হাতের লেখা দেখেও স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত পাওয়া যায়

শুধু স্বাস্থ্য সম্পর্কে নয়- ব্যক্তিত্ব, পছন্দ, অপছন্দ সম্পর্কেও আঁচ করা যায় হাতের লেখা দেখে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2023, 09:39 AM
Updated : 2 Jan 2023, 09:39 AM

কারও হাতের লেখা ভালো কারও খারাপ।

তবে হাতের লেখাও যে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেয় সে বিষয়টা অনকেরই অজানা।

‘গ্রাফোলজি’ সম্পর্কে ধারণা থাকলে হাতের লেখা দেখে অনেক কিছুই আঁচ করা যায়।

এই বিষয়ে টাইমসঅবইন্ডিয়ায় ডটকম’য়ে প্রকাশিত ভারতের ‘দ্যা লোগো গুরু’র প্রতিষ্ঠাতা সুধীর কোভ বলেন, “আঙ্গুলের ছাপের মতো হাতের লেখাও স্বতন্ত্র। এটা ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়। মস্তিষ্ক হাতের লেখা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গেও এর পরিবর্তন ঘটে। ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও হাতের লেখার সম্পর্কে রয়েছে।”

হাতে লেখা নথি দেখে সেই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা, স্বাস্থ্য এবং সে কেমন চিন্তা করে এমনকি তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

সুধির বলেন, “কয়েকটি গবেষোণায় দেখা গেছে, অসুস্থতার কারণে একজন ব্যক্তির হাতের লেখায় পরিবর্তন আসতে পারে।”

যদি কারও হাতের লেখা, সাক্ষর বা সে সাধারণত যেভাবে লেখে সেই তুলনায় ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায় তাহলে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে বিশেষজ্ঞের সহায়তা গ্রহণ করতে হতে পারে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রঅনুযায়ী, মহাবিশ্বের ক্ষুদ্র কোনো অংশ এর বৃহত্তর অংশের ইঙ্গিত দেয়। একইভাবে হাতের লেখাও একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে।

‘গ্রাফোলজি’ হল একজন ব্যক্তির হাতের লেখা দেখে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা করা। হাতের লেখার অনেক লাইন অনুসরণ করতে হয়, এর মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তির দেহভঙ্গি ও মেরুদণ্ডের কোনো সমস্যা থাকলে তা বোঝা যায়।

লেখার খাড়া লাইন যদি আঁকাবাঁকা বা ঢেউখেলানো হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ব্যক্তির মেরুদণ্ডের কোনো ত্রুটি রয়েছে।

অনেকের হাতের লেখা বা অক্ষরের টান দেখে কালির প্রবাহের মাত্রা থেকে ব্যক্তি সম্পর্কে ইতি বা নেতি বাচক ধারণা পাওয়া যায়। ‘পাসটোসিটি’ হল ব্যক্তিভেদে লেখার ওপর কালি প্রবাহের তারতম্য।

ইতিবাচক বা সুন্দর পাস্টোসিটি দেখে বোঝা যায়- তিনি গান, খাবার এবং বেশভূষায় বেশ রুচিশীল। এই ধরনের ব্যক্তিরা মোটা কালি এবং সৃজনশীল লেখা পছন্দ করে।

নেতিবাচক ‘পাস্টোসিটি’ ব্যক্তিদের লেখা হিজিবিজি বা লেখার ওপরে লেখার প্রবণতা থাকে। এটা ব্যক্তির নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, একাকিত্ব, চাপা কষ্ট ইত্যাদির ইঙ্গিত দেয়। যা একজন ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা বা অসুস্থতার বিষয়ে নির্দেশন করে।

লেখার ক্ষেত্রে অক্ষর কতটা কাছাকাছি বা দূরে দূরে তা দেখে ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বর্ণ  লেখার লাইন আঁকাবাঁকা হলেও তা থেকে ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে বোঝা যায়।

গ্রাফোলজি

লেখার দ্রুত গতি ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। দ্রুত লিখলে লেখা কিছুটা টানা টানা এবং লেখার শেষ টান সুঁচালো। এদের লেখার সময় একটা ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এর কারণ হতে পারে- গলা, পা বা ফুসফুসে সমস্যা।

সুধির কোভ নিজের হাতের লেখা পর্যবেক্ষণ করার এবং হাতের লেখা অনুশীলন করার পরামর্শ দেন।

কেউ চাইলে ‘গ্রাফোলজি’ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে হাতের লেখার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করার চেষ্টাও করতে পারেন।

আরও পড়ুন

Also Read: যেভাবে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

Also Read: অস্বাভাবিক হাত কাঁপার কারণ

Also Read: ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়