জিনগত কারণেও মেছতা দেখা দিতে পারে।
Published : 23 Apr 2023, 06:27 PM
মেছতা বা মেলাজমা ত্বকের এক ধরনের অসুখ।
সাধারণত শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে গালে মেছতা দেখা দেয়। আবার দীর্ঘসময় রোদে থাকার কারণে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকেও মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়। থাইরয়েড অসুখ এবং রক্তচাপের ওষুধ ও জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মেছতা হতে পারে।
নিউ ইয়র্কের ডর্মাটোলজিস্ট মারফি-রোজ বলেন, “ত্বকের যে অংশ রোদের সংস্পর্শে আসে সেখানে সাধারণত মেছতা দেখা দেয়, যা ছোপ ছোপ দাগ।
“নারীর প্রজননক্ষম বয়সে মেছতা দেখা দেয়। পুরুষের বেলায় মেছতা হওয়াটা খানিক বিরল। তবে সূর্যালোকের সংস্পর্শ ও ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে মেছতা হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে।”
আমেরিকান বোর্ড অফ ডার্মাটোলজির মতে প্রজনন সক্ষম নারীর মেছতা হওয়ার সম্ভবতা রয়েছে। এছাড়া গায়ের রঙ শ্যামলা বা কালো হলে এবং জিনগত কারণে মেছতা দেখা দিতে পারে।
সিএনএন বলছে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জরিপে অংশ নেওয়া মেছতা আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকেরই কোনো না কোনো আত্মীয়র মেছতা রয়েছে।
মেছতা দেখা দিলে ত্বক পুড়ে যাওয়া রঙ ধারণ করে ও বাদামি হয়ে যায়। ত্বকে ফোঁটা ফোঁটা দাগ বা ছোপ হতে থাকে। মেছতা সাধারণত মুখ, গাল, কপাল ও চিবুকে দেখা দেয়। যদিও অনেক সময় পা, বাহু এবং ঘাড়েও মেছতা হয়।
রূপচর্চা পণ্যের ব্র্যান্ড আরকোনার কর্ণধার ও ক্রিয়েটিভ পরিচালক চ্যানেল জিনে বলেন, “হরমোনজনিত কারণ থেকে মেছতাকে মুখে অন্য দাগের থেকে আলাদা করা যায়। তবে একই কারণে মেছতা থেকে মুক্তিও দুরূহ।
”মেছতা হলে মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়। হাইপার পিগমেন্টেশন সাধারণত রোদে পোড়া, কালো দাগ বা তিলের মত হয়; এগুলো ত্বকের এত গভীরে হয় না।”
স্কিনট্যুর ডটকম ও ম্যাডিসনিএমডি স্কিনকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এবং সনদপ্রাপ্ত ডার্মাটোলজিস্ট ব্র্যান্ডিথ আরউইন বলেন, “যদি ব্রণ থেকে এমন হাইপার গিপমেন্টেশন হয় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসাতেও সেরে যাবে।”
লেজার চিকিৎসায় হাইপার পিগমেন্টেশন ভালো হলেও, মেছতা হয়ত আরও ছড়িয়ে যেতে পারে।
আলফা হাইড্রক্সি, কোজিক এসিড ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ক্রিম ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করে। ঘরে বসে ত্বকের চর্চায় এমন ক্রিম ভালো ফল দিতে পারে।
চিকিৎসা তো চলবেই, এর পাশাপাশি কিছু সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে। যেমন- কড়া রোদ থেকে ত্বক রক্ষা করে চলতে হবে।
এছাড়া যদি হাতে মেছতা হয়ে থাকে, তাহলে তা ঢেকে রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোপ ছোপ দাগ বা মেছতা দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।