিক্ষাখাতে। শিক্ষার বিষযবস্তু এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি দুটোতেই ডিজিটাল রূপান্তর করতে হবে। আমি এখনও জানিনা, সরকার যে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়টি করতে চেয়েছিলো সেটির জন্য এবার কোন বরাদ্দ থাকবে কিনা। সরকার দুই বছরে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ পায়নি। এর জন্য সরকারের উদ্যোগ ও বরাদ্দ চাই।
জানিনা, সরকার কেন ব্যান্ডউদথের দাম কমাতে পারেনা বা কেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ করে রেখেছে। একটি গণমুখী সরকার যার উদ্দেশ্য ডিজিটাল বালাদেশ গড়া তার কাছ থেকে এমন গণবিরোধী বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিরোধী কাজ আমরা আশা করিনা। আমরা আশা করি সফটওয়্যার ও সেবার ওপর বর্তমানে যে কর অবকাশ রয়েছে সেটি ৩০ জুন ২০১১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।