Published : 26 Sep 2017, 08:19 PM
দ্বিতীয় অংশ
এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয় উনার কলাবাগানের বাসায়, ১৯৮৭ সালের ৫ জুলাই। সে সময় আমার সঙ্গে ছিলেন আমার মা প্রয়াত সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন। প্রথম অংশটি প্রকাশ হয়েছে ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩, মতামত-বিশ্লেষণের এই পাতায়। এটি দ্বিতীয় অংশ।
[প্রথম অংশটির লিংক দেখুন–
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/13989]
আ সা আ: ময়েজউদ্দীন (আহমেদ, এমপি) সাহেব ছিলেন রেডক্রসের সঙ্গে কানেকটেড। আমি রাতেই– আমার যে চ্যানেল ছিল– (গার্ডের মাধ্যমে খবর) পাঠাবার মতো যে চ্যানেল করেছিলাম– সে আসবে কিনা– (কিন্তু) ও এসেছে। আসার পর, রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে আমার ঘুম ভাঙল। রাত দুইটা কি আড়াইটায় ঘুম ভাঙল। (রাত) একটায় ঘুমালেও দুইটা কি আড়াইটায় ঘুম ভাঙত। আমার জানালার সামনে– আমাদের জেলখানার জানালার কাছাকাছি তারা আসত।
শারমিন আহমেদ: কারা?
আবদুস সামাদ আজাদ: ওই ডিউটি যারা করত। আমাদের জেলখানার সামনে একটা বারান্দা ছিল–
শা আ: সে জন্য তারা (ঘরের দরজার সামনে) আসতে পারত না–
আ সা আ: সে জন্য একটা ডাবল লকআপ হয়ে যেত। আমাদের রুমটা লকআপ হত। বারান্দাটাও লকআপ হত (বারান্দার গেইট)। সুতরাং বারান্দার ওই দিক থেকে কথা বলত। কোনো জিনিস পাস করতে অসুবিধা হয়। কোনো একটা চিঠি দিতে হলে ঢিল দিত। কিন্তু বারান্দা থেকে যদি সেটা পড়ে যায়– আমি তো সেটা রিসিভ করতে পারছি না।
শা আ: কারা দিত আপনাকে চিঠিপত্র?
আ সা আ: (অস্পষ্ট) সরকারের লোক– জেলখানার নিয়মেই আমরা (চ্যানেল) করে ফেলি। যারা জেল-টেল খাটি, আমরা খবর-টবর দেবার (অস্পষ্ট) (চ্যানেল তৈরি করেন)।
শা আ: কিন্তু আপনারা (খবর) দিতে পারতেন না বারান্দাটার জন্য?
আ সা আ: রাতে এই অসুবিধা হত।
শা আ: জেলখানার বারান্দার মধ্যে লকআপ ছিল?
আমি যখন (রুমের) বাইরে আসব তখন জেলরের কাছে শুনলাম একটা (জেলহত্যা তদন্ত) কমিশনও হয়েছে জাস্টিস সোবহান, জাস্টিস (মোহম্মদ হোসেন) হোসেনসহ। মনে হয় পরিস্থিতির একটা চেঞ্জ হয়েছে।
[চলবে]
কোস্তারিকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
শারমিন আহমেদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।