মালিকপক্ষ তিন দফা সময় নিয়েও বেতন পরিশোধ করছে না অভিযোগ তুলে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে ঢাকার ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনের পঞ্চম তলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন তারা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিটের প্রধান ও পত্রিকাটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ২৬ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। মালিকপক্ষ তিন দফা সময় নিয়েও বেতন পরিশোধ করেনি।
“সবশেষ সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে বলে সময় নেন মালিক ও সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। গতকাল সেপ্টেম্বর মাস শেষ হলেও কাউকে কোনো বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি।”
সোমবার দুপুরে সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার সাড়া না পাওয়ার পর পত্রিকাটির সব সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভও করেন।
সংবাদকর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে সংবাদপত্রটির কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কারাগারে যাওয়ার পর জনকণ্ঠের সাংবাদিকদের টানা ২৮ মাস বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে। ওই বকেয়াও অধিকাংশ কর্মী পাননি। তারপর নতুন করে আবার বকেয়া পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সংবাদকর্মী রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বকেয়া বেতনের দাবিতে আড়াই মাস আগে অচলাবস্থা তৈরি হলে জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন আতিকউল্লাহ খান মাসুদ।
“বার বার সময় নিয়েও বকেয়া পরিশোধ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাংবাদিক-কর্মচারীরা। সোমবার পত্রিকা ছাপাখানায় যাবে কি না, এখন আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।”
জনকণ্ঠের একজন সাংবাদিক জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সাংবাদিক-কর্মচারীদের সমাবেশ থেকে বকেয়া পরিশোধে তিন দিন অর্থাৎ মঙ্গল-বুধবারের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই তিন দিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা না হলে আগামী শুক্রবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে বলে রাজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানের সঙ্গে রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি মালিক-সম্পাদক বলতে পারবেন।”
রাত পৌনে ৯টার দিকে পত্রিকায় কাজ চলছিল বলেও জানান তিনি।
জনকণ্ঠের মালিক ও সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের বক্তব্য পাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা পাওয়া যায়নি। নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ও ফোন ধরেননি।