নির্দিষ্ট একটা বয়সের পরে ত্বকের সুরক্ষা স্তর দ্রুত ভাঙা শুরু করে।
Published : 31 Jul 2022, 02:24 PM
বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে বলিরেখা পড়া অনেকটাই রোধ করা যায়।
নিয়মিত সানব্লক ব্যবহার না করা, দূষণ, কম পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির কারণে এমন সমস্যা দেখা দেয়।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও রন্ধনশিল্পী ইশতি সালুজা, খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার যোগ ও বিয়োগ করার পরামর্শ দেন যা বলিরেখা কমায় এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “প্রথমেই বাদ দিতে হবে প্রক্রিয়াজাত সাদা চিনি। বদলে নিতে হবে স্বাস্থ্যকর বিকল্প মিষ্টি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খাওয়া উপকারী।”
আর বলিরেখা মুক্ত ত্বকের অধিকরী হতে নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
কোলাজেন: সুস্থ ত্বকের জন্য কোলাজেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা প্রোটিন যা ত্বককে টানটান রাখে, বলিরেখা কমায় এবং সুস্থ রাখে।
বিশের পর থেকেই দেহে কোলাজেনের মাত্রা বজায় রাখার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। খাবারে হাড়ের ‘ব্রথ’ বা সুপ বা কোলাজেনের সম্পূরক যোগ করা প্রয়োজন।
হাড়ের ‘ব্রথ’ বা সুপ থেকে মিলবে খনিজ উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা ত্বকের সুরক্ষার স্তর সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে।
পত্রল শাক সবজি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাক ও সবজি যেমন- পালংশাক, কপি, লেটুস ইত্যাদি সূর্য ও দূষণ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
দারুচিনি: এতে আছে পলিফেনল যা ত্বকের কোষকে সুস্থ রাখে। ফলে ত্বক দেখতে সুন্দর লাগে।
তাজা আদা ও মধু: আদাতে আছে জিঞ্জারল যা প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ। এটা ত্বকের ওপরের ব্যাক্টেরিয়া নাশ করে। মধুর সঙ্গে আদার মিশ্রণ ফাঙ্গাস দূর করে, বয়সের ছাপ ধীর করে এবং বলিরেখা পড়া কমায়।
স্বাস্থকর চর্বি: ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে- চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন।
ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ও কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। অন্যান্য চর্বি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়।
স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে- স্যামন, অ্যাভোকাডো, আখরোট, ঘি, তিসির বীজ, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
বেরি বা জাম: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা কোলাজেন নষ্টকারী ‘ফ্রি রেডিকেল’য়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
মাশরুম: এটা কপারের ভালো উৎস যা ত্বকে উপস্থিত কোলাজেন ও ইলাস্টিনকে প্রোটিন সংশ্লেষণ করে এবং স্থিতিশীল করে।
মটর: মটর উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর ‘আইসোফ্লাভানোস’ ত্বককে আর্দ্র, মসৃণ ও টানটান রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা ফোলাট ত্বককে খুব বেশি শুষ্ক হতে দেয় না। আর কোলাজেন উৎপাদন করে অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।
পানি: ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে পানি। দেহের পর্যাপ্ত আর্দ্রতা রক্ষা ও ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ফলে বয়সের ছাপ ধীর হয়।
আরও পড়ুন