বলিরেখা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা

তৈলাক্ত ত্বকেও বলিরেখা পড়ে। আর সেসব দূর করার পদ্ধতিও রয়েছে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 03:08 PM
Updated : 12 May 2021, 03:08 PM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা নানান তথ্য পাই। এটা সৃষ্টিশীল মানুষদের সন্ধান পাওয়ারও ভালো প্ল্যাটফর্ম।

তবে অনেক বিষয়ের ওপর ভ্রান্ত ধারণাও দিতে পারে ফেইসবুক-সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

যেমন বলা যায় ত্বক পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন পণ্য নির্ভর বিজ্ঞাপনগুলোর কথা। আর এসবের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

ত্বকের যত্নে যে কোনো কিছু করার আগে ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতামত যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।  

ফর্সা বা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ছাড়াও ত্বকের বলিরেখা দূর করা বা না পড়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় নেট মাধ্যমে। এরমধ্যে অনেকগুলোই থাকে ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত।

এরকম কয়েকটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. মিশেল গ্রিন।   

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডা. গ্রিন বলেন, “নেট মাধ্যমে ত্বক পরিচর্যার জন্য নানান টোটকা পাওয়া যায়। এরমধ্যে বলিরেখা নিয়ে চারটি প্রশ্ন আমি প্রায়ই শুনি। সেগুলোই বরং এখানে আলোচনা করি।”

ধারণা: আকাশে মেঘ থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। অতিবেগুনি রশ্মি ও বলিরেখা থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই।

আবহাওয়া, ঋতু বা যত কম সময়ই বাইরে থাকুন না কেনো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মি ও বলিরেখা পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) ব্যবহার আবশ্যক।

ডা. গ্রিনের মতে, দীর্ঘক্ষণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে (কেবল বাইরেই নয় বরং জানালা বা দরজায়, মেঘলা দিনেও) থাকা ত্বকে কালচে দাগ ও বলিরেখার পড়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এমনকি ত্বকে ক্যান্সারও হতে পারে।

ধারণা: তৈলাক্ত ত্বক প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ। তাই বলিরেখা পড়ার ঝুঁকি কম।

ত্বক তৈলাক্ত বলেই যে বলিরেখা পড়বে না এমনটা ভাবা ভুল। কোলাজেন ত্বককে মসৃণ, টানটান ও সতেজ রাখে। যাদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি তাদের ত্বক তৈলাক্ত ও মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি। তেল নিঃসরণ ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

এই বিষয় মাথায় রেখেই ত্বকে অকালে বলিরেখা পড়া ঠেকাতে তেলের ভারসাম্যযুক্ত রূপচর্চা রুটিন অনুসরণ করার পরামর্শ দেন এই ত্বক-বিশেষজ্ঞ।

ধারণা: একবার বলিরেখা পড়া শুরু করলে তা আর থামানো যায় না।

মুখে ইতোমধ্যে বলিরেখা পড়ে থাকলে তা আর কোনো কিছু দিয়ে দূর করা সম্ভব না, এমনটা ভেবে থাকলে আরেকবার চিন্তা করুন।

ডা. গ্রিন জোর দিয়েই বলেন, “ত্বককে পুনুরুজ্জীবিত করতে ও বয়সের ছাপ কমাতে নানান উপায় রয়েছে।”

‘থার্মাজ’, ‘ফ্র্যাক্সেল লেজার’, ‘মাইক্রোনিডলিং’ ইত্যাদির মতো অগণিত পদ্ধতি ও প্রসাধনি ত্বককে মসৃণ, তারুণ্যময় ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

ধারণা: বলিরেখা দূর করতে ‘বোটক্স ইনজেকশন’

ডা. গ্রিন মনে করেন, বলিরেখার চিকিৎসায় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি বলে কিছু নেই।

তিনি বলেন, “বোটক্স ইঞ্জেকশন প্রতিরোধমূলকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”

বলিরেখা পড়ার আগেই তা প্রতিরোধের জন্য অল্প পরিমাণে বোটক্স ব্যবহার করা যায়। প্রতিরোধমূলকভাবে বোটক্স’য়ের ব্যবহারে কাকের পা বা মাকড়শার জালের মতো দেখতে সুক্ষ্ম অনাকাঙ্ক্ষিত বলিরেখা পড়ার আগেই রোধ করা যায়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন