২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় পাওয়া অং সান সু চির ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেকটাই ধসে গেছে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যার’ ঘটনাপ্রবাহে তার ‘নীরব সমর্থনের’ কারণে। তবে দেশের ভেতরে এনডিএল এর জনপ্রিয়তা এখনও অটুট।
রয়টার্স লিখেছে, সমর্থকদের কাছে সু চি এখনও ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’। এবার তার দলের জয় নিয়ে খুব বেশি সংশয় না থাকলেও গত নির্বাচনের চেয়ে কিছু আসন কমতে পারে।
মিয়ানমারের দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের ৪৪০ এবং উচ্চ কক্ষ জাতীয় পরিষদের ২২৪ আসনের মধ্যে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। বাকি আসনগুলোতে রোববার ভোট হচ্ছে।
তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার এ নির্বাচনের ভোট দিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই নির্বাচন হওয়ায় ভোটের হার কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াংগনে সকালে ভোটকেন্দ্র খোলার আগেই মাস্ক আর ফেইসশিল্ড পরা ভোটারদের ভিড় দেখা গেছে।
মিয়ানমারে এখন প্রতিদিনই গড়ে ১ হাজার একশর মত নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সাই কিয়াও ফিও নামের ৩১ বছর বয়সী এক ভোটার বলেছেন, গত তিন মাসের মধ্যে এই প্রথম তিনি বাসার বাইরে বের হয়েছেন।
“আমি মনে করি, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এই ঝুঁকিটা আমরা নিতে পারি।”
চাও এই টোয়াইন নামের ৩৮ বছর বয়স এক নারী রয়টার্সকে বলেন, তিনি তার ‘নাগরিক দায়িত্ব’ পালন করতে এসেছেন।
“আমি সেই দলকে ভোট দিয়েছি, যারা এই দেশকে বদলে দিতে পারবে। গতবারও আমি তাদের ভোট দিয়েছিলাম।”