তেল দেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও বর্ষায়।
Published : 06 Jul 2023, 12:29 PM
মাথার ত্বকে ঘাম হয় যা তেলের সাথে মিশে চিটচিটে হয়ে চুলকানি দেখা দেয়। পানির কারণেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত, মলিন এমনকি ভঙ্গুর হয়ে যায়।
আর তাপ, আর্দ্রতা এবং দূষণ চুলের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব রাখে।
ভারতের ‘ম্যারিকো লিমিটেড’য়ের প্রধান গবেষক ও উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. শিল্পা ভোরা ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চুলে তেল দেওয়া উপকারী। তবে কোন পদ্ধতিতে তেল দেওয়া হচ্ছে সেটা আরও জরুরি।”
তেল দেওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও বর্ষায়।
কৌশলটি হল চুল ধোয়ার পরে শুষ্ক ও পরিষ্কার মাথার ত্বকে তেল ব্যবহার করতে হবে। হালকা, চিটচিটে হয় না এমন তেল শুধু ব্যবহার করাই সহজ না বরং তা সহজে শোষিত হয়।
এক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে-
চুলের তেল বাছাই করতে হবে সঠিকভাবে। চিটচিটেভাব এড়াতে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় হালকা তেল ব্যবহার করতে হবে।
চুলের সমস্যা বুঝে ক্যারিয়ার তেলের সাথে এসেনশল তেল ব্যবহার করতে হবে।
ভেজা বা আর্দ্র চুলে তেল ব্যবহার যাবে না। এতে চুল ভেঙে যেতে পারে।
মাথার ত্বকে আলতো করে গোলাকারভাবে তেল মালিশ করতে হবে, এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
চুলে তেল দেওয়ার পরে খুব বেশি শক্তভাবে চুল বাঁধা যাবে না। এতে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তেল দেওয়ার আগে চুল ভালো মতো আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে, নয়তো আগা ফাটা দেখা দিতে পারে।
মাথার ত্বক মালিশ করার পরপরই চুল আঁচড়ানো ঠিক নয়। এসময় গোড়া নরম থাকে তাই বেশি চুল পড়তে পারে।
দীর্ঘক্ষণ মাথার ত্বকে তেল রাখা লোমকূপ বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
তেল ব্যবহারের আগে হালকা গরম করে ব্যবহার করা উচিত। কুসুম গরম তেল মালিশ করা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, চুল মসৃণ থাকে এবং সুস্থতা বজায় রাখে।
আরও পড়ুন
শুধু তেল মালিশে চুল পড়া কমে না