Published : 31 Jan 2014, 08:16 PM
বরং দৃষ্টি দেব চাঞ্চল্যকর এ মামলা যে ধারায় অগ্রসর হয়েছে, যেসব ঘটনা ও তথ্য এর সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে বেরিয়ে এসেছে, তার এবং এর রাজনৈতিক তাৎপর্যের দিকে। প্রসঙ্গত বলি, মামলাটির প্রাথমিক রায় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে মন্তব্য করারও প্রয়োজন নেই বোধহয়। এর বিরুদ্ধে তো আপিল করা যাবে।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীরও ফাঁসির রায় হয়েছে। এতে তার দল নাকি স্তম্ভিত। তা হতেই পারে। তবে এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তারা যে আগেকার মতো অরাজকতা করেনি, সেটি লক্ষণীয়। এখন বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযান মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাদের। দলের নেতাকর্মীদের মনোবলেও ফাটল ধরেছে বোধহয়।
বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে রায়ে। তিনি ছিলেন তারেক রহমান নিয়ন্ত্রিত আলোচিত 'হাওয়া ভবনের' ঘনিষ্ঠ লোক। দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের সময় তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ছিল তাঁর হাতে।
এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতেও এমন পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।
হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট।