শুধু ঠোঁটে নয়, গালেও ব্যবহার করা যায়।
এই সময়ে ‘লিপ টিন্ট’য়ের চাহিদা বেশ। রাঙানোর পাশাপাশি ঠোঁট আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।
টিন্ট ঠোঁটের পাশাপাশি গালেও ব্যবহার করা সম্ভব। সারা বছরই এটা ব্যবহার করা যায়।
টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘ফরেস্ট ট্রভ’য়ের প্রতিষ্ঠাতা কারিশমা মেহরা সংঘি বলেন, “মেইকআপ প্রসাধনীর ব্যবহার কমাতে লিপটিন্ট উপকারী। আর সারাদিন ঠোঁটে টিন্ট ব্যবহার ও স্থায়ী করার কিছু উপায়ও রয়েছে।”
লিপ টিন্ট ব্যবহারের উপকারিতা
লিপস্টিক আর লিপ টিন্ট এর মাঝে মূল পার্থক্য হল স্থায়িত্ব ক্ষমতা। লিপস্টিক সহজে উঠে যায় কিন্তু লিপ স্টেইন বা টিন্ট সারাদিন স্থায়ী হয়।
উষ্ণ আবহাওয়ায় মেইকআপের ব্যবহার কমাতে ও ত্বকে সতেজভাব আনতে লিপ টিন্ট ও সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। আকারে ছোট ও হালকা হওয়ায় তা সহজেই হ্যান্ড ব্যাগে পুরে রাখা যায় ।
ব্যবহার পদ্ধতি
ঠোঁটের ক্ষেত্রে- লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করে ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করে ঠোঁট মসৃণ করে নিতে হবে। আলতো চাপ দিয়ে ঠোঁট মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। লিপ টিন্ট ব্যবহারের আগে চাইলে লিইপ লাইনার ব্যবহার করে নেওয়া যেতে পারে।
গালে ব্যবহার করতে- দু ফোঁটা মেইকআপ প্যালেটের ওপরে টিন্ট নিয়ে তা ব্লেন্ডিং স্পঞ্জের সাহায্যে গালের হাড়ে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া খুব তাড়াহুড়ায় থাকলে দুই ফোঁটা টিন্ট সরাসরি গালে মেখে আঙ্গুলের সাহায্যে মিশিয়ে নেওয়া যায়।
রং যদি খুব বেশি গাঢ় মনে হলে টিস্যু বা ব্লোটিং পেপার দিয়ে মুছে হালকা করে নেওয়া যেতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
ক্রিম বেইজ প্রাইমার ব্যবহার রং ধরে রাখতে সহায়তা করে।
লিপ টিন্ট ব্যবহারের আগে লিপ বাম ব্যবহার করা যাবে না। এতে রং ঠোঁটে ভালো মতো স্থায়ী হতে পারেনা।
যে কোনো পানীয় গ্রহণের সময় স্ট্র ব্যবহার করা।
বার বার ঠোঁট কামড়ানো বা হাত দেওয়া রং হালকা করে দেয়। তাই যতটা সম্ভব সচেতন থাকতে হবে।
ঠোঁটে গাঢ় রং ফুটিয়ে তুলতে দুই স্তরে টিন্ট ব্যবহার করা ভালো।
ঠোঁটের মাঝের অংশ থেকে টিন্ট ব্যবহার শুরু করে কোনার অংশে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন