Published : 05 Oct 2013, 01:05 AM
সর্বোচ্চ আদালতে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় যখন ঘোষিত হয় তখন আমি দেশের বাইরে। প্রায় প্রত্যেক বছরই এই আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে আমি এবং সানজিদা কানাডার টরন্টোতে আমাদের পুত্র এবং পুত্রবধূর কাছে যাই। পুত্র প্রিয় ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে অর্থনীতিতে পিএইচ-ডি করছে এবং পুত্রবধূ রুমকি দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনে ইনফরমেশন সায়েন্সে পিএইচ-ডি করছে। তবে সে টরন্টোর রায়ার্সন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অ্যাটাচড।
বিশেষ ঘটনার কারণে আমাদের এবারকার টরন্টো গমন অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। কারণটি হচ্ছে ওদের পরিবারে নতুন অতিথির আবির্ভাব। পুত্রসন্তান। ডাকনাম স্বপ্ন, ভালো নাম প্রদীপ্ত প্রতিভাস। অতএব ভেবেছিলাম সময়টা পরিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের উত্তরাধিকারের জন্যেই ব্যয় করব। সঙ্গত কারণেই সব কিছু থেকেই নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিলাম। দেশের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম অনলাইন পত্রপত্রিকা। আর আমার প্রিয় অনলাইনটি হচ্ছে বিডিনিউজ২৪ডটকম।
খবরটা পেলাম সেখানেই। সর্বোচ্চ আদালতে কাদের মোল্লার পূর্ববর্তী শাস্তি যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ফাঁসির হুকুম হয়েছে। সংবাদটি পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা চারজনই আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলাম এবং আমার পুত্র প্রিয় সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ ভোজের আয়োজন করেছিল।
২০১৩-এর ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় যখন ট্রাইব্যুনাল থেকে ঘোষিত হয়, তখন সারা দেশের তরুণ প্রজন্ম এক নতুন বিস্ফোরণের জন্ম দেয়। সে এক অনবদ্য ইতিহাস। শাহবাগের চত্বর রূপান্তরিত হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চে। তরুণ প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ের অবিশ্বাস্য অবিশ্রান্ত আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য একটি নতুন তরুণ শক্তির অভ্যুদয়– যে শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল ধ্যানধারণায় উজ্জীবিত। এই জাগরণ যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছন্দ্য এবং প্রতিবন্ধকতামুক্ত হতে সহায়তা করেছিল।
তরুণ প্রজন্মের এই জাগরণ নিয়ে পরবর্তীতে কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। আমরা যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হবার গৌরব অন্তরে ধারণ করি, কিন্তু এই গৌরব বহনের উত্তরাধিকারের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে একইসঙ্গে বেদনাক্রান্তও হই, তাদের চমকে দিয়ে জেগে উঠেছিল শাহবাগ।
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় এই জাগ্রত তরুণ প্রজন্মের বিজয়– এটা অনুভব করেছি সেই সুদূর টরন্টোতে বসে। আমাদের উচ্ছ্বাস ছিল এই চারজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ঢাকা-আমেরিকা-লন্ডন-অস্ট্রেলিয়া যেখানেই পরিচিত কারো ফোন নম্বর জানা ছিল তাদের সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করে বিজয়ের বার্তা পাঠিয়েছি।
দেশে ফিরে এলাম সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরেকটি চমকপ্রদ উপহার এল অক্টোবরের প্রথম দিনই। একাত্তরে গণহত্যা, সংখ্যালঘু নিধন, নিপীড়ন-অত্যাচার প্রভৃতি অপরাধে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং কুৎসিত জিহ্বার অধিকারী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাণদণ্ডাদেশের রায়।
২.
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস হওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় বিব্রত। প্রচার মাধ্যমের একাংশ বেশ সোচ্চার এবং পুলিশও নাকি তদন্ত করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। যে কম্পিউটারে রায়ের খসড়া লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, সেটাও জব্দ করার সংবাদ পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, রায়ের ড্রাফট তৈরির কাজে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ঘটনাটা যে বেশ চাঞ্চল্যকর এবং কৌতূহলোদ্দীপক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই; ট্রাইব্যুনাল ঘিরে যে বেশ বড় আকারের ষড়যন্ত্র অনেক দিন ধরেই সক্রিয়, তা সন্দেহাতীত। এ ক্ষেত্রে আমার প্রাথমিকভাবে যে ধারণা– তা এভাবে বলা যায়:
ক) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির সাহেব পরিস্কার বলেই দিয়েছেন যে, খসড়া রায় ফাঁসের ঘটনা ট্রাইব্যুনাল থেকেই ঘটেছে, কাজেই এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে লাভ নেই;
খ) ফাঁস হয়েছে একাংশ, চূড়ান্ত রায়ের অংশ নয়। খসড়াটা পর্যবেক্ষণ পর্যায়ের। আমার মনে হয়, খসড়ার ওই অংশটি বা বলা যায় অধিকাংশই ট্রাইব্যুনালের ভেতরে সক্রিয় দুর্বৃত্তচক্র পেনড্রাইভের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে। ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ভূতের জঙ্গল সৃষ্টির ব্যাপারে সাকা চৌধুরীর বিপুল বিত্ত যে ভূমিকা রাখবে, তা স্বাভাবিক। জামায়াত-শিবির চক্র কোটি কোটি টাকা খরচ করছে এই ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্য। কাজেই এই ঘটনাটা যে সামগ্রিক ষড়যন্ত্রের অংশ তা নির্দ্বিধায় বলা যায়;
গ) ট্রাইব্যুনাল যে জিডি করেছে, তাতে বলা হয়েছে– আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রচারিত সমস্ত রায় ট্রাইব্যুনাল থেকেই প্রস্তুত করা হয়। রায় ঘোষণার আগে রায়ের কোনো অংশের কপি অন্য কোনোভাবে প্রকাশের সুযোগ নেই। তারপরও রায়ের কথিত খসড়া-অংশ কীভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশিত হল বা কীভাবে ট্রাইব্যুনাল থেকে খসড়া রায়ের অংশবিশেষ ফাঁস হল, তা উদ্বেগের বিষয়।
রেজিস্ট্রার নাসির সাহেবের মন্তব্য হল, 'রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে তা খসড়া পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকেই ফাঁস হতে পারে।' তাহলে যেটা অনুমিত হতে পারে, তা হল– যে কোনো কিছুর উৎস হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল। ওখান থেকে স্কাইপে হ্যাকিং করা হয়, ওখান থেকেই রায়ের খসড়া-অংশ চুরি হয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
বোঝাই যাচ্ছে, ষড়যন্ত্রটা ট্রাইব্যুনাল-কেন্দ্রিক, কোনো মন্ত্রণালয়-কেন্দ্রিক নয়। অথচ সাকার পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হল যে, আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তৈরি রায় এটি এবং তা ইন্টারনেটেই পাওয়া যাচ্ছে। এতগুলো রায়ের কোনোটাই আগেভাগে পাওয়া গেল না, কিন্তু সাকার রায়ের বেলাতেই এমনটি ঘটল, তা বিস্ময়করই বটে;
ঘ) এ বিষয়ে একটি ছোট্ট কথা বলে রাখি, তারপর এই প্রসঙ্গে ফিরে আসব। বনানীর ১১ নম্বর সড়কে সে সময় ডলসিভিটা নামে একটি আইসক্রিমের দোকান ছিল। এখনও আছে কিনা জানি না। সেখানে একদিন সাকা চৌধুরীকে দেখেছিলাম আইসক্রিম ক্রয় করতে, আমাকে দেখে উচ্চস্বরে আমোদিত কণ্ঠে বললেন, 'আপনি তো জানেন না– আপনাকে আমি বাংলাদেশের ল্যারি কিং মনে করি। আপনি গভীর পানির মাছ।'
তার সঙ্গে দেখা হওয়ার বছর চারেক আগে মতিউর রহমান সম্পাদিত তৎকালীন ভোরের কাগজ পত্রিকার 'টক অব দ্য টাউন' কলামে আমার লেখা একটি তথ্যের কারণে আমার বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন সাকা চৌধুরী। অবশ্য সেই মামলা আর পরে হালে পানি পায়নি।
কিন্তু এবার তার সেই তখনকার মন্তব্যের সূত্র ধরেই বলছি, ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের ব্যাপারে আমার তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ হচ্ছে– সাকা এবং জামায়াতের ক্যাডাররা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে কম্পিউটার লিপিকার অথবা সেখানকার কোনো কোনো কর্মীকে বশীভূত করেছে। সাকার বশীভূত লোকেরা সেই খসড়া রায়ের কপি করে পাচার করেছে এবং পরবর্তীতে সময়মতো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটে;
ঙ) বলা হচ্ছে, সাকার রায় পূর্বনির্ধারিত! সেটা পাওয়া গেছে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি কম্পিউটারে এবং আলম নামে মন্ত্রণালয়েরই এক কম্পিউটার অপারেটরের ফোল্ডারে। কথিত সেই ফাইল আপলোড করা হয়েছে 'জাস্টিসকনসার্নডটওআরজি' ওয়েবসাইটে। তার লিংক হল– justiceconcern.org/?p=245
বিস্ময়কর ব্যাপার হল, এই ফাইলটার প্রোপারটিজে গিয়ে জানা গেছে, ফাইলটি তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালের ২৩ মে রাত ১২টা ১ মিনিটে! (এ থেকে বোঝা যায়, ষড়যন্ত্রটা কবে থেকে শুরু হয়েছে)। দ্বিতীয় কথা হল, ফাইলটি এডিট করা হয়েছে সর্বমোট ২,৫৮৮ মিনিট ধরে। আইন মন্ত্রণালয়ের অফিস কি মধ্যরাতে খোলা থাকে? সেখানে ওইরাতে মানুষ ঢুকতে পারবে সচিবালয়ের কঠোর নিরাপত্তা ভেদ করে? আইন মন্ত্রণালয়ে কাজ হচ্ছে মধ্যরাতে, অথচ কাকপক্ষিও জানতে পারছে না, জানে শুধু সাকার আত্মীয়স্বজন– হতে পারে এমনটি?
দেখা যাচ্ছে ফাইলটা সর্বশেষ সেইভ করা হয়েছে যে ইউজারে তার নাম 'ম্যাকবুক প্রো-১৩'। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য আসল ইউজারের বদলে পিসির জেনেরিক নাম ব্যবহার করা হয়। আরেকটি প্রশ্ন, সরকারি অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আলম 'ম্যাকবুক প্রো' জাতীয় কম্পিউটার ব্যবহার করা শুরু করল কবে থেকে? আইন মন্ত্রণালয়ে কি 'ম্যাকবুক প্রো-১৩'-এর ব্যবহার আছে?
আরও অবাক ব্যাপার, উল্লিখিত ফাইলের অথার-এর নাম আলম নয়– 'আদি'। তার অরগানাইজেশনের নাম- 'অ্যারাবিয়ান হর্স'। ঘটনাটা যদি আইন মন্ত্রণালয় থেকেই হয়, তাহলে 'অ্যারাবিয়ান হর্স' আসে কোত্থেকে? আর যদি 'অ্যারাবিয়ান হর্স' সব ফাঁসের মূলে থাকে, তাহলে আইন মন্ত্রণালয় থাকে কোথায়?
তবে কি এমন কোনো আরবি অশ্ব এই মামলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে মামলার গোপন কথা জেনে যায়, এবং নেটে ছড়িয়ে দেয়?
৩.
আমরা কেউ কিন্তু ভুলিনি জোট সরকারের আমলের সেই দশ ট্রাক অস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল কার জাহাজে। নানাভাবে এই অস্ত্র বহনকারী জাহাজের পরিচয় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পারা যায়নি।
আমি জানি না, সরকার কিংবা এই সরকারের তদন্তকারীরা কি অবহিত আছেন যে, ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলার প্রস্তুতিপর্বের চক্রান্তটি হয়েছিল সাকার ধানমণ্ডির বাসায়? অপারেশনের পর কি ওই বাসায় ফিরে এসেছিল দুটো সাদা মাইক্রোবাস? মাঝরাতে সেই মাইক্রো দুটো কি ধানমণ্ডির ওই ভবন পরিত্যাগ করেছিল?
সাকা তো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ হস্ত, সরকারের এবং জোটের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একজন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদাতা। তিনি পাক-গোয়েন্দাদের সঙ্গে ওই সরকারের একজন বিশিষ্ট লিংকম্যানও বটে। এই সাকা যখন-তখন যাকে খুশি যা খুশি বলার ক্ষমতা রাখেন।
আমরা জানি এই সাকা চৌধুরী নিজের এলাকায় ভোট পাবার জন্য কী কৌশল অবলম্বন করেছেন সবসময়। তার ক্যাডাররা ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের কাছে গিয়ে বলত, 'তোমরা বল কাকে ভোট দেবে?' তারা প্রাণের ভয়ে বলত, 'সাকা চৌধুরীকে।' এ কথায় সন্তুষ্ট হয়ে ক্যাডাররা বলত, 'ঠিক আছে তাহলে আর তোমাদের কষ্ট করে ভোটকেন্দ্র যাবার দরকার নেই, আমরাই সব ব্যবস্থা করে নেব।'
কাজেই সাকার ফাঁসির রায় চট্টগ্রামবাসীদের যে কতখানি স্বস্তি দিয়েছে, তা তাদের আনন্দের প্রতিক্রিয়া দেখেই তো বোঝা যায়।
৪.
সব কথার শেষ কথা, ট্রাইব্যুনাল থেকে এই ঘটনা কী করে ঘটল? আমি একাধিকবার ট্রাইব্যুনালে গিয়েছি। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিচারকাজ যেখানে চলছে, যে বিচারকার্যের ওপর সরকারের অস্তিত্ব অনেকখানি জড়িত, যে বিচারের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের পতাকা এবং সংবিধানের সম্ভ্রম, সেই ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়েছি। শুধু কয়েকজন অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী দাঁড় করিয়ে রাখলেই কি সব নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে যায়?
কম্পিউটারগুলো সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তাহীন। এটাতো একাধিকবার প্রমাণিতই হল। নিরাপত্তাহীন দলিল সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীন আইনজীবীরা, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের অনেকেই এবং নিরাপত্তাহীন মামলাগুলোর সাক্ষীরা।
কালনাগের হাত থেকে লখিন্দরকে বাঁচানোর জন্য লৌহবাসর বানানো হয়েছিল, কিন্তু তাতেও লখিন্দর দংশন থেকে রক্ষা পায়নি। আর এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ভণ্ডুল করতে তৎপর অগণিত কালনাগ, অস্ত্র এবং অর্থের বিপুল সম্ভার।
এর হাত থেকে ট্রাইব্যুনালকে বাঁচাবে কোন বেহুলা?
আবেদ খান : সাংবাদিক ও প্রকাশিতব্য 'দৈনিক জাগরণ'-এর সম্পাদক।