করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানকে জনকণ্ঠের চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে।
Published : 19 May 2021, 10:08 PM
তোয়াব খান ১৯৯৩ সালে জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সংবাদপত্রটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন তিনি উপদেষ্টা সম্পাদক।
তার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে সরাসরি সাংবাদিক তোয়াব খানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এরপর বুধবার রাতে তোয়াব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি বেশ কয়েক মাস ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলাম। এখন পত্রিকা থেকে বলছে, তারা আর আমার ব্যয় বহন করতে পারছেন না। এজন্য তারা আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন। আগামী জুন থেকে আমি আর জনকণ্ঠের সঙ্গে থাকছি না।”
বছর খানেক ধরেই জনকণ্ঠে অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে গত মার্চে সংবাদপত্রটির মালিক-সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুর পর তা আরও বাড়ে।
গত বছরের নভেম্বরে তোয়াব খান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে সেরে ওঠেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব তোয়াব খান ২০১৬ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক পান।
রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও পিআইবির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
১৯৫৫ সালে সাংবাদিকতায় আসা তোয়াব খান ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন; ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক তোয়াব খানের লেখনী ও উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হতো 'পিন্ডির প্রলাপ'। ১৯৭২ সালে তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদক হন।
তিনি যখন দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক, তখন বাংলাদেশে প্রথম চাররঙা সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।