আশির দশক থেকে সাংবাদিকতায় পেশায় কাজ করছেন আবদুল হাই শিকদার।
Published : 16 Jan 2025, 12:51 AM
বাংলা দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন কবি আবদুল হাই শিকদার।
বুধবার দুপুর ১২টায় পত্রিকা কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার পর তাকে যুগান্তর পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
যুগান্তর লিখেছে, পত্রিকার প্রকাশক জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য-এমপি সালমা ইসলাম নতুন সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
রোববার যুগান্তর কর্তৃপক্ষ আবদুল হাই শিকদারকে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়।
যোগদানের পর আবদুল হাই শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা যুগান্তর। সত্যের সন্ধানে নির্ভীক একটি জাতীয় দৈনিক। আমি এই পত্রিকার দায়িত্ব নিয়েছি। খুব ভালো লাগছে, সুন্দর কর্ম পরিবেশ।
“পত্রিকাটি দেশ ও মানুষের কথা বলে…স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে পত্রিকাটির যে অবস্থান তাকে আরও জোরালোভাবে আমি সমুন্নত রাখতে চাই।”
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবে যুগান্তর ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে বলে আমার এই পত্রিকার দায়িত্ব নেওয়ার অন্যতম কারণ।”
যুগান্তরে যোগ দেওয়ার আগে আবদুল হাই শিকদার বনানীতে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম বাবুলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
তার আগে সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাইফুল আলম, যিনি ২০২০ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আশির দশক থেকে সাংবাদিকতায় পেশায় কাজ করছেন আবদুল হাই শিকদার। তিনি ‘দৈনিক ইনকিলাব’, ‘দৈনিক মিল্লাত’, ‘দৈনিক বাংলা’, ‘দৈনিক আমার দেশ’, ‘বিচিত্রা’, ‘সচিত্র স্বদেশ’, ‘মাসিক এখন’সহ বিভিন্ন পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করেছেন।
তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ফিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনেও আবদুল হাই শিকদার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, শত নাগরিক জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস প্রভৃতি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন আবদুল হাই শিকদার।
কবি ও ছড়াকার হিসেবে ব্যাপক পরিচিত আবদুল হাই শিকদার একজন নজরুল গবেষক, জাতীয় কবির ওপর প্রায় ডজনখানেক গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। ২০০১ সালে সরকার তাকে নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেয়।
বাংলা একাডেমি পদক ও সম্মাননায় ভূষিত কবি আবদুল শিকদারের গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিকের বেশি।
আবদুল হাই শিকদার বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট এ শিক্ষকতা করেছেন।