কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতের তাগিদ

ইউনিসেফ এবং ডিনেট আয়োজিত গোলটেবিলে এনিয়ে আলোচনা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2023, 06:23 PM
Updated : 17 May 2023, 06:23 PM

বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদেরকে মানসম্পন্ন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জোর দেওয়া হয়েছে এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে।

বুধবার ইউনিসেফ এবং ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক (ডিনেট) যৌথভাবে ‘এডোলেসেন্ট সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যান্ড রাইটস (এসআরএইচআর) সার্ভিস এক্সেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।

বৈঠকে আলোচনায় পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজ থেকে বিবাহিত এবং অবিবাহিত কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে ধারণা দেওয়ার কথা বলা হঢ।

বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের লিয়াজোঁ অফিসার নন্দিনী লোপা বলেন, “যেহেতু যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এখনও বাংলাদেশের সমাজে একটি ট্যাবু, তাই বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং দাতা সংস্থাগুলোর কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা এই বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে এগিয়ে আসেন।”

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় সংবেদনশীলভাবে শব্দচয়নে মনোযোগী হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এসআরএইচআর লিড ফেরদৌসী বেগম যৌন প্রজনন এবং স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক জ্ঞান বাড়াতে কী কী কৌশল নেওয়া যায়, সেই সম্পর্কে ধারণা দেন।

বিএসএসএমইউর অধ্যাপক ডা. ফারিহা হোসেন বলেন, “এখন অবিবাহিত নারীরাও তাদের মাকে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবার খোঁজ করতে আসছে। কিন্তু উদ্বেগের জায়গা হলো, বয়োঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদেরকে যখন যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত চিকিৎসা নিতে আসছে, সেখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কিছু প্রথাগত ধারণা এখনও বিরাজ করছে।

“এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানানো যেতে পারে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বা জাতীয় সংগীতের সময়। শিক্ষকেরা এ নিয়ে যেন ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেয় এবং পরিবারের বাবাদেরও বয়োঃসন্ধিকালীন সময় সম্পর্কে তার সন্তানদের জানাতে হবে।”

ডিনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডোলেসেন্টস অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শামসুল হক, ডিনেট’র রিসার্চ ফেলো অধ্যাপক ড. দীপক মিত্র, ইউনিসেফের হেলথ অফিসার ডা. সাবরিনা রাফি, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডা. সন্তোষ কুমার দত্ত, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার ডা. ফাতেমা শবনম এবং মো. বিএপিএসএ'র (বাপসা) প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর কাওসার করিম আলোচনায় অংশ নেন।